আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৭ কর্মকর্তা পাচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর সাত কর্মকর্তা পূর্ণাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে প্রেষণে থাকা এই সাত কর্মকর্তার পূর্ণাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে চসিক।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে আরো দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে চসিক। চিঠি দেয়ার পর সাত কর্মদিবস পার হলেও এখনো পর্যন্ত সাত কর্মকর্তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে কোন ম্যাজিস্ট্রেট পায়নি চসিক। তবে দু’এক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চসিকের সাত কর্মকর্তার বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর একটি চিঠিও দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যা আমলে নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ২৯ জানুয়ারি সেই অনুমতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দেন। যা বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।
চসিকের এই সাত কর্মকর্তারা হলেন- চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম, শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রেষণে থাকা চসিকের সাত কর্মকর্তাকে পূর্ণাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যা বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। এছাড়া, বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি, সেগুলো আমরা এখনো পাইনি। আমরা আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট পাবো। তিনি আরো বলেন, এটা অনুমোদন পেলে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালাবো। মূলত, যারা খাল-পাহাড় দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা করেছে বা করছে তাদের আইনের আওতায় আনবো। এছাড়াও যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেখানে সেখানে ময়লা ফেলছে, তাদের আমরা আইনের আওতায় আনবো।

চসিক সূত্রে জানা যায়, চসিকের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অভিযান চালাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাধা/সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেসব সমস্যা সমাধানে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনাসহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হয়। যা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া সম্ভব নয়। এছাড়া, সিডিএ’র ৩৬ খাল নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাইরে ২১ খালে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছে চসিক। খাল ও পাহাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চসিকের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- স্থানীয় সরকার কাঠামোর একটি অন্যতম স্তর হলো সিটি কর্পোরেশন। সেখানে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন আইন, বিধি, নীতি, বাস্তবায়ন তথা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়ে থাকে। এসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন জনহিতকর কাজ বাস্তবায়ন/সম্পাদনের ক্ষেত্রে প্রায়শঃ বিভিন্ন ধরনের বাধা/সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। উক্ত সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনাসহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হয়।

ঢাকা শহরের পর পরই বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রাম শহরের অবস্থান। আর এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই এ শহরের জনসংখ্যা, বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সেবা কার্যক্রমও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া সমুদ্রের নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যরে ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হলে নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে নিরসন করা সম্ভব। এছাড়াও নগরীর অবৈধ উচ্ছেদসহ শহরের শৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি সেবা কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায়, বিষয়টি সদয় বিবেচনাপূর্বক অত্র সিটি কর্পোরেশনে প্রেষণে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের নিম্নোক্ত কর্মকর্তাদের দ্যা কোড ক্রিমিনাল প্রোসেডিউর ১৮৯৮ এর ১০ (৫) ধারা অনুযায়ী- এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণপূর্বক মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অর্পণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শিক্ষকদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে – সালমা ইসলাম

বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার সালমা ইসলাম বলেছেন -শিক্ষকদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, এতেই শিক্ষকরা শিক্ষাদানে আরো আন্তরিক হয়ে জাতি গঠনে সচেষ্ট হবে এর মধ্যে দিয়ে আমাদের আগামী প্রজন্ম বিশ্বায়নের চ্যালেন্জ মোকাবেলার সক্ষম হব।দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে কর্মচারী ঐক্যজোট বোয়ালখালী শাখা আয়োজিত শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন তিনি। সংগঠনের সহ সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মনজুর আলমের সঞ্চালনায় গোমদন্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষক- কর্মচারী ঐক্যজোট জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ ওসমান গনি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাংবাদিক এম এ মন্নান,অধ্যাপক কায়সারুল হক,প্রধান শিক্ষক এস এম খসরু পারভেজ,বক্তব্য রাখেন অধ্যাপিকা সাবেরা শারমিন,আরেফা খানম,প্রভাষক মিজানুর রহমান,বাবর উদ্দিন,মনসুর আলী,ইয়াছিন চৌধুরী, মোঃ
সাইফুদ্দীন,তৌহিদুল আলন,প্রিয় রন্জন চৌধুরী, প্রজীব বড়ুয়া,সাবেক কাউন্সিলর জোবাইদা বেগম, জিয়াউর রহমান ও মিজানুর রহমান অভি প্রমূখ। পরে স্কুল আঙিনায় বেশ কিছু ফলজন ও বনজ চারা রোপণ করেন অতিথিবৃন্দ।

পটিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা খরনা ইউনিয়নের মুজাফরাবাদ নাইতপাড়া এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে একটি অবৈধ কারখানা হতে গ্যাসের সরঞ্জাম ও ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করে।

স্হানীয়রা জানান, চন্দনাইশ উপজেলার আবদুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ার মুজাফরবাদ এলাকায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ গ্যাস ফিলিং কারখানা চালু করেন।এখানে খালি বোতলে পরিমাণে কম দিয়ে তা পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে গ্যাস সরঞ্জাম সহ ৫১২টি বিভিন্ন কোম্পানির নতুন পুরান গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস ফিলিং এর হাওয়া মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি

উদ্ধার করা হয়। মালিক আবদুর রহিম ও কর্মচারী যৌথ অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। পটিয়া থানার এস আই সমীর ভট্টাচার্য জানান,গোপন সুত্রে খবর পেয়ে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস ফিলিং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ