আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেশের যে কোন ক্রাইসিসে জিয়া পরিবার হাল ধরেছে: মেয়র ডা. শাহাত হোসেন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশ নায়ক তারেক রহমান সব সময় দেশের ক্রাইসিসে ভূমিকা রেখেছেন। জিয়া পরিবার দেশের ক্রাইসিসে হাল ধরেছেন। ‘৯০ এর ক্রাইসিসে এবং ‘২৪ এর ছাত্র আন্দোলনের ক্রাইসিসে জিয়া পরিবারের প্রজন্ম তারেক রহমান হাল ধরেছেন। তাই আজকের এই যে বিশ্লেষণ, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমনভাবে ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে আছে উনার নাম মুছে ফেলা কোনক্রমেই সম্ভব না।

তিনি বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল আয়োজিত বিএনপি’র চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর রয়েছে । সেখানে শহীদ জিয়া শেষ স্মৃতি আছে। এ স্মৃতিগুলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেখতে হবে। জানতে হবে। তাহলে ওনার সম্পর্কে আমরা ভালো জানতে পারব। তিনি কি পরিমাণ দেশপ্রেমিক ছিলেন।
চসিক মেয়র বলেন, আরাফাতের ময়দানে যারা হজ করতে গেছেন, এমন কোন হাজি নেই নিম গাছের নিচে গিয়ে জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া করেন না।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সৎ দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শাহাদাত বরণের পর দলের হাল ধরেন আর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি গৃহবধূ থেকে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে ৮০ এর দশকে ছাত্রদলকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠনের পরিণত করেছিল। ওনার সময় ৯৯ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদে বিজয় অর্জন করেছিল ছাত্রদল।

ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা আজকে বিএনপির যে নেতৃত্ব দেখছি ৮০ ও ৯০ দশকের ছাত্র নেতারাই বিএনপিকে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসামান্য অবদানের জন্য তা হয়েছে। এ কারণে ১৯৯০ সালে দেশবাসী তাঁকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছে।

এ অবস্থায় এসে বাংলাদেশের যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি শহীদ জিয়ার সুযোগ্য সন্তান দেশ নায়ক তারেক রহমান। ‘২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকে উনার সাপোর্টের কারণে আন্দোলন পরিপূর্ণতা পায়। ছাত্র-জনতা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সূচনা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিরসাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদকজাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য মোঃ কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষযক সম্পাদক
আমিন মাহমুদ, পশ্চিম বাকলিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতিমোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন ও কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান।

শহিদুল্লাহ শাহজাহান,শাহেদ বক্সস,জিএম আইয়ুব খান,মনজুরুল আলম মনজু,মো গিয়াসউদ্দিন, ভূইয়া,আমিন মাহমুদ,ইব্রাহিম বাচ্চু, মো খোরশেদ আলম, গিয়াসউদ্দিন,শেখ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, মো পিয়ার আহমদ,মো লুৎফুর,মো খোরশেদ,জিয়াউল হক মিন্টু, কামাল উদ্দীন, মো ইদরীস, শেখ কামাল আলম, মো সালাহ উদ্দিন, জসিমউদদীন, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু,সালউদ্দীন বাসু,সাব্বির ইসলাম ফারুক, মো হাছান,আমিনউল্লাহ,মোস্তাকিম মাহমুদ, জাকির

হোসেন,মো মুরাদ,মো সোহেল,জাবেদুল হক,সাদ্দামুল হক,রিদওনুল হক রিদু,মো ইউনুস,রেজিয়া বেগম মুন্নি, কামরুন নিছা,নাছরিন,কানিজ ফাতেমা, শফিউল বশর সাজু,ইয়াকুব খান, মো জাহেদ, রাকিবুল হাসান, মো রায়হান, মো মিজান,ওমর ফারুক রানা,শহিদুল করিম শহিদ,রহিম মিনু,মোস্তফা আলম কিশোর,আলমগির, মামুন,মো সানি,আবুল হোসেন,মো ফরিদ,ইউনুস,জিসান,সাব্বির, মো আব্বাস, আহমেদ,ফরুক,রবিউল,মহসীন প্রমুখ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ