আজঃ শুক্রবার ৭ নভেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনায় ৭ দিন ব্যাপী কমরেড মণি সিংহ মেলা

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল, নেত্রকোনা ঃ

  1.  নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কমরেড মণি সিংহের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে সাত দিনব্যাপী কমরেড মণি সিংহ মেলা শুরু হয়েছে। টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. দিবালোক সিংহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, ওয়াহেদ আলী, সিরাজুল ইসলাম, মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় কুমার সাহা,
জেলা বিএনপি‘র সাবেক সহ:সভাপতি ইমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল,
যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল করিম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব সম্রাট গনি, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এমদাদুল হক মিল্লাত, কমরেড হাফিজুল ইসলাম, সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি নলিনী কান্ত সরকার, কবি বিদ্যুৎ সরকার, কবি শফিউল আলম স্বপন,উপজেলা সিপিবির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, সদস্য শামছুল আলম খান, সমাজসেবক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, যুব ইউনিয়ন সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মহান নেতার স্মৃতির প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

এরপর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে কমরেড মণি সিংহ স্মরনে শোভাযাত্রা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

সাতদিনব্যাপী মেলায় মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী,
জাতীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিদিনই থাকবে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এম কে সি এম মাঠ চত্বরে মেলায় তিন শতাধিক দোকান বসেছে।মেলা চলবে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, টংক আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন কমরেড মণি সিংহ।

১৯০১ সালের ২৮ জুলাই কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম মণি সিংহের।১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী কমরেড মনিসিংহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে তিনি পার্টির দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরন করেন।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সভা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলেওয়াত করেন-অর্থ সম্পাদক আবু হানিফ বুলবুল। সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ এর সঞ্চালনায় অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রানবন্ত আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভায় অর্থ সম্পাদক আহমদ কবির পরিষদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সভায় সর্বসম্মতভাবে অক্টোবর/২৪ হতে সেপ্টেম্বর/২৫ পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের উপ-কমিটি কর্তৃক দাখিলী খসড়া প্রতিবেদনএবং অবসরকালীন সম্মানী ভাতা পুনঃ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

পরবর্তীতে সভায় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোঃ সাইফুদ্দিন পারভেজ, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির নেছার আহম্মদ, সহ-সভাপতি- এস.এম. মোরশেদ, সহ-সভাপতি- মোঃ ইলিয়াছ, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার ফারুকুল আলম ও পেশকার ওমর ফারুক প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ
সংগঠনের গৃহীত বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনান্তে আগামীদিনে আরও ভালো কিছু করার ইচ্ছাপোষণ করেন।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব,ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাংগঠনিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, জেলা শাখার উদ্যোগে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংগঠনিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মীর মো: খালেদ হাসানের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল-ময়মনসিংহ জেলা শাখার সম্মেলন, প্রতিটি উপজেলা সম্মেলন ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন ইত্যাদি।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব রাজভর বিপীন,জেলা কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি আ: হান্নান আল আজাদ,জেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম,মিজানুর রহমান সোহাগ,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম,সভাপতি,ময়মনসিংহ মহানগর শাখা,মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল ফকির,ত্রিশাল শাখার সভাপতি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ,শ্যামগন্জ শাখার সভাপতি রফিকুল হাসান আজমী (মিথুন),ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মীর মো: শওকত আহসান (মীর বাবুল),সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম সাগর,আহ্বায়ক, কেন্দুয়া,নেত্রকোণা,সাংবাদিক রাজু,সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম,সাংবাদিক ফারহানা নুপুর,শেফালী হামিদ,ঈশ্বরগন্জ শাখা,সাংবাদিক সোহেল রাজ,সাংবাদিক ইকবাল হোসেন,সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম,মোমিন তালুকদার, সাংবাদিক সোহাগ আকন্দ প্রমুখ।

উক্ত আলোচনা সভায়,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শামীম তালুকদার বলেন,বিশিষ্ট সাংবাদিক ফরিদ খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সংগঠনের মূল লক্ষ্য -‘জনস্বার্থে সাংবাদিকতা,সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা। ‘গভ: রেজি : সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ফরিদ খান।সংগঠনের গভ: রেজি: নং -৯৮৭৩৬/১২।সমগ্র দেশে সাতশত এর অধিক শাখা কমিটি রয়েছে উক্ত সংগঠনের।

পরিশেষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খানের সুস্বাস্হ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভার সভাপতি শামীম তালুকদার সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ