আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চাকরি দেয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সরকারী চাকুরী দেওয়ার নাম করে বুলবুল হোসেন ও তার আত্মিয় স্বজনদের কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক জিয়ারুল ইসলাম জিয়া। সে জেলার কাটাখালি থানাধীন মাসকাটাদীঘি এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগি বুলবুল হোসেন নগরীর রাজপাড়া থানার গোলজারবাগ এলাকার জয়নাল আলীর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি পূর্বালী ব্যাংক কাটাখালি শাখার হিসাব নাম- নাফি নিহান ফার্মেসী, হিসাব নং-৩২৯৫৯০১০১০৬৮৩ ও ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে (ব্যাংক চেক নং ৮৪৩৯৫২২) ২৫ লাখ টাকা এবং ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি চেকের মাধ্যমে (চেক নং ৮৪৩৯৫২৩) ২০হ লাখ টাকা নেয়।

ওই সময় বুলবুলের আত্মীয় তুষার আহম্মেদ বলেন, সাবেক সিটি মেয়রের এইএসএম খায়রুজ্জামান লিটন তার খুব কাছের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে চাকুরী নিয়ে দেওয়া কোন ব্যাপার না। যার কারণে সে এবং তার বোন কাফেলার চাকুরী জন্য নগদ অর্থ ৪৫ লাখ টাকা জিয়াউরকে দেয়। তুষারের অভিভাবক হিসাবে বুলবুল দায়িত্ব নিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের যে কোন পদে নিয়োগ দেওয়া তার কাছে কোন বিষয় না বলে বুলবুলকে আশ্বস্ত করে। চাকরি না হলে জিয়াউল হক বলেন, দুটি চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় ওই হিসাব নাম্বারের কোন টাকা নেই।

স্থানীয় আওয়ামী নেতা জিয়াউলের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বুলবুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনরাই তার নিকট পাওনা টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্ত সে বলে, পরিস্থিতি ভালো না, সরকার ক্ষমতায় নেই, প্রয়োজনে তার জমি বিক্রয় করে টাকা দিব। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়ার কোন পদক্ষেপ নেই। উল্টো আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও সত্য ঘটনাকে মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষের কাছে সহানুভুতি নেওয়ার চেষ্টার নতুন ফাঁদ বুনছে।

এ ব্যাপারে জানতে জিয়াউলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোন ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে আশিকুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানাপাড়া পাঁচ বিল্ডিং এলাকায় এই ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করা হয়। আশিকুর রহমান খোকসা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সন্ধ্যায় খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, থানার পাশেই ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলের বাসা। ডিউটি শেষে ফেরার পথে তাঁর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ