আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

বিএনপিতে ভিড়ে যারা অপকর্ম করছে তাদের ত্যাগ করুন-চসিক মেয়র

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অন্য দল থেকে এসে এখন বিএনপিতে যারা অপকর্ম করছে তাদের ত্যাগ করুন। তাদেরকে তো আমাদের দরকার নেই। আমরা এদের ছাড়া সবকিছু পারি এবং পেরেছিও। গত ১৬ বছর তো করেছি, তখন তো ছিল না। তাই তাদের বাদ দিয়ে আমাদের গড়তে হবে।

তিনি সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডস্থ ফাইভ স্টার কনভেনশন হলে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত” কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মশালা ও প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. এমরান উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্টাকালিন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন জামান, শওকত আজম খাজা।

চসিক মেয়র বলেন, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আমার নিজের এলাকা। এটি একটি বিএনপির উর্বর ওয়ার্ড। মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু যখন ২০১০ সালে মেয়র নির্বাচন করেন তখন ১৭, ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়কারী ছিলাম। সেই ওয়ার্ডগুলো মঞ্জু সাহেবকে লিড দিয়েছে ২০ হাজার ভোট। এ তিন ওয়ার্ডে ভোট আছে ১ লাখের অধিক। তাই এ তিন ওয়ার্ডে যদি লিড নেওয়া যায় তাহলে অন্য ওয়ার্ডে হারলেও সমস্যা নেই। সংসদীয় আসনে এভাবেই আব্দুল্লাহ আল নোমান ভাই এখানে জিতেছেন।

শাহাদাত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত চসিকে আমার সাথে দেখা করেছিলেন। কখনো উপহার আনেননি। কিন্তু এবার বিশাল এক উপঢৌকন (উপহার) নিয়ে এসেছেন এবং আমাকে বলেছেন আপনারা সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন, অগ্রিম অভিনন্দন। তাদের কাছে এ মেসেজ চলে গেছে। তাই আপনাদের এখন কাজ হচ্ছে, যারা অন্য দল থেকে এখন আমাদের দলে ভিড়ে যে অপকর্ম করছে তাদের ত্যাগ করা। তাদেরকে তো আমাদের দরকার নেই। আমরা এদের ছাড়া সবকিছু পারি এবং পেরেছিও। গত ১৬ বছর তো করেছি, তখন তো ছিল না। তাই তাদের বাদ দিয়ে আমাদের গড়তে হবে।

তিনি বলেন, যারা আমাদের সাপোর্ট করতেন কিন্তু সামনে আসতে ভয় পেতেন, তারা তো আমাদের সঙ্গে আছেন। তারা হয়তো মাঠে ময়দানে ছিলেন না, কিন্তু আন্তরিকভাবে, সার্বিকভাবে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তারা হয়তো রাজপথে মিছিল করতে পারেননি, কিন্তু সাহস যুগিয়েছেন। তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে আছেন তারাই আমাদের সম্পদ। তারাই কিন্তু আমাদের ভোট দিবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভোটাররা কিন্তু আওয়ামী লীগের ভোটারদের মতো মিছিল মিটিংয়ে সর্বাত্মক অংশ নেয় এ রকম না। বিএনপির মিছিল করবে এক গ্রুপ, আর অন্যদিকে ভোটাররা নীরবে ভোট দিবেন। এটা আপনারা সবাই জানেন। তাই আপনারা ওই লক্ষ্যে কাজ করেন।

শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ দফা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান থেকেই শুরু হয়েছে। তিনি ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন এবং এটা নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা উপহার দিয়েছিলেন। পরে বেগম খালেদা জিয়া এবং এখন তারেক রহমান রাষ্টযন্ত্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা উপহার দিয়েছেন। এরমধ্যে কিন্তু সমাজ সংস্কার, নগর সংস্কার, ওয়ার্ড সংস্কার, থানা সংস্কার, জাতি সংস্কার এবং রাষ্ট্র সংস্কারসহ সব ধরনের সংস্কার রয়েছে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে নাজিমুর রহমান বলেন, দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণ এখন গণতন্ত্র, সুশাসন ও মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। তাই জাতীয় নির্বাচনই হবে জনগণের প্রতিনিধি নির্ধারণের একমাত্র পথ। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য মো. মহসিন, মহানগর বিএনপি নেতা ওমর ফারুক, আমিন মাহমুদ, ইব্রাহিম বাচ্চু, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, ইসমাইল বাবুল, বিএনপি নেতা শেখ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের, ফরিদুল হক লিটন, সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহিউদ্দিন মিজান, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ ফারুক, ফোরকান চৌধুরী, এস এম পারভেজ প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ