আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় – আবু সুফিয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, গত ১৬ বছরে বিএনপি কে ধবংস করার জন্য আওয়ামীলীগ অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বিএনপির প্রতি জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থন থাকায় বিএনপিকে তারা ভাঙ্গতে পারেনি। জনগণের শক্তিতে বিএনপি আরোও শক্তিশালী হয়েছে। জনগণ আওয়ামীলীগের সাথে ছিলনা। ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, গুন্ডালীগ, র‌্যাব, পুলিশ ও প্রশাসন ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। জনগণের বিরুদ্ধে তারা অনেক বাহিনী নামিয়েছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে তাদের কোন বাহিনী দাঁড়াতে পারেনি। বরঞ্চ ক্ষমতা ছেড়ে আওয়ামীলীগ পালাতে বাধ্য হয়েছে। যারা ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়েছিল, নিরীহ ছাত্র-জনতার রক্তে নিজেদের হাতকে রঞ্জিত করেছিল সেসকল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নেই, কোন ক্ষমা নেই। যেখানে পালিয়ে যাকনা কেন, আইনের হাত থেকে তাদের রেহাই নেই। বাংলাদেশের মাটিতে তাদের সকল অপকর্মের বিচার হবে।
রোববার ওয়ার্ডস্থ শমসের পাড়া হাজী চাঁন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শমসের পাড়া ইউনিট বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে হঠিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেলেও মানুষের দুর্ভোগ এখনো লাঘব হয়নি। এখনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমেনি। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি কমেনি। সন্ত্রাসী কমেনি, চাঁদাবাজি কমেনি। আওয়ামীলীগ যেভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের পকেট কেটেছিল সে দুর্নীতি বন্ধ করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১দফা প্রণয়ন করেছে। জনগণের মেন্ডেট নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা ৩১দফা বাস্তবায়িত করবো। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা রাজনৈতিকগুলো তাদের সমর্থন দিয়েছি এবং সহযোগীতা করছি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আহবান- জনগণ নির্বাচন চায়। তাই অতী দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন। মানুষ ধৈর্য্য ধরে আছে, এই ধৈর্য্য বেশিদিন থাকবেনা। কারণ নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের সমস্যা সমাধান কোনভাবে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, ম. হামিদ, মনছুর আলম। বিএনপি নেতা রফিক কোং এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল আমিন, মোরশেদ কামাল মো. শহীদুজ্জামান, নাছির উদ্দিন, মো. আলমগীর, ইউসুফ আলী লিটন, নুরুল ইসলাম, মো. সরোয়ার, জহুরুল ইসলাম জহির, কামাল হোসেন খোকন, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মুনির রাফি, মো. ইমরান,বাহাদুর আলম, সরোয়ার উদ্দিন, মো. সাহেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ