আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে দীর্ঘ যানজট, ফের কর্মবিরতিতে প্রাইম মুভার চালকরা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামের পণ্যবাহী প্রাইম মুভার চালকরা ফের কর্মবিরতিতে নেমেছেন। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার জেরে কর্মবিরতি করছেন বলে জানিয়েছেন চালক-শ্রমিকরা। এর ফলে পতেঙ্গা থেকে আগ্রাবাদমুখী সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।

বন্দর ট্রাফিক বিভাগ বলছে, যানজট নিরসনে তাদের কিছুই করণীয় নেই। চট্টগ্রামের যদিও চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।

সকাল ১১টার দিকে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রাইম মুভার গাড়িগুলো সড়কের একপাশে পার্ক করে রাখা। গাড়িতে ছিলেন না চালকরা। তাদের একাংশ ইমাম শরীফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের সামনে জড়ো হয়েছেন।

কর্মবিরতির কারণ জানতে চাইলে এক শ্রমিক বলেন, গতকাল (বুধবার) ডিসি অফিসে (জেলা প্রশাসন) মিটিং হয়েছে। সেখানে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ শুনি রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের যেকোনো সময় এই মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। আমরা এই মামলা প্রত্যাহার চাই, অন্যথায় গাড়ি চলবে না।

আরেক শ্রমিক বলেন, এখন বাজে সকাল সাড়ে ১১টা। আমরা এখানে কর্মবিরতি পালন করছি আমাদের কোনো নেতা এখনো আসেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

প্রাইম মুভার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডিসি পার্কে ঘটা সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার সীতাকুণ্ড থানায় মামলা হয়েছে। যার ফলে গাড়ি চালক-সহযোগীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। এই অবস্থায় তারা গাড়ি চালাতে রাজি না। তবে এই কর্মবিরতি শুধুমাত্র প্রাইম মুভার চালকদের এমনটাই জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাটে ডিসি পার্কে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ওই রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে হয়তো বোঝার ভুল হয়েছে। চালকদের মারধর, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাদের তো কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা না।

এদিকে, লরি চালকরা রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করে চলে যাওয়ায় পতেঙ্গা থেকে আগ্রাবাদগামী সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। তবে আগ্রাবাদ হয়ে পতেঙ্গাগামী সড়কটিতে যানজট লক্ষ্য করা যায়নি।
কাভার্ডভ্যান চালক সোলায়মান বলেন, গত দুইদিন ধরে বন্দরের ভেতর গাড়ি। ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা পণ্য। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছি না। ভেবেছিলাম গতকাল সমাধান হয়েছে। কিন্তু আজ আবার কি হয়েছে কে জানে!

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (বন্দর) কবীর আহম্মদ যানজটের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে উল্টো প্রশ্ন করে বসেন, সব জেনেও কেন জিজ্ঞেস করছেন। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে কি করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর কিছুই করণীয় নেই।

এর আগে, সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় ডিসি পার্কে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন লরি-ট্রাক চালক-শ্রমিকরা। পরে এ ঘটনায় নগরের কাস্টমস এলাকায় ট্রাক, প্রাইম মুভার ও লরি চালকরা সড়কে মিছিল করতে থাকেন সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় রাস্তার উভয় পাশের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে বুধবার ভোর সারে ৪টার দিকে সেনাবাহিনী-পুলিশের

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও প্রাইমমুভার ট্রেইলার চালক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের যৌথ বৈঠক শেষে অবরোধ তুলে নিলেও চার দফা দাবিতে চালক-শ্রমিকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এর ২৩ ঘণ্টার মাথায় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর তারা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু সীতাকুণ্ডে সংঘর্ষের জেরে মামলা হওয়ায় শুধুমাত্র লরি চালকরা ফের এই কর্মবিরতি শুরু করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ