আজঃ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

রাবিতে অনুষ্ঠিত হলো স্টাটআপ সামিট – ২০২৫

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

তরুণদের স্টার্টআপ ভাবনা বিকাশ ও উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পথ সুগম করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হল ‘ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিট ২০২৫ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীব।

উদ্বোধনী ভাষণে উপাচার্য বলেন, ‘তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের জন্য এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। এই সামিট থেকে তারা শিখবে কিভাবে স্টার্টআপ গড়ে তুলতে হয়, সমস্যা সমাধান করতে হয় এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে হয়।’

আইসিটি বিভাগের অধীনে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সামিটে ছিল- মাস্টার ক্লাস: যেখানে স্টার্টআপ লিডাররা নতুন উদ্যোক্তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা শেয়ার করেছেন। ফায়ারসাইড চ্যাট: সফল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের সরাসরি আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ। প্যানেল আলোচনা: যেখানে বিশেষজ্ঞরা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনার খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলেন।

সামিটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল ‘ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’, যেখানে তরুণ উদ্ভাবকরা নিজেদের অনন্য আইডিয়া উপস্থাপন
করেন।

ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের রাজশাহী ও রংপুর পর্বে ১ম স্থান অর্জন করে ‘অনন্দপথ’ প্রকল্প, ২য় স্থান অর্জন করে ‘সিস্টেমসেইজ সলিউশনস’ প্রকল্প এবং ৩য় স্থান অর্জন করে ‘স্কিনকেয়ার এআই’ প্রকল্প। ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অর্জকারী প্রকল্পসমূহকে যথাক্রমে ৩ লক্ষ, ২ লক্ষ এবং ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খান।

স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন, ‘এই সামিট কেবল উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিই করবে না, বরং তাদের নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগও করে দেবে। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ হওয়ায় তারা নিজেদের স্টার্টআপ বাস্তবে রূপ দিতে পারবে।’

শুধু রাজশাহী নয়, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশের আরও চারটি শহরে-সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা-এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সামিটে তরুণ উদ্যোক্তারা নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ পাবেন। এই আয়োজনে শতাধিক তরুণ উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তিপ্রেমী অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, একাডেমিশিয়ান ও আইটি বিশেষজ্ঞরা।

তরুণদের স্বপ্ন পূরণে এই সামিট নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের। অংশগ্রহণকারীরাও জানিয়েছেন, এই আয়োজন তাদের স্টার্টআপ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদাবাজি, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাস মালিক ও শ্রমিকরা । দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ডাকে এ অবরোধ পালন করে তারা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুরে চৌকি বসিয়ে সব রুটের দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে একতা পরিবহনের সুপার ভাইজার মো. রাজিব ইসলামকে মারধর করে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় ৮ জনের নামে অভিযোগ হয়। এরই জের ধরে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন বন্ধ রাখা হয়।

দূরপাল্লার বাসের কর্মচারীদের সংগঠন ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, একটি সংগঠন সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা তুলছে। এরই প্রতিবাদে আমরা ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম। স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে আবারও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা জোর করে চাঁদাদাবি করছি না। আমরা ৩০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ তুলে আসছি। এই টাকা দিয়ে সংগঠনটির শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের দুইটি পক্ষের মধ্যে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব হওয়ায় একটি পক্ষ সড়ক অবরোধ করে। পরে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বাগমারায় প্রতিবন্ধিদের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসন।

রাজশাহীর বাগমারার সেই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

প্রথম আলোর অনলাইনে ” স্বামী- স্ত্রীসহ ৮ সদস্যের পরিবারে ৬ জনই প্রতিবন্ধী” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে আসে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামের। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেন পরিবারটির। পরিবারের উপার্জনক্ষম স্বাভাবিক থাকা রেজাউল হককে নিজ দপ্তরে ডেকে পাঠান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং মূল সমস্যাগুলো শোনেন। পরিবারের কয়েক সদস্যের হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হওয়াতে দ্রুত তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যদের প্রতিনিধি স্বাভাবিক রেজাউল হককে নিজ দপ্তরে ডেকে তাঁদের চলাচলের জন্য হুইল চেয়ার ও ট্রাইসাইকেল দেন। এছাড়াও একই সময়ে উপজেলার আরও ২৪জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ছয়জনকে ট্রাইসাইকেল দেওয়া হয়। চেয়ার পেয়ে খুশি হন পরিবারের সদস্যরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। আরিকুল্লাহ বলেন, আগে ঘর ও বারান্দায় সময় কাটাতে হতো, চেয়ার পাওয়াতে আপাতত উঠান ও বাড়ির আশপাশে যেতে পারবো। নিজেও কিছু একটা কাজ করতে পারবো।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, তিনি পত্রিকার মাধ্যমে পরিবারের দুর্দশার কথা জেনেছেন। প্রাথমিক সহায়তা শুরু করা হলো। পরিবারের অসহায়ত্বের কথা ও দ্রুত প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সহায়তা করা হবে। এছাড়াও আর্থিক সহায়তা করা হবে। স্থায়ী উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

আরিকুল্লাহ–রেজিয়া দম্পতির বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামে। তাঁরাসহ পরিবারের মোট সদস্য আটজন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। যদিও কেউই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। ১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাঁরা। এখন বিনা চিকিৎসায় আর খাবারের সংকটে কোনোমতে দিনযাপন করছেন। তাঁদের দেখভাল করা স্বাভাবিক থাকা ছেলে রেজাউল হক এখন পর্যন্ত বিয়েশাদি করেননি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ