আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

ঢাকা সিলেট মহাসড়কে টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য।

মাহাবুবুর রহমান রনি,রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

রাজনৈতিক দলের নেতা, হাইওয়ে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই গাজীপুর-চট্রগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক ও কাঞ্চন ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে উপ শহরের ৩০০ ফুট এলাকায় নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ৫০টি টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫০টি দোকানে ব্যবসা করলেও অনেক ব্যবসায়ীর নাম জানা যায়নি।। তবে ডিবি পরিচয়ে আনোয়ার ও তার শ্যালক কামরুল মিলে ডজনখানেক দোকানে চোরাই তেলের ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে অনেকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল হাট থেকে এশিয়ান হাইওয়ের জিন্দাপার্ক ও কাঞ্চন সেতু থেকে ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেট পর্যন্ত ফুটপাতে জমে উঠা প্রায় ৫০টি দোকানে চলে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা। এসকল খবর নিয়ে পাওয়া অজানা অনেক তথ্য। কেঁচো খুঁজতে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসে। জানা যায়, এ সকল হাইওয়ের পাশে গড়ে উঠা টংয়ের দোকানগুলোতে তেল ব্যবসার অন্তরালে চলে নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা। যেমন, ইট ভাটার চোরাই ইট, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল ও যুব সমাজের মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা। দোকানগুলোতে গিয়ে যে সকল ব্যবসায়ীদের দেখা মিলে তারা হলেন, এশিয়ান হাইওয়ে ফ্লাইওভারের উত্তর, দক্ষিণ ও পুর্ব পাশে আনোয়ার ও কামালের কয়েকটি চোরাই তেলের দোকান। রয়েছে মাসুমের তেলের দোকান। এছাড়াও নলপাথর এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে সামছুল ইসলামের তেলের দোকান, কাঞ্চন ব্রীজের সামনে ব্রাক্ষনখালী এলাকার সিরাজের ছেলে গোলাপ দোকান, সুইরাব এলাকার রাকিব দোকান, একই এলাকার সোলমানের দোকান, এছাড়াও দোকান আছে আনোয়ার, মাসতুল এলাকার লিটন, কুদুর মার্কেট এলাকার ইয়াছিন, সাব্বির হোসেন, ইসমাইল, লেংটার মাজার এলাকার কাশেম, সোহেল, কাঞ্চন ব্রীজ সংলগ্ন ফরহাদ ছাড়াও বাকি পনেরটা দোকান বন্ধ পাওয়া যায়।

এলাকাবাসী জানান, চোরাই তেল ব্যবসায়ীরা দিনের বেলা দোকান বন্ধ রাখলেও সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখে। এদের ব্যবসাই চলে রাতে। খবর নিয়ে জানা যায় কাঞ্চন ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ২০টি তেলের টংয়ের দোকানের ও জিন্দাপার্ক পর্যন্ত ১০টি ও গোলাকান্দাইল থেকে কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত ২০টি। তবে এর মধ্যে ২০টি দোকানের পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে কুদুর মার্কেটের তেল ব্যবসায়ী ইয়াছিন। এ ছাড়াও ইয়াছিন চোরাই তেলের ডিলার বলে জানান এসকল তেল ব্যবসায়ীরা। তারা আরো জানান, ডিলার ইয়াছিন থানা পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে। মাসতুল এলাকার চোরাই তেল ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান, ইয়াছিন মাস শেষে প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থানাকে বুঝিয়ে দেয়। এজন্যই আমাদের পুলিশি কোন সমস্যা হয়না।

নাম না বলার শর্তে জনৈক ব্যক্তি বলেন এখানে টংয়ের দোকানের মধ্যে ক্রয় করে থাকে চোরাই ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল, ইট ভাটার চোরাই ইট। তবে শুনেছি এসকল ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবাসহ সকল ধরনের মাদক বিক্রি করে থাকে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, আমি নতুন এসেছি। থানার কথা বলে যদি কেউ অপকর্ম করে তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমার কোন আপোষ নেই।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী নিউ মার্কেটে পণ্য কিনে পুরষ্কার জিতে নিন

রাজশাহী নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতুর ও নববর্ষ উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার পন্য ক্রয় নিয়ে জিতে নিতে পারেন প্রথম পুরস্কার সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল। দ্বিতীয় পুরস্কার দুই পাল্লার ফ্রিজ। তৃতীয় পুরস্কার সোনার চেন। এছাড়াও রয়েছে মোট ১০১ টি পুরস্কার আগামী ১৮ই এপ্রিল রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিনই বিজয়ী কুপন নাম্বারের পুরস্কার দেওয়া হবে। অনেক পরে এরকম একটি আয়োজন করতে পেরে রাজশাহী নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি অত্যন্ত আনন্দিত।

সকল ক্রেতা সাধারনকে রাজশাহী নিউমার্কেটে ঈদুল ফিতর এবং নববর্ষের আনন্দ কে ভাগাভাগি করে নিতে উনাদের এই আয়োজন করেছেন। আগামীতে ক্রেতা সাধারণের জন্য আরও বড় আকারে এই ধরনের ব্যতিক্রম ধরণের উপহারের ব্যবস্থা করা হবে। এই ক্যম্পেইন চলাকালীন সময়ে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন

এনআইডি পরিষেবা নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন।

জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাভ লেইন মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে

আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রকে (এনআইডি) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন একটি কমিশনে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা রাতের ভোটের আয়োজক ও কুশীলবদেও সাজানো একটি ষড়যন্ত্র ছিল। একই অবস্থা সামনের দিনগুলোকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনে ৩৫টি বা তার বেশি তথ্য উপাত্ত বোনাস হিসেবে আসেনি। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও দিনরাত

পরিশ্রমের ফল। ভোটার তালিকা প্রণয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যদি সকল তথ্য ভান্ডারকে একসাথে করতে হয় এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সর্বোত্তম সাংবিধানিক ও শক্তিশালী জাতীয় প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া অতি স্বাভাবিক।

কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, এক বা একাধিক
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান করে এনআইডিসহ অন্যান্য তথ্য ভান্ডারকে আরও সুসংগত করা যায়। নির্বাচন
কমিশনকে একই সময়ে বিদায় না দিয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই জন করে নিয়োগ ও বিদায় নিলে তথ্য ভান্ডারসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও
সুশৃঙ্খলতায় আনা যায় এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সিনেটের মত জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা সম্ভব। এতে করে আমাদের ঘুণেধরা ও ক্ষয়িষ্ণু সহমর্মিতা রক্ষা করাসহ জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক অতি মর্যাদা বিবেচনা করে তাকে কর্মহীন করা ও তার অর্জিত কর্মক্ষমতাকে কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো ধর্মীয় গ্রন্থকে না পড়ে গিলাব বেঁধে উপরের থাকে তুলে রাখা একই অন্ধত্ব ও জাতীয় বিভ্রান্তি। অন্যথায় ডাল হৌসির নীতির মত এক ডিপার্টমেন্টের অর্জনকে অন্য ডিপার্টমেন্টে/কমিশনে নিয়ে গেলে বিভিন্ন বিভাগের

ইনোভেশনসহ জাতীয় উন্নয়নের মনোবল ধ্বংস হতে পারে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জোর দাবী জানান নির্বাচন কর্মকর্তারা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ