আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভাসছে ২০ লাখ টনের বেশি পণ্যভর্তি জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে রমজানে চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২০ লাখ টনের বেশি পণ্যভর্তি জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবছর রমজানে বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডাল, ছোলা, খেজুরসহ নানা নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক যোগান ব্যাহত হলে বেড়ে যায় মজুদদারি ও দাম। মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে পড়ে। এজন্য রমজান সামনে রেখে দেশের মানুষ ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ে শংকিত থাকে।

জানা গেছে, রমজানকে সামনে নিয়ে বন্দরে ভিড়ছে একের পর এক জাহাজ। রাতে-দিনে চলছে পণ্য খালাস। এতে জনগণের পাশাপাশি সরকারেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, রমজানকে সামনে রেখে পণ্য আমদানি বেড়েছে। কয়েক মাসের স্থবিরতা কেটে ডিসেম্বর থেকে দেশের আমদানি বাণিজ্য পুরোদমে গতি পেয়েছে। ওই মাসে মোট পণ্য আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টন। চলতি জানুয়ারি মাসেও পণ্য আমদানির একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রচুর পণ্য পাইপলাইনে রয়েছে।

ডিসেম্বর মাসের পণ্য আমদানি এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তা অস্থিতিশীল সময়ের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতন এবং এস আলম, বসুন্ধরাসহ বড় বড় অনেক আমদানিকারকের বেহাল অবস্থায় দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ে শংকা তৈরি হয়েছিল। অনেকে দেশের সাপ্লাই চেইন নিয়ে শংকিত ছিলেন। কিন্তু সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে দেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানিতে গতি সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র বলেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টন; যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ কোটি ৫৮ লাখ টন। আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ। যা অনেকটা স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি।
গত ডিসেম্বরে ভোজ্যতেল, পাম ও সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টন। চিনি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার টন। পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৮২ হাজার টন। ডাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার টন। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে ছোলা আমদানি হয়েছে ২৮ হাজার ৩৩৪ টন। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ হাজার ৬৭৬ টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৮ টন। এভাবে রমজানের প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হওয়ায় বাজারে সংকট থাকবে না বলে মন্তব্য করে সূত্র বলেছে, তবে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মানুষের কষ্ট বাড়বে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রচুর পণ্য আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিনই শুল্কায়ন হচ্ছে, প্রতিদিন পণ্য খালাস হচ্ছে। সাগরে পণ্য নিয়ে অনেক জাহাজ অপেক্ষায় আছে।

ইস্টার্ন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রমজান সামনে রেখে প্রচুর এলসি হয়েছে। অনেক পণ্য এসে গেছে। আরো আসবে। খেজুর এবং ছোলাসহ নানা পণ্যের এলসি এখনো খোলা হচ্ছে। ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করায় এলসির পরিমাণ বেড়েছে। তিনি বলেন, বড় কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাঠে না থাকলেও অনেক ছোট আমদানিকারক সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ