আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী প্রবাসী বাংলাদেশিদের তালিকায় বিশিষ্ট আইনজীবী ব‍্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম।

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন ব‍্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনকে বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী বাংলাদেশি প্রবাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ম‍্যাগাজিনটির ২০২৪ সালের ডিসেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদে বিভিন্ন পেশায় ও কর্মকাণ্ডে সফল একশত জনের ছবি, তালিকা এবং প্রত‍্যেকের উপর একটি করে সংক্ষিপ্ত জীবনী লেখা হয়েছে ।

‘‘ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন প্রবাসীদের জন্য এক আলোকবর্তিকা’ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন যুক্তরাজ্যের আইনক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, বিশেষ করে ইমিগ্রেশন, মানবাধিকার, সিভিল এবং পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে। ‘‘এমএইচ ব্যারিস্টার্স’’ বা ‘‘চেম্বার্স অব এম এম হোসেন’’-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি প্রবাসী সম্প্রদায়, বিশেষত বাংলাদেশি অভিবাসীদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মাধ্যমে রয়েছে ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষের জীবন বদলিয়ে দেয়া সফল মাইগ্রেশন কেইস।

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ক্লায়েন্টদের জন্য বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তিনি সুলভ আইনি সেবা প্রদানের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করেছেন।

মনোয়ারের প্রভাব কেবল আদালতের চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি অভিবাসীদের তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০২ সালে তিনি বাংলা টিভিতে “ইউর রাইটস” শীর্ষক সরাসরি আইনি পরামর্শ প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ION টিভিতে তাঁর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘‘ল’ উইথ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন’’ এর ভিত্তি স্থাপন করে। এই উদ্যোগগুলো অভিবাসন, রাজনৈতিক আশ্রয় এবং ন‍্যাশনালিটি আইনের জটিলতাগুলো মোকাবিলা করতে অগণিত মানুষকে ক্ষমতায়িত করেছে, এবং যাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁদের জন্য আইনগত জ্ঞান সহজলভ্য করেছে।

আইন পেশার পাশাপাশি, মনোয়ার হোসেন ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে তিনি বৈশ্বিক মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যুগুলো সমাধানে তাঁর ভূমিকার প্রতিফলন ঘটায়। এছাড়াও, তিনি চ্যানেল আই এবং এটিএন বাংলার মতো প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতির মাধ্যমে প্রবাসী ও তাঁদের পরিবারের উপর প্রভাব ফেলা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে জনসাধারণের সাথে আলোচনা করে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখে চলেছেন।

দেখা গেছে বহু ক্লায়েন্টরা প্রতিনিয়ত ব্যারিস্টার হোসেনের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে জটিল অভিবাসন মামলাগুলো পরিচালনায় তাঁর দক্ষতার জন্য। ফ‍্যামিলী রিইউনিয়ন এবং স্থায়ী বসবাসের বিষয়গুলোতে তাঁর বিশেষজ্ঞ দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসিত। তাঁর অসাধারণ যোগ্যতা, পেশাদারিত্ব এবং সহানুভূতির কথা উল্লেখ করে ক্লায়েন্টরা বিচারিক পর্যালোচনা, আপিল এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার আবেদন পরিচালনায় তাঁর দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। তাঁর প্রাক সক্রিয় যোগাযোগ পদ্ধতি এবং ক্লায়েন্ট সেবায় নিষ্ঠা তাঁকে আইনজীবী সম্প্রদায়ের একজন বিশ্বস্ত অ্যাডভোকেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ইংল্যান্ডে একজন প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার হিসেবে অসাধারণ সাফল্যের বাইরে মনোয়ার হোসেন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের বার স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের তত্ত্বাবধায়ক (Pupil Supervisor)। নতুন প্রজন্মের আইনজীবীদের ইংল্যান্ডে প্র্যাকটিসিং ব‍্যারিস্টার হিসেবে প্রশিক্ষণ ও গড়ে তোলার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার নিশ্চিত করে যে, তাঁর দক্ষতা যুক্তরাজ্যের আইন পেশার ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করতে থাকবে।

বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন নেতৃত্বের ভূমিকায় মনোয়ারের অবদান প্রশংসনীয়। ওয়ার্ল্ডওয়াইড চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনস এবং চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রবাসীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ করেছেন। বিশ্বব্যাপী একজন সম্মানিত পেশাজীবী হিসেবে তাঁর স্বীকৃতি অসংখ্য পুরস্কারের মাধ্যমে সুস্পষ্ট হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালে প্রাপ্ত ‘‘হু’জ হু বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’’ এবং ২০২২ সালে দুবাইয়ে প্রাপ্ত ‘‘বেস্ট এনআরবি প্রফেশনাল অব দ্য ইয়ার’’ অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি ।

‘‘ইনডমিটেবল মনোয়ার হোসেন’’ (অদম্য এক মনোয়ার হোসেন) গ্রন্থের প্রকাশ তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার সাক্ষ্য বহন করে। এই গ্রন্থে অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং শিক্ষাবিদদের লেখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে তাঁরা বাংলাদেশ এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর অবদানকে প্রশংসা করেছেন।

তাঁর মানবিক কার্যক্রমও উল্লেখযোগ্য; ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ মহামারির সময় চট্টগ্রামবাসীদের সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি সমাজের প্রতি তাঁর চলমান দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।

যে সময়ে আইনগত চ্যালেঞ্জগুলো ভীতিকর হতে পারে, সেই সময়ে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ন্যায়বিচারের পক্ষে একজন আলোকবর্তিকা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন এবং যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের জন্য অপরিসীম সহায়তা প্রদান করছেন। আইন পেশা এবং তিনি যে কমিউনিটিগুলোকে সেবা দেন তাদের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে, এবং এটি তাঁকে আইন এবং মানবাধিকার প্রচারণার ক্ষেত্রে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ