আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভাসছে ২০ লাখ টনের বেশি পণ্যভর্তি জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে রমজানে চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২০ লাখ টনের বেশি পণ্যভর্তি জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবছর রমজানে বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডাল, ছোলা, খেজুরসহ নানা নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক যোগান ব্যাহত হলে বেড়ে যায় মজুদদারি ও দাম। মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে পড়ে। এজন্য রমজান সামনে রেখে দেশের মানুষ ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ে শংকিত থাকে।

জানা গেছে, রমজানকে সামনে নিয়ে বন্দরে ভিড়ছে একের পর এক জাহাজ। রাতে-দিনে চলছে পণ্য খালাস। এতে জনগণের পাশাপাশি সরকারেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, রমজানকে সামনে রেখে পণ্য আমদানি বেড়েছে। কয়েক মাসের স্থবিরতা কেটে ডিসেম্বর থেকে দেশের আমদানি বাণিজ্য পুরোদমে গতি পেয়েছে। ওই মাসে মোট পণ্য আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টন। চলতি জানুয়ারি মাসেও পণ্য আমদানির একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রচুর পণ্য পাইপলাইনে রয়েছে।

ডিসেম্বর মাসের পণ্য আমদানি এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তা অস্থিতিশীল সময়ের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতন এবং এস আলম, বসুন্ধরাসহ বড় বড় অনেক আমদানিকারকের বেহাল অবস্থায় দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ে শংকা তৈরি হয়েছিল। অনেকে দেশের সাপ্লাই চেইন নিয়ে শংকিত ছিলেন। কিন্তু সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে দেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানিতে গতি সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র বলেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টন; যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ কোটি ৫৮ লাখ টন। আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ। যা অনেকটা স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি।
গত ডিসেম্বরে ভোজ্যতেল, পাম ও সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টন। চিনি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার টন। পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৮২ হাজার টন। ডাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার টন। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে ছোলা আমদানি হয়েছে ২৮ হাজার ৩৩৪ টন। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ হাজার ৬৭৬ টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৮ টন। এভাবে রমজানের প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হওয়ায় বাজারে সংকট থাকবে না বলে মন্তব্য করে সূত্র বলেছে, তবে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মানুষের কষ্ট বাড়বে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রচুর পণ্য আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিনই শুল্কায়ন হচ্ছে, প্রতিদিন পণ্য খালাস হচ্ছে। সাগরে পণ্য নিয়ে অনেক জাহাজ অপেক্ষায় আছে।

ইস্টার্ন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রমজান সামনে রেখে প্রচুর এলসি হয়েছে। অনেক পণ্য এসে গেছে। আরো আসবে। খেজুর এবং ছোলাসহ নানা পণ্যের এলসি এখনো খোলা হচ্ছে। ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করায় এলসির পরিমাণ বেড়েছে। তিনি বলেন, বড় কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাঠে না থাকলেও অনেক ছোট আমদানিকারক সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ : খুলশী ক্লাবকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর ফয়েজ লেক এলাকায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে খুলশী ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সোনিয়া সুলতানা এ ক্ষতিপূরণ আরোপ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই দপ্তরের পরিদর্শক রুম্পা শিকদার। তিনি জানান, খুলশী থানাধীন ফয়েজ লেক এলাকায় খুলশী ক্লাব সংলগ্ন পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ মার্চ দপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ, পরিদর্শক রুম্পা শিকদার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন, মনির হোসেনসহ এনফোর্সমেন্ট টিম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকালে তারা দেখতে পান খুলশী ক্লাব সংলগ্ন পাহাড়টি ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাটা হয়েছে। খুলসী ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাহাড় কেটে তারা ক্লাবের সীমানার ভিতরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ

পরিচালনা করছিলেন। জানা যায় ওই ভূমিটির শ্রেণি পাহাড় ও টিলা। গত ১১ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বলা হয়, ৪৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট পাহাড় সরকারের অনুমতি ছাড়া কেটে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই আইনের ৬ এর খ ধারা অনুসারে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হলো।

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে রিকশাচালকের মৃত্যু

আ.লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, রিকশাচালকের মৃত্যু
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকি (৫৮) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, ওই সংঘর্ষের সময় রিকশাচালক গোলাম হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার মাথায় আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তার জ্ঞান ফেরেনি। সন্ধ্যার পর তিনি মারা গেছেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, আহত রিকশাচালক মারা গেছে বলে শুনেছি। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আগের দিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান এবং তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে ওই সংঘর্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক গোলাম হোসেন ওই রাতে রিকশা রেখে হেঁটে ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন একটি গ্রুপ তাকে আরেক গ্রুপের লোক ভেবে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিহত গোলাম হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়ায়। রাজশাহী নগরের দড়িখড়বোনা মহল্লায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। শহরে রিকশা চালিয়ে তিনি সংসার চালাতেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ