আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

রাবির ১১ জন শিক্ষকে দুদকে ডাকা হয়েছে

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিবিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের মেয়াদকানলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ১১ শিক্ষককে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের আগামী ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বক্তব্য নেবে দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সোবহান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেন তিনি।

এ অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামানকে দলনেতা করে আফনান জান্নাত কেয়া ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য করে তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বক্তব্য নিতে তাদের দুদকে তলব করা হয়েছে।

তলব করা শিক্ষকরা হলেন- ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের প্রভাষক এ টি এম সাহেদ পারভেজ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক সানজানা সোবহান, সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সরদার, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের প্রভাষক মো. জুলহাস হোসেন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুর নুসরাত সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিন সাইমুম, সহকারী অধ্যাপক শিবলী ইসলাম, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক গাজী তৌহিদুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ও অধ্যাপক আব্দুল লতিফ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া হিরোইনসহ গ্রেফতার।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয় কর্তৃক অভিযান চালিয়ে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া খাতুন (৩১) কে হিরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২.২০ মিনিটের সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপপরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে, দুই গ্ৰাম হিরোইন সহ তাকে গ্ৰেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর মহল্লার মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও গেলুনুর ওরফে গেলের মেয়ে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও বিক্রয়ের অপরাধে, উপ পরিদর্শক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

বিজিবি কর্তৃক ৬০ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ও ৫০১ জন গ্রেফতার 

চলতি বছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর রিজিয়নের আওতাধীন ৪টি সেক্টর ও ১৫টি ব্যাটালিয়নের পরিচালিত অভিযানে ৫০১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার ও প্রায় ৬০ কোটি টাকার চোরাচালানপণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর রিজিয়ন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭১ হাজার ৩৪০ বোতল ফেন্সিডিল, পৌনে ১০ কেজি হোরোইন,  ২ কেজি কোকেন, ১২ হাজার ১২৭ বোতল মদ, ২ হাজার ৯ কেজি গাঁজা, ২৪ হাজার ৪৭৮ পিস ইয়াবা, ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৩ পিস ভায়াগ্রা ট্যবলেটসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করেছে। এ সময় ৫০১ জনকে আটক করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়াও একটি পিস্তুল, ৬টি এয়ারগান, ৭ কেজি গানপাউডার, ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারী ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধপথে সীমান্ত পারাপার, জালনোট পাচার, মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং নারী ও শিশু পাচার সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-অধিনায়ক মেজর আকরাম ও সহকারি অধিনায়ক মো. রফিকুল ইসলাম সব বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ