আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আজমতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত

বদিউজ্জামান রাজাবাবু   চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া গ্রামসংলগ্ন আজমতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ) এর গুলিতে শহিদুল ইসলাম (২৫) নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

 

আহত শহিদুল বাগিচাপাড়া (চাকপাড়া) গ্রামের মো: আনারুলের ছেলে। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে (১১ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।বিজিবি জানিয়েছে, মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৮২ থেকে প্রায় ১৩০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল আহত হন।

আহত অবস্থায় শহিদুল ৫-৬ জন সহযোগীসহ পালিয়ে এসে গোপনে অজ্ঞাতস্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অন্য সহযোগীরাও পলাতক রয়েছেন। বিজিবি আরও জানায়, শহিদুল চোরাকারবারে জড়িত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ২৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, একটি টর্চ লাইট এবং একটি হাসুয়া জব্দ করা হয়েছে।

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, আজমতপুর বিওপি’র বিপরীতে ১১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শশানী ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো পতাকা বৈঠক হয়নি, তবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে। এছাড়াও শহিদুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে।

  1. শাহাবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজামুল হক জানান, রাত ২টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত একজন আহত হন। কেউ কেউ দু’জন আহত হওয়ার কথাও বলেছেন। আহত একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও শোনা গেছে। তবে তীব্র শীতের গভীর রাতের এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য স্থানীয়রা অনেকেই জানেন না বা মুখ খুলতে চান না।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজমতপুর সীমান্তে গুলি ঘটনা ঘটেছে এবং একজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

উল্লেখ্য, গত ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চার দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করে। বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে স্থানীয়দের সহায়তায় অবৈধস্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বিজিবি ও স্থানীয়দের তীব্র বাধার মুখে তারা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে দশ লক্ষ গাছ রোপন করা হবে।

১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ‘ মেরি এন’ স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে যে ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে তা এখনো স্বজনহারা মানুষ ভুলতে পারেনি। ওই সময়ের ঘূর্ণিঝড় ছিলো ভয়াল এক ট্রাজেডি।

মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। একই সাথে আমাদেরকে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে মেয়র শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ লাখ চারা রোপন করা হবে বলে জানান। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ তান্ডবের চিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে স্বজনহারানো মানুষগুলো ঘরবাড়ির পাশাপাশি খাদ্য সংকটে ভুগছিল। আমরা উপকূল অঞ্চলের বাঁশখালী, আনোয়ারা, শহরের মধ্যে গতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেই করুণ দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই আগামীতে উপকূল রক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনীতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপকমিটির আহবায়ক গোলাম মাওলা মুরাদ, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শিশির বড়ুয়া ও রূপম চক্রবর্তী, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল বিজনেস বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত চৌধুরী, এম এ হোসাইন, সাইফি আনোয়ার আজিম প্রমুখ।


প্রদর্শনীতে ৫০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসব ছবিতে ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ফুটে উঠে।কাকঁডার ভোজ শিরোনামে প্রদর্শিত একটি ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে আলোকচিত্রী শিশির বডুয়া বলেন, একটি লাশকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাল কাকঁডার দল পুরোপুরি নিঃশেষ করতে দেখেছি।

সেই বীভৎস চিত্র ধারণ করেছি আমার ক্যামেরায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৯১ এর ভয়াবহতার চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো চোখে ভাসলে এখনো কষ্ট পাই। তিনি দুর্লভ এই ছবিগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

তরুণ দলকে জাতীয়তাবাদের আদর্শে ঢেলে সাজাতে তরুণ দলের কার্য পরিকল্পনার আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল।

বি,এন,পির, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান এর নির্দেশনা মোতাবেক ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং গাজা সহ ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দল (চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা) নেতা কর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দলকে জাতীয়তাবাদের আদর্শে ঢেলে সাজাতে তরুণ দলের আগামী কার্য পরিকল্পনার আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দল এর অফিস কার্যালয়ে সভা আয়োজিত হয় উক্ত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দলের টিম প্রধান ও তরুণ দল কেন্দ্রীয় সংসদের সংগ্রামী সহ-সভাপতি -লায়ন রাসেল মির্জা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক- আমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সোহেল সওদাগর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ দিদার, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- সাইদুর রহমান, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি- আলি আজম, এডভোকেট আবু হানিফ, মোঃ ফারুক, সিএনজি অটো রিক্সা শ্রমিক দল চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি – রাকিব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর তরুণ দল সংগঠক আব্দুল কাদের , জাহিদুল ইসলাম , হাসান, মহানগর তরুণ দল থানা আহ্বায়ক- আবদুল সালাম টিপু (ডবলমরিং ), আহ্বায়ক- ফরহাদ মাহমুদ ও সদস্য সচিব সাকিল (বায়েজিদ) , রাসেল উদ্দিন (চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা), সহ সাধারণ সম্পাদক – সানি (সদরঘাট)
পারভেজ, কাজী মোঃ নোমান, দিদার, শাকিল, হারুন, এমরান, রুবেল, সুমন, মিন্টু, ইব্রাহিম বাপ্পি, মুন্না, আরাফাত, আলামিন, মোমিন, আরিফ, সবুজ, রফিকুল, ফারুক, সোহেল
সহ চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা তরুণদল নেতৃবৃন্দ।

এসময় আলোচনা সভা শেষ করে নেতা কর্মীরা একটি প্রতিবাদী মিছিল করে যাহা “চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে শুরু হয়ে সিমেন্স হোস্টেল” সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ