আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রাজশাহীতে আলু চাষিদের সমাবেশ

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীর তানোরে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ। তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজারেহিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীর তানোরে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ করে।হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া চার টাকা কেজির পরিবর্তে আট টাকা করার প্রতিবাদে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া মাঠে সমাবেশে তাঁরা বলেছেন, দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়েনি অথচ অযৌক্তিকভাবে হিমাগারের আলুর ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে আবার সমাবেশ করে হিমাগার ঘেরাও করা হবে।সমাবেশে জানানো হয়, গত বছর হিমাগারে আলু রাখায় বস্তাপ্রতি ‘পেইড বুকিং’ ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। সাধারণ ভাড়া বা ‘লুজ বুকিং’ ছিল ২৮৫ টাকা পর্যন্ত। সরকারিভাবে বস্তায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আলু রাখার নিয়ম; কিন্তু সচরাচর কৃষকেরা ৬০-৬৫ কেজি পর্যন্ত আলু রাখার সুযোগ পান। পেইড বুকিং আলু ওঠার এক বছর আগেই দিতে হয়। আর লুজ বুকিংয়ের ভাড়া আলু হিমাগার থেকে বের করার সময় পরিশোধ করতে হয়। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুর জন্য গড়ে হিমাগারের ভাড়া পড়ে পাঁচ টাকা।

বক্তারা বলেন, এবার ইতিমধ্যে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ সমিতি প্রতি কেজি আলুর ভাড়া নির্ধারণ করেছে আট টাকা। বিভিন্ন দেশে শিল্পপতিরাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। আর এখানে হিমাগারের মালিকেরা কৃষকদের শোষণ করছেন। এটা মানা যায় না। এবার একটু বেশি আলু চাষ দেখেই হিমাগারের মালিকেরা সিন্ডিকেট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন, গত বছর যে ভাড়ায় আলু রেখেছেন, এবারও সেভাবেই আলু রাখবেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী আলুচাষি ও জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম। সমাবেশ শেষে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

হিমাগারের মালিকেরা ব্যবসায়ী বা কৃষকের সঙ্গে আলোচনা না করেই ভাড়া বাড়িয়েছেন বলে জানান, পবা উপজেলার বড়গাছি এলাকার আলুচাষি ও ব্যবসায়ী ইমরান আলী। প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, ‘হিমাগারের মালিকেরা কি বাংলাদেশের বাইরের লোক? আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে ম্যানেজার যা বলবে তা হবে না। আমরা সফল হব। গত দুই বছর থেকে চাষিরা হয়তো দুই টাকা লাভ করছে, এইটা আর তারা সহ্য করতে পারছে না।

হিমাগারে আলুর ভাড়া বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই দাবি করে কৃষক আবু সাঈদ বলেন, ‘দেশে এখন বিদ্যুতের দাম বাড়েনি। ভবিষ্যতে আলোচনার মাধ্যমে তারা যদি আমাদের সঙ্গে একমত না হয়, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব এবং ন্যায্য দাবি আদায় করব।’ আলুচাষি ও তানোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মান্নান বলেন, ‘হিমাগার ব্যবসায়ীরা যা খুশি তা করতে পারবে না। আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করব।’

১০ জানুয়ারির মধ্যে হিমাগারের মালিকেরা যদি কৃষকদের দাবি না মানেন তাহলে আবার সমাবেশের আয়োজন করা হবে। হিমাগার ঘেরাও করা হবে।
আবদুল মতিন, তানোর আলুচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক
‘চাষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে, সবাই বাঁচবে’ উল্লেখ করে কাজী রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যদি না বাঁচি, দশতালা ভবনে খাবার যাবে না। আমরা যদি জমিতে না যাই তাহলে চাকরিজীবী বাজারে গিয়ে কিছু পাবে না। যারা সিন্ডিকেট করে ভাড়া বাড়াচ্ছে, তাদের আমাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য একত্র হতে হবে।’

তানোর আলুচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন জানান, আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে হিমাগারের মালিকেরা যদি কৃষকদের দাবি না মানেন তাহলে আবার সমাবেশের আয়োজন করা হবে। হিমাগার ঘেরাও করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সড়ক সংস্কারে জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে চসিক: মেয়র ডা. শাহাদাত

জনভোগান্তি নিরসনে সড়ক সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শীঘ্রই জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন মেয়র। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। সভায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এসময় মেয়র বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মানসম্মত ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গলিপথের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে আমরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”

এসময় মেয়র আরও বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজে গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করুন। কোনো প্রকৌশলী দায়িত্বে ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন। যদি লোকবল ঘাটতি থাকে, তবে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু সাময়িক মেরামত নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো ঠিকাদার যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মামলা করুন। কাজের মান বজায় রাখতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে রোড সাইন ও সচেতনতামূলক বার্তা স্থাপন করতে হবে, যাতে জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সাবধানে চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় উপস্থিত প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেয়রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।

সাদা রং দিয়ে ঢেকে দেয়া হলো শেখ মজিবরের ম্যুরাল

সারা দিন রং করে ঢেকে দেওয়া হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের সিঅ্যান্ডবি মোড় এলাকায় সারা দিন রং করে ঢেকে দেওয়া হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।

রাজশাহী নগরের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে নির্মিত শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ম্যুরালটি সাদা রং করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল থেকে কয়েকজন রংমিস্ত্রি এই কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যার আগেই পুরো ম্যুরালটি ঢেকে দেওয়া হয়। তবে এই কাজের জন্য কারা ভাড়া করেছিলেন, তা ওই রংমিস্ত্রিরা বলতে পারেননি।

রাজশাহী জেলা পরিষদের জায়গায় ম্যুরালটি নির্মাণ করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এই ম্যুরালের উচ্চতা ৫৮ ফুট। তবে মূল অংশের উচ্চতা ৫০ ফুট। আর চওড়া ৪০ ফুট। নির্মাণের পর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এটিই দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল।

ম্যুরালটির সীমানাপ্রাচীরের দুই পাশে ৭০০ বর্গফুট টেরাকাটার কাজ করা হয়। এক পাশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের লোকজ সংস্কৃতির নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যও তুলে ধরা হয়েছিল। ল্যান্ডস্কেপিংয়ে গ্রানাইট দিয়ে সজ্জিত করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এই ম্যুরাল ও টেরাকাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা যায়নি।

রোববার সকাল থেকে সাদা রঙের প্রলেপে ম্যুরাল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি মুছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে দেখা যায়, নগরের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে একজন অনেক বড় মই দিয়ে ওপরে উঠে ব্রাশ দিয়ে রং করছেন। নিচ থেকে তাঁর দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছিল, একজন মানুষের তুলনায় ম্যুরালটি কত বড়। এ সময় নিচে আরও কয়েকজন সহযোগী তাঁকে সহযোগিতা করছেন। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাঁরা যাচ্ছিলেন, তাঁরাই তাকিয়ে দেখছেন।

সন্ধ্যায় সেখানে আবার গিয়ে দেখা যায়, মিস্ত্রিরা চলে গেছেন। সেখানে একদল নারী শাক কাটছিলেন। তাঁরা বিকেলে চারটার দিকে সেখানে এসে বসেন। তাঁরা বলেন, তাঁরা এসে কোনো রংমিস্ত্রি দেখতে পাননি। বোঝা গেল, এর আগেই মিস্ত্রিরা চলে গেছেন। চত্বরে তরুণ-তরুণীরা আগের মতোই আড্ডায় মেতেছেন। সবাই তাকিয়ে দেখছেন। কিন্তু কেউ কোনো মন্তব্য করছেন না।

এর আগে গত ৫ আগস্টই রাজশাহীতে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের বেশির ভাগ ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি ‘জিতবে আবার নৌকা’ গানের তালে তালে বুলডোজার দিয়ে রাজশাহী কলেজে থাকা ম্যুরালটি গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ