আজঃ বুধবার ১৯ মার্চ, ২০২৫

সাড়ে ৪শ বছরেও অপরূপ মাসুম খাঁ কাবুলি মসজিদ

পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনার বিখ্যাত চলনবিল অঞ্চলের ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর এর ৪৪৪ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে আজও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে তিন গম্বুজবিশিষ্ট ‘শাহী মসজিদ’। শাহী মসজিদটি বাংলার মুসলিম স্থাপত্যে একটি নতুন অধ্যায় সংযোজন করে। পাবনা-ভাঙ্গুড়া মহাসড়কে চাটমোহর শহরের ভাদুনগর মোড় থেকে ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম কর্নারে সুলতানী মোঘল আমলের নিদর্শন নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যের ৪৪৪ বছরের মসজিদটি। কাকশাল গোত্রের সন্তান খান মুহাম্মদ তুকি খান ৯৮৯ হিজরি অর্থাৎ ১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে আকবরের শাসনামলে সৈয়দ নেতা আবুল ফতে মোহাম্মদ মাসুম খাঁর অর্থায়নে তারই সহোদর মুহাম্মদ বিন তুর্কি খান (কাকশাল) চাটমোহরে মসজিদটি নির্মাণ করেন। সম্রাট আকবরের সময়কালে মসজিদটি মাসুম খাঁ কাবুলি নামে নামকরণ করা হয়। বর্তমানে চাটমোহর শাহী মসজিদ নামে সর্বাধিক পরিচিত। চাটমোহরের তিন গম্বুজ শাহী মসজিদের শিলালিপিতে এর নির্মাতা ও নির্মাণকাল সম্বন্ধে এ পর্যন্ত কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি।

চাটমোহর উপজেলা উইকিপিডিয়া সূত্রে ও মুসল্লিদের নিকট থেকে জানা যায়, চাটমোহর শাহী মসজিদটি কালের বিবর্তনে এক সময় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর মসজিদটির অবকাঠামো ঠিক রেখে নতুনভাবে নির্মাণ করেন। তবে পুনর্নিমাণের কয়েক বছর পর মসজিদের তিনটি গম্বুজ ও ছাদ প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীনে মসজিদ সংস্কার ও সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাসুম খাঁ কাবুলি মসজিদ একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। মসজিদটি সংস্কারের সময় এর অভ্যন্তরে একটি তুঘরা শিলালিপি পাওয়া যায়। শিলালিপিটি বর্তমানে রাজশাহী বরেন্দ্র জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। চাটমোহর এক সময় মোগল পাঠানদের অবাধ বিচরণভূমি এবং অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা ছিল।

মসজিদটির ভেতরের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট, প্রস্থ প্রায় ২২ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৪৫ ফুট। ক্ষুদ্র পাতলা নকশা খচিত লাল জাফরি ইটে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির সামনে ইদারার গায়ে কালেমা তাইয়্যেবা লিখিত এক খন্ড কালো পাথর আজো শোভিত আছে। মসজিদ অভ্যন্তরে মেহরাবের চারদিকে ইটের কারুকাজ লক্ষণীয়। ফলকে খোদাইকৃত ফার্সি অক্ষরে মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে।

বর্তমানে মসজিদটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রয়েছেন পদাধিকার নিয়মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী। আর পেশ ইমাম হিসাবে হাফেজ কাজী আব্দুস সালাম মাসুদ এবং মুয়াজ্জিন হিসেবে রয়েছেন তরিকুল ইসলাম। আর পুরাকৃর্তি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষে পরিচালক হিসেবে আছেন শাহজাহান আলী। শাহজাহান আলী তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই শাহী মসজিদের দেখাশোনা করছেন।

পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, নথিপত্রে চাটমোহর শাহী মসজিদ মাসুম খাঁনের নামে পাওয়া গেলেও সুলতানী-মোঘল আমলের শাহী মসজিদ মনে করে সারাবছরে বহু মানুষ আসেন পাবনার চাটমোহরে। দেশ-বিদেশ থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা আসেন একসারিতে তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ ও এর কারুকাজ দেখতে। সংস্কারের মাধ্যমে মূল কাঠামো ও সৌন্দর্য ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে আসা শহিদুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আমি অনেক বছর হচ্ছে শুনেছি চাটমোহরে মোঘল আমলের স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম নিদর্শন চাটমোহরে প্রায় সাড়ে ৪শ বছরের পুরাতন মাসুম খাঁ কাবুলি নামে মসজিদ আছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট চাটমোহর শাহী মসজিদের নির্মাণ কৌশলে প্রাচীন সুলতানী স্থাপত্যের প্রভাব রয়েছে। আজ এসে নিজ চোঁখে দেখে অনেক ভালো লাগলো, মসজিদে নামাজ আদায় করলাম, সকলের জন্য দোয়া করেছি।

মসজিদের মুয়াজ্জিন মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, মাসুম খাঁ কাবুলি এই এলাকা শাসনকালে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট প্রার্থনাকক্ষ নির্মাণে মুগল রীতি মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার একটি পরিপুর্ণ রূপ হিসেবেই বিবেচিত হয়। বাংলায় বিদ্যমান মুগল ইমারতের মধ্যে এই মসজিদটি সর্ব প্রাচীন নিদর্শন। যদিও ইমারত টি মুগল আমলে নির্মিত কিন্তু এটি বর্তমান রূপে এ অঞ্চলের সুলতানি স্থাপত্য রীতির সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রায় প্রতিদিন অনেকেই আসেন দেখতে, ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এমন একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।

মসজিদের ইমাম হাফেজ কাজী আব্দুস সালাম মাসুদ বলেন, দূর থেকে মসজিদটি বিশাল মনে হলেও, ভেতরে মাত্র দুই কাতার লোক নামাজে দাঁড়াতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ আদায় হয় এই মসজিদে। এছাড়া, মসজিদের বাইরে দু’টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাড়ে ৪শ বছর পূর্বে নির্মিত এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করেন।

কেউ মসজিদটি দেখতে আসতে চাইলে, ঢাকা থেকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলরুটের ভাঙ্গুড়ার বড়াল ব্রীজ স্টেশনে ও চাটমোহর স্টেশনে নেমে মাত্র ৯ ও ৪ কিলোমিটার পশ্চিম ও উত্তরে অটোরিকশা বা ভ্যানে চড়ে সহজে আসতে পারবেন। ঢাকার কমলাপুর থেকে সকালে আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসে চড়ে চাটমোহরে পৌঁছাবেন দুপুরে, সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টা। চাটমোহরে ভালো মানের খাবার হোটেল রয়েছে। দুপুর থেকে ঘুরে বিকেলে পদ্মা এক্সপ্রেসে চড়ে আবার ঢাকা ফিরে যেতে পারবেন। এছাড়া, রাতযাপন করতে চাইলেও চাটমোহর, পাবনা ও ঈশ্বরদীতে রয়েছে আধুনিক সব হোটেল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারি আটক

নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত জেলার পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের ময়মনসিংহ টু নেত্রকোনা গামী মহাসড়কে জম জম ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪ এর সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, হবিগঞ্জ সদরের মো. জসিম উদ্দিন (৪৩), ময়মনসিংহের নান্দাইলের মো. সুমন মিয়া (৩৫), গৌরিপুরের মো. জুয়েল (৩৮)।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদে নেত্রকোনার পূর্বধলায় ময়মনসিংহ -নেত্রকোনাগামী মহাসড়কে জম জম ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালায় র‍্যাব। এসময় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ওই তিনজকে আটক করা হয়। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ওই মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের জামায়াতের ইফতার মাহফিল।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আমাদের সমাজে শিক্ষিত, ইউনিভার্সিটি ডিগ্রীধারী, কোর্ট প্যান্ট টাই পড়া লোকের অভাব নেই। কিন্তু সমাজে তো দুর্নীতি হচ্ছে, নৈরাজ্য হচ্ছে এখনও হচ্ছে, গত ১৫ বছরেও হয়েছে। আওয়ামীলীগের শাসনামলে রাষ্ট্র তার শক্তি নিয়ে জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শুধু ফ্যাসিবাদ কায়েম হয় নাই! প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন গাজা বিধ্বস্ত করেছে ইসরায়েল আর শেখ হাসিনা আর তার সরকার আমাদের সকল

প্রতিষ্ঠানগুলোকে তছনছ করে দিয়েছে। মানুষ হিং¯্র হলে কতটুকু হতে পারে? শুধু হিজাব আর টুপি দাঁড়ি, ইসলামের কথা মুখে বলেছে। কিন্তু তাদের সমস্ত কার্যক্রম ছিল আল্লাহ তার রাসূল এবং দ্বীনের বিরুদ্ধে। যারা অসংখ্য আলেমকে শহীদ করেছে, হত্যা করেছে, অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে, জাতির সম্পদ লুটপাট করেছে। এইগুলো নিয়ে এখনও তাদের মধ্যে সামান্যতম কোন অনুভূতি নেই। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) স্থানীয় একটি

কমিউনিটি সেন্টারে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
রমজানের তাৎপর্য নিয়ে তিনি বলেন, রমজান মাস শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয়, হাফিজদের তেলাওয়াতের জন্য নয়, শুনার জন্য নয়, এটাকে সমাজে মানার জন্য। সমাজে কুরআনের শিক্ষা, আদর্শ, ম্যাসেজ, নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করতাম তাহলে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে কোন ধরণের বৈষম্য থাকতো না। আজকে এই সমাজ খুনী সমাজে পরিণত হতো না। আল্লাহর ভয় ছাড়া কখনোও মানুষ আল্লাহর দেওয়া হক আদায় করতে পারেনা। আমরা চাইলে আল্লাহকে মানতে পারি আবার নাও মানতে পারি। মানুষ আল্লাহর হুকুমের বাইরে চলতে পারে। এই কারণে মানুষ আস্তিক হয়, নাস্তিক হয়। আল্লাহ মানুষকে এই স্বাধীনতা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু ও ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, অবিশ^াস্য হত্যাকাÐ ঘটানো হয়েছে গত সাড়ে ১৫ বছরে। জুলাই বিপ্লবে যেটা হয়েছে সেটা অকল্পণীয়। শত শত মানুষের লাশ, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড মারা, ¯œাইপার দিয়ে গুলি করা হয়েছে যা অকল্পনীয় দৃশ্য। এটা কি সম্ভব? দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা, খাজনার টাকা, আপনার আমার দেওয়া টাকা দিয়ে পোষা বাহিনীকে খুনি বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। নির্মম নিষ্ঠুরভাবে সেই কাজটি করা হয়েছে। এই বিপ্লবে আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের উপরে।

জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ আব্দুল মান্নান, সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি ও মৌলভীবাজার-৪

আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রব, জেলা আইনজীবি সমিতির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সহ-সেক্রেটারী মো: আলাউদ্দিন শাহ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সদর উপজেলা আমীর মো: ফখরুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মৌলভীবাজারের ও হেফাজতে ইসলামের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সবুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সেক্রেটারি ডাঃ এবাদুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের জেলা সেক্রেটারী মো: তামিম হোসেন রুহিন, সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হুসাইন আহমদ।

ইফতার মাহফিলে অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পৌর জামায়াতের আমীর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম। ইফতার মাহফিলে অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পৌর জামায়াতের আমীর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ