আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উৎসবমু্খর নির্বাচনে মোরশেদ-আজাদ পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন–মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করেছে। গতকাল ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালের পুরনো ভবন এবং মহিলা হোস্টেল ভবনে স্থাপিত ৩৩টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান জানিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন ২৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. কামরুন নেছা (রুনা) পেয়েছেন ৯৬৪ ভোট।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের আবদুল মান্নান রানা ২৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. মোহাম্মদ পারভেজ ইকবাল শরীফ ২১৬২ ভোট এবং ডা. এ কে এম ফজলুল হক ২১১৩ ভোট পেয়েছেন। এ পদে অপর প্যানেলের ডা. শাহানা বেগম পেয়েছেন ১৭৫৩ ভোট এবং আবুল হোসেন পেয়েছেন ১০১৫ ভোট।
জেনারেল সেক্রেটারি পদে সর্বোচ্চ ২৮১৯ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. এম মাহফুজুর রহমান পেয়েছেন ৭২৪ ভোট।
ট্রেজারার পদে লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ পেয়েছেন ২৩৬৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. এম এ মান্নান পেয়েছেন ১১৪৯ ভোট।
অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের মোহাম্মদ সাগির ২৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. মোহাম্মদ সাহাদাত হোসাইন পেয়েছেন ১০১৩ ভোট।
জয়েন্ট ট্রেজারার পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের লায়ন এস এম কুতুব উদ্দিন ২৩৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ১১৫৫ ভোট।
স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের ডা. ফজল করিম বাবুল ২৬৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এম জাকির হোসেন তালুকদার পেয়েছেন ৮৮৬ ভোট।
১০ জন সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪২ জন। এদের মধ্যে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের মোহাম্মদ আবুল হাশেম ১৬৪৭ ভোট, ডা. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ১৮১০, ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৭১, মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী ১৫২৭, তারিকুল ইসলাম তানবির ১৯৩৬ , ডা. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ঢালী ১৭১৪, ডা. এটিএম রেজাউল করিম ১৬২৭, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ ১৬৭১, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ১৭৪১ এবং ডা. মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ১৬৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপু বড়ুয়া পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট, মোহাম্মদ আবদুর রহমান খোকন পেয়েছেন ৩২১ ভোট, মোহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম ৭৭৩ ভোট, আবু আহমেদ হাসনাত ১০১৬ ভোট, ডা. মোহাম্মদ আবু নাছের ১০৫০ ভোট, মোহাম্মদ আব্দুস সবুর ৭০১ ভোট, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ২৮৩ ভোট, মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ১৭৯ ভোট, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মাসুদ ৩৯১ ভোট, মুহাম্মদ নুমান আসকারী দীদার ৪৩০ ভোট, লায়ন নুর আহাম্মদ পিন্টু ৪৪৫ ভোট, নুরুল আনোয়ার ৪২৫ ভোট।
‘মোহাম্মদ নুরুল আলম ২৮০ ভোট, মোহাম্মদ ফজলুল করিম মজুমদার ৫৬৯ ভোট, কে এম ফজলে এলাহী টিপু ৪২৫ ভোট, ফারুক আহাম্মদ ৮০৫ ভোট, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মুন্সী ৪২৭ ভোট, মাসুদুল আলম ২৩২ ভোট, ম. মাহমুদুর রহমান শাওন ১০৮৪ ভোট, মুহাম্মদ মুবিনুল হক ১৬৩ ভোট, মোহাম্মদ কামরুল হাসান ভূঁইয়া ৩৩৫ ভোট, ডা. খায়রুল আনোয়ার ৭৩৩ ভোট, গোলাম বাকী মাসুদ ৭১৩ ভোট’।
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ১৯৭ ভোট, মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম ৭৬৪ ভোট, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ৮০৫ ভোট, অ্যাডভোকেট রিদওয়ানুল বারী ৩০৪ ভোট, প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম ৮৪৩ ভোট, সাইফুদ্দৌলা সিকদার শিমুল ২৯৭ ভোট, মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন বাচ্চু ২৭২ ভোট, মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন ২৮৬ ভোট এবং মোহাম্মদ হারুন অর রসিদ ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন’।
ডোনার মেম্বারের দুটি পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের লায়ন মোহাম্মদ হারুন ইউসুফ ১৪৮ ভোট এবং ইঞ্জিনিয়ার লায়ন মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী ১৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে অপর প্যানেলের ডা. দুলাল দাশ পেয়েছেন ৩১ ভোট।
এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডোনার) পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার) পদে মোহাম্মদ শহীদ উল্ল্যাহ এবং জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি পদে জাহিদুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কার্যকরী পরিষদের ২৪টি লাইফ মেম্বারের ভোটে ২০টি এবং ডোনার মেম্বারের ভোটে ৪টি মিলে মোট ২৪ পদ থাকলেও তিনটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় লাইফ মেম্বার ভোটাররা প্রেসিডেন্ট পদে একটি, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তিনটি, জেনারেল সেক্রেটারি পদে একটি, ট্রেজারার পদে একটি, জয়েন্ট ট্রেজারার পদে একটি, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে ১টি, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদে একটি, সদস্য পদে ১০টি মিলে সর্বমোট ১৯টি ভোট এবং ডোনার মেম্বাররা একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধু ডোনার সদস্য পদে ২টি ভোট প্রদান করেছেন।
এবারের মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে এবার দুটি পৃথক প্যানেল ছাড়াও লড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ, লায়ন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ ও রেজাউল করিম আজাদ প্যানেল এবং প্রফেসর কামরুন নেছা (রুনা), ডা. এম মাহফুজুর রহমান ও ডা. এম এ মান্নান প্যানেলে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবেও কয়েকজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুই প্যানেল এবং স্বতন্ত্র মিলে ৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ৬২ জন নির্বাচনের মাঠে ছিলেন।
নির্বাচনে ৯ হাজার ৭৪৪ জন লাইফ মেম্বার ভোটারের মধ্যে ৩৬৫২ জন এবং ডোনার মেম্বারের ৩৯৪ জন ভোটারের মধ্যে ১৬০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ