
কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক প্রয়াত মিহির কান্তি শীলের স্মরণে রচিত স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩ টায় স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। তিন পর্বের অনুষ্ঠানে ১ম পর্বে সভাপতিত্ব করেন এসএসসি ১৯৭১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হোসেন শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন,
১৯৬৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ডেল্টা হেলথ কেয়ার চিটাগাং লিঃ চেয়ারম্যান ডা. কিউ. এম. অহিদুল আলম, ১৯৭২ ব্যাচের ও রয়েল হসপিটালের পরিচালক ডা. প্রীতি বড়ুয়া, ১৯৭৩ ব্যাচের এম. এ. কাদের আলম, ১৯৭৪ ব্যাচের ও বন বিভাগের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক মো. সফিউল আলম চৌধুরী, ১৯৭৫ ব্যাচের স্থপতি সঞ্জীব বড়ুয়া, ১৯৭৭ ব্যাচের ও জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মো. আব্দুস সাকুর, ১৯৭৯ ব্যাচের ও মা ও শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. বাবুল ওসমান চৌধুরী, ১৯৮০ ব্যাচের ও এপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুব উল আলম চৌধুরী, ১৯৮২ ব্যাচের ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ, ১৯৮৫ ব্যাচের ও কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন, ১৯৮৬ ব্যাচের ও চমেবি’র সার্জারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ মাসুদ করিম।

আলোচনায় অংশ নেন, ১৯৮০ ব্যাচের ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মীর আবুল কালাম, ১৯৯৭ ব্যাচের সৈয়দ মমতাজুল ইসলাম, ১৯৯৮ ব্যাচের ও চুয়েটের প্রফেসর ড. রনজিত কুমার নাথ,২০০০ ব্যাচের ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ ফখরুল আবেদিন, ২০০২ ব্যাচের ও চমেক হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. এস. এম. সাফায়েত হোসেন এবং ২০০৩ ব্যাচের ও চবি’র সহ-অধ্যাপক মুর্শিদ উল আলম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর এবং একজন ছাত্রের প্রথম নায়ক। কিন্তু প্রিয় শিক্ষক হওয়া অত্যন্ত কঠিন। শ্রদ্ধেয় মিহির কান্তি শীলের সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা ও নৈতিকতার মাধ্যমে সকালের প্রিয় শিক্ষক হয়ে ওঠেন। তিনি সদালাপী, বিনয়ী পরোপকারী মানুষ ছিলেন। আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের শুধু স্বপ্নই নয়, স্বপ্ন পূরণের সঠিক পথ দেখিয়েছেন। সরলতা ও ব্যক্তিত্ব মানুষকে কখনো মরতে দেয় না। মিহির কান্তি শীল তারই প্রমাণ।

অধ্যাপক পঙ্কজ দেব অপু ও এড.বদিউল আলম স্বপনের যৌথ সঞ্চালনায় ২য় পর্বে মোড়ক উন্মোচন ও গ্রন্থালোচনায় সভাপতিত্ব করেন ১৯৬৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রয়াত মিহির কান্তি শীল মহোদয়ের সহপাঠী ইন্দু নন্দন দত্ত। মূখ্য আলোচক ছিলেন, শিক্ষা চিন্তক ও নৃ-গবেষক শামসুদ্দীন শিশির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রয়াত শিক্ষক মিহির কান্তি শীলের কনিষ্ঠ পুত্র ও জ্ঞানালোয় উদ্ভাসিত মিহির কান্তি শীল স্মারকগ্রন্থ – এর সম্পাদক অজয় শীল।
বক্তব্য রাখেন, কবি, ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক অরুন শীল, ১৯৮১ ব্যাচের প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, কাটিরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণ নাথ, আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মুখপাত্র মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, ১৯৭৮ ব্যাচের ও চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অব.) বদরুন্নেসা সাজু, ১৯৮৪ ব্যাচের ও প্রবর্তক স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ কুমার দেব প্রমূখ। ৩য় পর্ব সম্মাননা
স্মারক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। প্রয়াত শিক্ষক মিহির কান্তি শীলের সহকর্মী, যাঁদের সাথে তিনি দীর্ঘ ও উল্লেখযোগ্য দিন কাটিয়েছেন, যাঁদের স্মৃতিতে রয়েছে বিশেষ স্মৃতিময় মুহূর্ত, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রসারে যাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য তাঁদেরকে ‘শিক্ষাশিল্পী মিহির কান্তি শীল স্মৃতি পদক’ তুলে দেয়া হয়। বিশেষ সম্মাননা স্মারক গ্রহন করেন সিএনসি গ্রুপের ন্যাশনাল এক্সেসরিস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ কৃষানু শর্মা।