
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মালিকানা দাবী করে গ্রাম্য রাস্তা কেটে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। সংকুচিত রাস্তায় শিক্ষার্থী ও জনসাধারনের চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে রিক্সা-ভ্যানসহ তিন চাকার যানবাহন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বাঘারপুষ্করনী মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম ও এতিমখানা এবং বাঘারপুষ্করনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পাশবর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের কয়েকশ লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। ওই গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন রাস্তাটি তার জমির উপর বয়ে গেছে দাবী করে তার আংশিক কেটে ফেলে। এতে রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারন লোকজনের চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মহিউদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে তিনি বলেন, ‘কারো বাপ দাদার সম্পত্তির উপরে নয়, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপরে রাস্তা হওয়ায় ৫ ফুট জায়গা রেখে আমি বাকিটুকু কেটে ফেলেছি। উপজেলায় অভিযোগ করে কী হবে, কেউ আমার কিছু করতে পারবেনা।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহিন জানান, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে। গতবছর আমাদের অর্থায়নে রাস্তাটি মেরামত হয়েছিল। অথচ স্থানীয় বিল্লাল হোসেন তার জায়গা দাবী করে রাস্তাটি কেটে ফেলে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাহবুবুল হক জানান, ‘ আমার ছোটবেলা থেকে ৭০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। এখন বিল্লাল নিজের জমির উপর রাস্তাটি দাবী করে তা কেটে ফেলছে। সে ওই জায়গা দিয়ে কাউকে চলেতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। এমনকি যানবাহন চলাচলে বাঁধা দেয়। প্রতিবাদ করলে সংঘবদ্ধভাবে মারতে আসে।’

বাঘারপুষ্করনী মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম ও এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা জাহিদ হোসেন বলেন, বর্ষাকালে ওই রাস্তায় হাঁটু সমান পানি থাকে, এতে করে শিশু শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের চলাচলে অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ‘অভিযুক্ত বিল্লালের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে রাস্তাটি তার নিজের জায়গায় হওয়ায় সেটির বেশ কিছু অংশ কেটে ফেলছে বলে জানান। এতে কারো ক্ষতি হওয়ার কথা অস্বীকার করে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘রাস্তা কাটার একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’