আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ অপারেটর-শিপিং এজেন্ট দ্বন্দ্ব, নিরসনের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের মধ্যে জটিলতা ও দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।জাহাজের অনবোর্ড অপারেশন নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিং কাজ ধীরগতি করা ও কিছু ডকুমেন্টেশন কাজ বন্ধ করার অভিযোগ তুলেছে শিপিং এজেন্টরা। তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বন্দরের মধ্যস্থতায় সমাধানের চেষ্টা চলমান রয়েছে।

 

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি-৯ ও জিসিবি-১০ বার্থে থাকা দুই জাহাজে চলমান কাজের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন। প্রতিবছর জাহাজের অনবোর্ড অপারেশন বিলে শ্রমিক মজুরী বৃদ্ধির সময় আসলে এমন জটিলতা দেখা দিলেও এবারের দ্বন্দ্ব শুরু হয় গত অক্টোবরে বার্থ অপারেটরের পক্ষ থেকে বন্দরকে এক চিঠি দেওয়ার পর থেকে

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল ও জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ করে বন্দরের সাথে ৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ বার্থ অপারেটরস ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা। তবে চুক্তির পরেও বর্তমানে বার্থ অপারেটর সেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে চুক্তি সংশোধন করে ৫৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির দাবি তোলে বন্দরে নিয়োজিত বার্থ অপারেটররা।
এদিকে জাহাজের অনবোর্ড অপারেশন নিয়ে বার্থ অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা বলছে, জাহাজে কাজ বন্ধ নেই এবং জাহাজ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়েই জাহাজ ছেড়ে যাবে। তার আগে অভিযোগ করা ভিত্তিহীন। বিভিন্ন ডকুমেন্টশনের যে অতিরিক্ত কাজ বার্থ অপারেটররা করে সেটি চুক্তির বাইরে। সেটি তাদের কাজ নয়।

গত বছরের ২৪ অক্টোবর বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিল বার্থ অপারেটরস, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরস এন্ড টার্মিনাল অপারেটরস ওনার্স এসোসিয়েশন। ওই সময় আগাম জানানো হয়েছিল, সেবা চার্জ বৃদ্ধি করা না হলে চুক্তির বাইরে বার্থ অপারেটররা শিপিং এজেন্টদের যেসব অতিরিক্ত কাজ তারা করে দেন সে সব আর চলমান রাখা সম্ভব হবে না।

এদিকে জাহাজের বার্থ অপারেটরদের জাহাজে অন বোর্ড অপারেশন বিল পরিশোধ করে শিপিং এজেন্টরা। তারা উভয় পক্ষকে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) গত বছরের ১২ নভেম্বর এক সভায় বসেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্থ অপারেটরকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে অনবোর্ড অপারেশন হ্যান্ডলিং রেট বৃদ্ধির পূর্ণাঙ্গ যৌক্তিকতা তুলে ধরে লিখিত প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়।
সেই প্রস্তাবনা বন্দর কর্তৃপক্ষ শিপিং এজেন্টদের কাছে পাঠায় এবং বার্থ অপারেটরদের যৌক্তিকতার ওপর শিপিং এজেন্টদের মতামত লিখিত আকারে দিতে বলা হয়। উভয় পক্ষের লিখিত মতামত নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আবার সভা হওয়ার কথা থাকলেও এখনো সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তার আগেই দুই পক্ষ একে অপরকে অভিযোগ করছেন।

 

বার্থ অপারেটরদের পক্ষ থেকে বন্দরকে দেওয়া চিঠিতে খরচের যে বিবরণী উল্লেখ করা হয় তাতে দেখা যায় প্রতি বক্স কনটেইনারে বার্থ অপারেটরদের ৩৫৩ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে প্রতি কনটেইনারে বার্থ অপারেটরেরা ৬৬২ টাকা লাভ করে।এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির সমাধান করতে জরুরি সভা চান উভয় পক্ষ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধান উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। এরপর তিনি জলাবদ্ধতা সামনের বর্ষা মৌসুমে আগের তুলনায় অর্ধেকে এবং ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদের ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ বছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে, তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে যদি এবছর আশানুরূপ ফল না আসে তাহলে তো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।

চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে একটি প্রতীকী সমস্যা এবং খুবই জটিল সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে অন্যান্য শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। তাই চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় হতে হবে এবং নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্েয সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম
বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন প্রধান উপদেষ্টার

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর আগে, চট্টগ্রাম বন্দরে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সড়ক পথে সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এ সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্খিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ