আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের।

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: সোলাইমান এর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা’রা।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা’রা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গত ২৩ জানুয়ারী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় ব্যঙ্গাত্মক প্রকাশ করায় জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ সোলাইমান এর পদত্যাগ এবং প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক আজিজুল মোস্তফা ভুলু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ফারুকী, বিচারক কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ উদ্দিন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুফিদুল আলম ও প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবগত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই প্রতিযোগীতার ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায়, উক্ত প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানা সৌরভী নিজেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরিচয় দিয়ে উপস্থিত সকলকে নিজের স্বামী বলে আখ্যায়িত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মারাত্বকভাবে অপমানিত করেছেন। এছাড়া উক্ত প্রতিযোগীতায় অভিনয়ে এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষকে বাঁশ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে চরমভাবে অপমানিত করেছেন।
এছাড়া আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়া এদেশের প্রত্যেক মানুষকে ১টি নয় ২টি নয় ৩টি করে বাঁশ দেবেন বলে অভিনয়ের মাধ্যমে এদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জঘন্যভাবে উপস্থাপন করে তাঁর সম্মানহানি

করেছেন। এছাড়াও তিনি তার অভিনয়ে আগামীতে ক্ষমতায় আসলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ২টি পুকুর ভরাট করে সাংস্কৃতিক আয়োজন করার কথা বলে বেআইনী কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে এদেশের গণমানুষের আস্থার ঠিকানা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চরমভাবে অপমানিত করেছেন।

উক্ত ঘটনায় যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কক্সবাজার সরকারি কলেজে বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন তখন কক্সবাজার সরকারি কলেজের বর্তমানে ও সাবেক নেতৃবৃন্দ তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য গত ২৬ শে জানুয়ারী/২৫ কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। সেই দিন ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালনের জন্য গেলে ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ সোলায়মান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শত শত অছাত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কলেজের ভুয়া আইডি কার্ড তৈরী করে দিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে জড়ো করে রাখেন এবং ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।

এর ফলে অধ্যক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা কলেজের ক্যাম্পাসকে অশান্তপূর্ন করে ভীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, ছাত্রদল সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভসমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করেন। উক্ত কর্মসূচীকে বানচাল করার জন্য অধ্যক্ষ সোলায়মান বহিরাগত, ভাড়াটে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাদের ভূয়া আইডি কার্ড প্রদান করে যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তার জন্য তিনি উক্ত পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কক্সবাজার সরকারি কলেজের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ তার পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগের মাধ্যমে কলেজের

পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি। উক্ত যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্ট প্রতিয়োগীতার তালিকায় অনুমোদন দেওয়ার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আহবায়ক, সদস্য সচিব ও বিচারক এবং উক্ত প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানা সৌরভীকে গত ২০২৪ সালের প্রতিযোগীতার এই ইভেন্টে একই ধরণের অভিনয় করে এই অধ্যক্ষসহ একই কমিটি ও বিচারকবৃন্দ পুরস্কৃত করেছিলেন। তাই সুনিদিষ্ট অভিযোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রীকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে প্রকাশ করার অভিযোগে অধ্যক্ষ সোলাইমান এর পদত্যাগ, উপরোক্ত কমিটি এবং অভিনয়কৃত ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক রাশেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবীবুল্লাহ হাবীব, সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম, সাবেক সভাপতি এম রাশেদুল করিম রাশেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার রানা, সহ সভাপতি সাইদু সিকদার, সহ সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দীন, বর্তমান আহ্বায়ক মোঃ রুবেল মিয়া, সদস্য সচিব কাউছার হাবীব তৌকি, যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিন কিবরিয়া, ক্যাম্পাস ছাত্রদল সভাপতি মো: জায়েদসহ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ