আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

১৮ বছরে সব হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনা : শাহজাহান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন ও গত ১৮ বছরে যত হত্যা হয়েছে এসব হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তথ্য সম্বলিত ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার শহীদ যারা’ শীর্ষক স্মারক উম্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নগর জামায়াতে ইসলামী। ১০ খণ্ডে সংকলিত ২ হাজার ৫০০ পৃষ্ঠার এ স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান।

দুর্নীতি ও প্রশাসনে দলীয়করণের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উল্লেখ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনে মেধাশূন্যতা ও দলীয়করণের কারণে বাংলাদেশ আজ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে হত্যা, গুম, নির্যাতন, আয়নাঘর এগুলোর মাধ্যমে আজ বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য এক নম্বর দায়ী আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশে বিশৃঙ্খলা , নিপীড়ন, জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা সবকিছুর ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি দায়ী।

তাই সাধারন নির্বাচনের আগে এ সমস্ত ফ্যাসিস্ট যারা রয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, এসবের ফয়সালা করার জন্যে বিশেষভাবে উদ্যেগ নেওয়া উচিত। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে বিশেষ করে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করা অত্যন্ত জরুরি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীদের ভূমিকা তুলে ধরে জামায়াতের এ নেতা বলেন, প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। বিশেষ করে আরব আমিরাত, কুয়েত, সৌদি আরব, আমেরিকা, ইউরোপসহ সব জায়গায় প্রবাসীরা আমাদের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আরব আমিরাতে মিছিল করতে গিয়ে ১২৫ জনের মতো প্রবাসী ভাই গ্রেফতার হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যেমে এ প্রবাসী ভাইদের আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে ফেরেছি। তাদেরকে মুক্ত করেছি।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই এখানে এসেছেন। তারা আজ নিঃস্ব। তাদের অনেকেই দোকানপাট, ব্যবসা, চাকরি ছেড়ে চলে এসেছেন। আমরা উপদেষ্টাদের এসব জানিয়েছি। তারাও এটা নিয়ে কাজ করছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র যারা ছিলেন, আপনাদের নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতি স্মরণ করবে। আপনারা আগামীতেও জাতির যে কোনো সংকটে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন সে আশা রাখছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ