আজঃ শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত উত্তেজনা

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে আবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি এলাকায় এ উত্তেজনা দেখা দেয়।

দুপুর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। তখন চৌকা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছিল।

 

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান,শনিবার দুপুরে সীমান্তে শূন্যরেখার পাশে বাংলাদেশের ভেতরের জমিতে গম কাটতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখন ভারতীয় নাগরিকেরা এসে বাংলাদেশের ভেতরের কয়েকটি আমগাছ কেটে দেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হাঁসুয়ার আঘাতে ও তাঁদের ছোড়া পাথরে কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন।

পরে বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, চৌকা ও কিরণগঞ্জ ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্ত পিলার ১৭৭ বরাবর বাংলাদেশের ভেতরে কিছু আমগাছ ছিল। ওই আমগাছ কাটা নিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

তখন শূন্যরেখা বরাবর দুই দেশের নাগরিকেরা দাঁড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির জনবল বাড়ানো হয় এবং তাঁরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পরে বিকেল চারটা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়। যেখানে এ ঘটনার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি গাছ কাটার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পুলিশ একাডেমি থেকে এস, পি তানভীর গ্রেপ্তার

রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর সালেহীন ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) সারোয়ার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, ‘গতরাতে ঢাকা থেকে ডিবির টিম এসে এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে নিয়ে গেছে। কেন, কী অভিযোগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ডিবি বলতে পারবে।’

জানা গেছে, তানভীর সালেহীনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন তানভীর সালেহীন। তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পান। আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি রেকর্ড ২৭ বার কুমিল্লা জেলা পুলিশের সেরা সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০২২ সালে তিনি এসপি হিসেবে পদোন্নতি পান।

এরপর তাকে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) হিসেবে পদায়ন করা হয়। সম্প্রতি সারদায় প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের তার স্বাক্ষরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। একাডেমীর অধ্যক্ষের পক্ষে তিনি তাদের এই শোকজ করছিলেন।

অযোগ্য প্রার্থী যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না হয় :রাবি ভিসি

ফাঁকফোকর দিয়ে ধুরন্ধররা ঠিকই বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয় বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি একথা লিখেছেন। স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা সংস্কার ও নিয়োগে স্বচ্ছতার কথা তুলে ধরেছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি লিখেছেন, অনেক বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে, ইনশাল্লাহ্‌। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দুর্নীতি এবং দলান্ধতার কারণে এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া জটিল হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয় নিয়ে লেখার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি আর সব বিষয়ের মত এই বিষয়টি সামনে এনেও পানি ঘোলা করার একটা চেষ্টা। কিছু বিষয় তাই একদম পরিষ্কার করে দিতে চাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্প কিছু বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এই সমস্ত বিভাগের সম্মতিক্রমে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রক্রিয়ার সব দিক বিবেচনায় নিয়েই আমরা শুরু করব। বেশিরভাগ বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত না। তাদের রি-সার্কুলারে যেতে হবে। যারা প্রস্তুত তারাও চাইলে আবার সার্কুলার দিতে পারে। প্রত্যেকটি বিভাগকে এই ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

আরও উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা ঠিক নেই। আমরা নীতিমালা সংস্কার করব। এইসব বিষয়ে আমার কিছু জানাশোনা আছে। একটি শক্তিশালী কমিটি এই ব্যাপারে কাজ শুরু করবে। নতুন সব সার্কুলার নতুন নীতিমালার অধীনে করতে হবে। এখানে একটি বিষয় একদম পরিষ্কার করে দিতে চাই। নীতিমালার থেকে অনেক ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে নিয়োগ বোর্ডে কারা আছেন। খারাপ মানুষ, কিন্তু খুব ভালো নীতিমালা কাজ করে না। যারা ধুরন্ধর তারা ঠিকই ফাঁকফোকর দিয়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে বিষয়জ্ঞানে ভালো এবং সততা আছে এমন মানুষ বোর্ডে থাকলে নীতিমালা যাই হোক না কেন, যোগ্যতম প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। এটা মনে রাখতে হবে। বর্তমান প্রশাসন এই দিকটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। আস্থা রাখতে হবে। বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে।

অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব লিখেছেন, দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হওয়ার পর থেকেই মনে করেছি, আমি এই পদে বেশিদিন নেই। যাওয়ার আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় বহুদিন ধরে সুফল ভোগ করবে এমন কিছু কাজ করে দিতে চাই। এর ভেতর নিয়োগ একেবারে সামনের দিকে। যদি প্রায় প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ধরণের সঙ্গত অথবা উটকো ঝামেলার ভেতর দিয়ে যেতে না হত তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নতুন নীতিমালার কাজ আরও আগেই শুরু হত। এখন সবকিছুই একসাথে চলবে। আমার হাতে সময় কম। কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চাইলে আস্থা রাখতে হবে। আমরা কী করছি সেটাই হবে আমাদের পরিচয়। সবার সদিচ্ছা এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে যোগ্যতম প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে দেখতে পাবেন, ইনশাল্লাহ।’

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ