আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রতিটি নাগরিকের সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে-চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিটি নাগরিকের সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার চসিকের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে এ মন্তব্য করেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে এতদিন পরও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে এখনো শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলে জানান তিনি। এর আগে বরাবরের মতোই পরিদর্শনে গিয়ে ওই ওয়ার্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী হাজিরা নেন তিনি।
এ সময় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন সেলিম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চসিক মেয়র বলেন, আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আমার লোকরা ওয়ার্ডগুলোতে কার্যক্রম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা যাচাই করছে। তবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়েও আমি এখনো পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট নই। এখনো আমার লক্ষ্যের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশও অর্জন হয়নি। এটাকে যখন ৮০-৯০ শতাংশে নিতে পারবো; তখনই মনে করব আমি সন্তুষ্ট।গত সরকার আমলে যারা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিল তারা নিজেদের কিছু লোককে চসিকের নিয়োগ দিয়েছে।
আর তাদের একটি অংশ ফাঁকিবাজি করে কাজ করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিকের সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অথচ আজকেও আমরা কয়েকজন কর্মচারী চিহ্নিত করেছি; যারা কাজ করছে না বা ফাঁকিবাজি করছে। আগের সরকারের আমলে নিয়োগ দেওয়া অনেকেই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না। এই ধরনের কর্মীদের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। যাতে কাজের মান উন্নত হয়। যারা নাগরিকদের প্রাপ্য সেবা দিতে ব্যর্থ হবে; তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি চাই, সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করুক। কারণ আমি জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের সতর্ক করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, মশার ওষুধ আমাদের কাছে আছে। ওষুধের জন্য চিন্তার কিছু নেই। যত লাগবে দেওয়া হবে। তবে মশার ওষুধ মারতে হবে। আমার মূল কথা হচ্ছে— এটা স্প্রে করতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ যাতে বন্ধ হয়। যারা ফাঁকিবাজি করবে আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই দুই মাস শীতকাল যতদিন থাকবে কিউলেক্স মশা বাড়তে থাকবে। এ মশাগুলো খুবই ডিস্টার্ব করবে। মানুষের দুর্ভোগ যাতে না হয়; এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। অন্যথায় কাজের গাফিলতির জন্য কারো কারো চাকরিও চলে যেতে পারে।
হাজিরা গ্রহণ শেষে ওয়ার্ড কার্যালয়স্থ আরবান হেলথ সেন্টার পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি বলেন, এখানে ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাতৃসদন সেন্টার করার পরিকল্পনা আছে। যেহেতু এখানে চসিকের কিছু জায়গা রয়েছে, তাই এই এলাকার রোগীদের জন্য একটি ছোট মাতৃসদন সেন্টার করার চেষ্টা করছি। যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে এ ধরনের সেন্টার চালু করা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের কাছে আরো সহজে পৌঁছে যাবে। তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে এখানে নিয়মিত ৪০-৫০ জন রোগী দেখা হয়। তবে আমি চাই এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০-২০০ জনে উন্নীত করা হোক। এরকম সুন্দর একটি জায়গায় এত কম রোগী কেন আসে, সেটা আমার বোধগম্য নয়। এজন্য আমি আরো বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সবজির বাজার চড়া, কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে ফের সবজরি দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দর আবারও উর্ধমূখী। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার এবং বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়েনি। তবে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে।বিক্রেতারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির দাম আড়ত পর্যায়ে বেশি হওয়ায় খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শেষে দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছিল। কিন্তু গত দুইদিনে কেজিতে অন্তঃত ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। এরপরও খুচরায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারির হিসেবে পেঁয়াজের দর খুচরায় প্রতিকেজি ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ মজুত রয়ে যাওয়ায় তাদের বাড়তি দামে বেচতে হচ্ছে।বাজারে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে শীতকালীন অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দেখা গেছে। বাজারে টমেটো মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, নতুন শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল, দেশি পটল, দেশি গাজর, দেশি শসা, ছোট করলা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, কচুরমুখী, লাউ, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল।তবে ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মতোই আছে। শালগমের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা হয়েছে। বগুড়ার নতুন আলুর দাম কেজিতে অন্তঃত ৪০ টাকা কমে প্রতিকেজি ৪০ টাকায় এবং

মুন্সীগঞ্জের পুরোনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার পুরনো আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি। সরকারিভাবে নির্ধারিত প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা ও খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার মধ্যে এলাচ প্রতিকেজি ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।


চালের মধ্যে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা প্রতিকেজি ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের মধ্যে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস দেশি হাঁস ৫০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের চীনা হাঁস প্রতি পিস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা থেকে কমে ১১০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশি হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মাছের মধ্যে লইট্যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,

নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।বাজারে এখন ইলিশ আর তেমন নেই। তবে ৭-৮টি মিলে ওজনে এক কেজি হয় এমন কিছু ইলিশ এখনও সীমিত আকারে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামে পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোরের ক্ষুদে ম্যারাথন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবি সিরিষতলায় ‘ক্ষুদেদের ম্যারাথনে’ পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। শুক্রবার কুয়াশা মাখা ভোরে সূর্যের আবির্ভাবের সাথে সাথে সিআরবি সংলগ্ন পাহাড় ও সড়কে অনুষ্ঠিত হয় ফুলকি স্কুলের কচি কাঁচা শিক্ষার্থীদের এই ‘ক্ষুদেদের ম্যারাথন’। বয়স অনুযায়ী ৫ কিলোমিটার, ২ কিলোমিটার ও ১ কিলোমিটার দূরত্বে ৫৩১ জন শিশু-কিশোর দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, ১৯৭৬ সাল থেকে ফুলকির পথচলা। শিশুকিশোরদের মানসবিকাশে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল কাজকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে ফুলকি পরিবারের সকল কর্মী। ২০২৫ সালে ফুলকির ৫০ পদার্পণের বছর সুবর্ণজয়ন্তীবর্ষ। ২০২৬ হবে এর ৫০ পূর্তি বছর।এ উপলক্ষে সারা বছর নানা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ফুলকির।
শিরীষতলা মাঠে জাতীয় সঙ্গীত ও পরে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে ক্ষুদেদের ম্যারাথন উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বাবর আলী, ফুলকি ট্রাস্টের সভাপতি আবুল মোমেন ও সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন।

সকাল ৭টায় সিআরবি সাত রাস্তা থেকে প্রথমে ৫ কিলোমিটার অংশগ্রহণকারীদের দৌড় শুরু হয়। এরপরই ২ কিলোমিটার ও ১ কিলোমিটার দৌড় শুরু হয়। ৫ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বর্ণময় সেনগুপ্ত, মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় নুসরাত জাহান ইমা। ২ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় মো. আরহাম হোসেন, মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় মানহা জাফরিন। ১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজদ্বীপ চক্রবর্তী, মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় নাজিয়া কাওসার।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রত্যেক ক্যাটাগরি থেকে সেরা ৫ জন ছেলে ও সেরা ৫ জন মেয়েকে ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও সকল দৌড় সম্পন্নকারীদের মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাবর আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দৌড়ে অংশগ্রহণ করছ, নিজেদের মেলে ধরেছ, এটা যেন থেমে না যায়, এই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। ফুলকির সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন বলেন, জীবনের গতিও যেন সর্বদা চলমান ও অর্থবহ হয়।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র শিশু-কিশোরদের জন্য এ ধরনের আয়োজন সম্ভবত এই প্রথম। ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নগরের আরও ৩৩টি বিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন বয়সি শিশু-কিশোরেরা এতে যুক্ত হয়েছে। এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ও এসএমসি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ফুলকির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ