আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ, ২০২৫

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটের মাধ্যমে আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে : মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ফেরাতে অডিটের মাধ্যমে আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সোমবার বিকেলে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি ক্যাম্পাসে পুনর্গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনিরের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকালে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির মানোন্নয়নে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মেয়র বলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আর্থিক লেনদেন এবং বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য একটি সিএ ফার্ম দিয়ে অডিট করা হবে। এর মাধ্যমে জমা টাকা এবং খরচের খাতগুলোর সঠিক হিসাব নিশ্চিত করা হবে। নতুন ভিসি, প্রোভিসি এবং ট্রেজারার নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির সব কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ডে বর্তমানে ৯ জন সদস্য আছেন। এদের মধ্যে ৫ জন সক্রিয়ভাবে সভায় অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে ৩ জন সরাসরি এবং ২ জন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। বোর্ডের বাকি ৪ জন সদস্যের মধ্যে একজন সাবেক মেয়র, যিনি মামলার কারণে কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। অন্য দুইজন সাবেক প্যানেল মেয়র যারা নেই। তাদের জায়গায় নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

সাতকানিয়া কেরানীহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযান, ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বুধবার (১২- মার্চ) বিকাল ৩ টায় সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আম্মাজান পাজ্ঞাবি বিতান কে ২৫,০০০/-টাকা, রিমেক্স 69 কে ১৫,০০০/- টাকা, শৈল্পিক কে ১,০০০/- টাকা, আরটিক্স কে ৫,০০০/- টাকা, সু-বাজার কে ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মোট ৫ টি মামলায় সর্বমোট ৯৬,০০০/-টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।

এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব ফারিস্তা করিম, উপজেলা মৎস অফিসার জাকিয়া আবেদিন, ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ