আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটির আওতায় আনা হবে-মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম নগরীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি হিসেবে গড়তে রোববার বিকালে কাজির দেউরী বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য সংগ্রহের বিন বিতরণ করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মেয়র বেলন, আমার নির্বাচনের মূল কমিটমেন্ট এই শহরকে সুন্দর করা ক্লিন সিটি, গ্রীন সিটি, হেলদি সিটির আওতায় আনা। চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রত্যেকটি মার্কেট ও প্লেসে আমরা বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন বিতরণের শুরু করেছি। দুই-তিন মাস পরে বর্ষা মৌসুম আসছে। বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা আমাদের শহরের প্রধান সমস্যা। জলাবদ্ধতার মূল কারণ হচ্ছে পলিথিন, প্লাস্টিক, কর্কশিটসহ অপচনশীল দ্রব্যাদি। সেগুলিই আমরা যত্রতত্র ফেলি। সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। যত্রতত্র নালা-নর্দমার মধ্যে ফেললে এগুলোই কিন্তু আমাদেরকে মারাত্মক ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অপচনশীল দ্রব্যাদির কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি যাচ্ছে। কাজেই এখন থেকে আমরা গণসচেতনতার অংশ হিসেবে আমরা প্রত্যেক জায়গায় বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন বিতরণের পাশাপাশি নগরীর প্রত্যেকটা দোকান এর আওতায় আনবো।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা আজকে বাজারে ডাস্টবিন বসাচ্ছি। এটা শুধু বাজারে নয় ছোট ছোট ডাস্টবিন প্রত্যেকটা দোকানের সামনে দিয়ে দিব। আমরা চাই ময়লা আবর্জনা সবাই খোলা জায়গায় না ফেলে সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিনগুলোতে যাতে ফেলে। তাহলে আমরা শহরকে সুন্দর রাখতে পারব। আমি মনে করি প্রত্যেকটা দোকানদার তার দোকানের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলবে। কোন পথচারী যদি রাস্তা বা নালায় ময়লা ফেলে তাকে অনুরোধ করবেন ওই ময়লা উঠিয়ে নিয়ে সেটা ডাস্টবিনে ফেলতে। দোকানের সামনে বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন দেওয়ার পরেও ময়লা পড়ে থাকলে সে দোকানের তার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে ।

তিনি বলেন,নগরীতে এখন ব্যানার, পোস্টার দেখতে পাচ্ছি এগুলো নগরীর সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। আপনারা জানেন আমরা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডকে গ্রিন সিটির আওতায় আনতে যাচ্ছি। আমরা প্রথমে গণসচেতনতার দিকে যাচ্ছি। এরপর আইন আছে। নগরীকে সুন্দর করার জন্য আমাদেরকে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। আমি একটু আগে বলেছি ট্রেড লাইসেন্সর কথা। এটা শুধু মুখের কথা নয়। এটা প্র্যাকটিক্যালি আপনারা দেখতে পাবেন। কাজেই আমরা আপনাদেরকে বলতে চাই যে, এ শহর হচ্ছে আমাদের সবার। এই শহর আমার একার নয়। এই শহর মধ্যে আপনারা হাঁটছেন, আপনার নেক্সট জেনারেশন হাঁটবে, আপনার ছেলেরা হাঁটবে। কাজেই এই শহরকে সুন্দর করার দায়িত্ব আপনাদের আমাদের সবার।
বিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরি”ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম ,জিয়াউদ্দীন খালেদ, ডা. সরওয়ার আলম, জাকির হোসেন, নুর হোসেন, শফিক আহমেদ, চউক কাজির দেউরি কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম সর্দার, শফিকুল ইসলাম খোকন, নাছির, সরোয়ার, আবুল হোসেন, ইকবাল হোসেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী নিউ মার্কেটে পণ্য কিনে পুরষ্কার জিতে নিন

রাজশাহী নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতুর ও নববর্ষ উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার পন্য ক্রয় নিয়ে জিতে নিতে পারেন প্রথম পুরস্কার সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল। দ্বিতীয় পুরস্কার দুই পাল্লার ফ্রিজ। তৃতীয় পুরস্কার সোনার চেন। এছাড়াও রয়েছে মোট ১০১ টি পুরস্কার আগামী ১৮ই এপ্রিল রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিনই বিজয়ী কুপন নাম্বারের পুরস্কার দেওয়া হবে। অনেক পরে এরকম একটি আয়োজন করতে পেরে রাজশাহী নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি অত্যন্ত আনন্দিত।

সকল ক্রেতা সাধারনকে রাজশাহী নিউমার্কেটে ঈদুল ফিতর এবং নববর্ষের আনন্দ কে ভাগাভাগি করে নিতে উনাদের এই আয়োজন করেছেন। আগামীতে ক্রেতা সাধারণের জন্য আরও বড় আকারে এই ধরনের ব্যতিক্রম ধরণের উপহারের ব্যবস্থা করা হবে। এই ক্যম্পেইন চলাকালীন সময়ে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন

এনআইডি পরিষেবা নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন।

জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাভ লেইন মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে

আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রকে (এনআইডি) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন একটি কমিশনে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা রাতের ভোটের আয়োজক ও কুশীলবদেও সাজানো একটি ষড়যন্ত্র ছিল। একই অবস্থা সামনের দিনগুলোকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনে ৩৫টি বা তার বেশি তথ্য উপাত্ত বোনাস হিসেবে আসেনি। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও দিনরাত

পরিশ্রমের ফল। ভোটার তালিকা প্রণয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যদি সকল তথ্য ভান্ডারকে একসাথে করতে হয় এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সর্বোত্তম সাংবিধানিক ও শক্তিশালী জাতীয় প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া অতি স্বাভাবিক।

কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, এক বা একাধিক
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান করে এনআইডিসহ অন্যান্য তথ্য ভান্ডারকে আরও সুসংগত করা যায়। নির্বাচন
কমিশনকে একই সময়ে বিদায় না দিয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই জন করে নিয়োগ ও বিদায় নিলে তথ্য ভান্ডারসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও
সুশৃঙ্খলতায় আনা যায় এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সিনেটের মত জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা সম্ভব। এতে করে আমাদের ঘুণেধরা ও ক্ষয়িষ্ণু সহমর্মিতা রক্ষা করাসহ জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক অতি মর্যাদা বিবেচনা করে তাকে কর্মহীন করা ও তার অর্জিত কর্মক্ষমতাকে কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো ধর্মীয় গ্রন্থকে না পড়ে গিলাব বেঁধে উপরের থাকে তুলে রাখা একই অন্ধত্ব ও জাতীয় বিভ্রান্তি। অন্যথায় ডাল হৌসির নীতির মত এক ডিপার্টমেন্টের অর্জনকে অন্য ডিপার্টমেন্টে/কমিশনে নিয়ে গেলে বিভিন্ন বিভাগের

ইনোভেশনসহ জাতীয় উন্নয়নের মনোবল ধ্বংস হতে পারে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জোর দাবী জানান নির্বাচন কর্মকর্তারা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ