আজঃ শুক্রবার ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

নেতকোনায় বিএনপির মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা।

‘খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বাংলার মাটিতেই বিচার করা হবে’বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তিন বার ভোটার বিহীন নির্বাচন করে উন্নয়নের নামে মহা লুটপাট করে দেশকে দেওলিয়া করে দিয়েছে। বিএনপিকে ধ্বংস করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফরমায়েশি সাজার মাধ্যমে ২৫ মাস জেল খাটিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম হুলিয়া, অত্যাচার নির্যাতন, গুম, খুন, অপহরণ করে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করেছে। জুলাই আগস্টে ছাত্রজনতা অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে। প্রতিহিংসার রাজনীতির কারনে খুনি হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বামীর স্মৃতি বিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিল, তার অপকর্মের কারনে ছাত্র জনতা হাসিনাকে দেশ ছাড়া করে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভারতের ৫৫ ভাগ মানুষ খুনি হাসিনাকে তাদের দেশে দেখতে চায় না। খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বাংলার মাটিতেই বিচার করা হবে। তিনি তারুণ্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তাদের দোসরদের নানা ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জেলায় জেলায় সমাবেশের অংশ হিসাবে সোমবার দুপুরে পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে নেত্রকোণা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিশিষ্ট অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক এর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী, নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন নাহীন, অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান নূরু, জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক, জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার, জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান খান, তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, এস এম মনিরুজ্জামান দুদু।

আরও ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান তালুকদার, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. সালাহ্উদ্দিন খান মিল্কী, নেত্রকোণা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ভূইয়া মজনু, কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল খায়ের, মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েল, পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আলম তালুকদার, নেত্রকোণা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ মুন্না, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আকিকুর রেজা খান খোকন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতিমা পলমল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনীক মাহবুব চৌধুরী জেলা উলামা ওলামা দলের সভাপতি হাপেজ কারি মাওলানা মোঃ মিসবাহ উদ্দিন মাসুদ পূর্বধলা উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দাড়িপাল্লার বিজয়ে কোমর বেঁধে নামতে হবে — অধ্যক্ষ হেলালী

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন হবে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। তাই সবাইকে সম্মুখ সমরে জিহাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে হবে।”

১১ অক্টোবর সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হেলালী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা সবসময় প্রথম সারিতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ হেলালী আরও বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও নীতিবান নেতৃত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই আজকের সময়ের দাবি। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের মাঝে দাড়িপাল্লার আদর্শ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আইনজীবী থানার আমীর অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, পাঁচলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, শফিউল আজিম মন্টি, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, ইমরান সিকদার, গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আল আমিন ভূঁইয়া ও ইফতেখার হোসাইন।

বক্তারা বলেন, দাড়িপাল্লার বিজয়ের মধ্য দিয়েই দেশ পাবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।

সব প্রার্থীর একই মঞ্চে বির্বাচণী ইজতেহার ঘোষণা এবং পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সব প্রার্থীর জন্য একই মঞ্চে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার বাধ্যবাধকতা রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য ফআচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেশ কিছু নতুন ও কঠোর বিষয় যুক্ত করে এই আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।নতুন এই বিধিমালায় ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন ব্যবহার এবং বিদেশে যে কোনো ধরনের প্রচারণা কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ