আজঃ বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

সুনামগঞ্জে সম্ভ্রম বাঁচাতে সিএনজি থেকে লাফিয়ে পড়লেন কিশোরী, ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত দু’জন গ্রেফতার।

সিলেট সংবাদদাতা

মাগুরায় শিশু কন্যা আছিয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে সিএনজি থেকে লাফিয়ে পড়ে এক কিশোরী যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত চালক সহ দু’জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার রাতে দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার গছিয়া এলাকায় আত্বগোপনে থাকা ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হল, উপজেলার রাজনগর ইউরিনয়নের জকিনগর গ্রামের তারা খানের ছেলে সিএনজি চালক ইমন খান, একই গ্রামের আব্দুর রউফ ওরফে রুপ মিয়ার ছেলে যাত্রীবেশী মিটু মিয়া।শুক্রবার রাতে ভিকটিম কিশোরীর পারিবারীক সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে দিরাই উপজেলা সদর থেকে কেনাকাটা শেষে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী বাড়ি ফেরার জন্য সদরের বাসষ্টেশন থেকে সিএনজিতে উঠে অন্য যাত্রীদের সাথে। ওই সিএনজিতে চালক সহ চালকের পূর্ব পরিচিত আরো দুই যাত্রী ছিলেন।

চালক সিএনজি চালিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর দুই যাত্র বেশী লম্পট চালকের সহযোগিতায় প্রথমে ওই কিশোরীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়।এক পর্যায়ে উপজেলার রফিনগরে কিশোরীর বাড়িমুখী রাস্তায় সিএনজি না নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহর মুখী ভুল পথে সিএনজি চালিয়ে যেতে থাকলে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হতে পারে শঙ্কায় নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত সিএনজি থেকে শান্তিগঞ্জের গণিগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌছলে জনসমাগম দেখে লাফিয়ে সড়কে পড়ে ওই কিশোরী আহত হন।

এরপর শান্তিগঞ্জের গণিগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্যার করে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সন্ধায় চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।শুক্রবার রাতে দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরী ভিকটিমের সাথে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসারগণ কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জেনেছেন, ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত আরো একজনকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীসহ দুজনের ফাঁসির আদেশ।

চট্টগ্রামে খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের মামলায় এসব আদেশ দেন। দণ্ডিত দুজন হলেন, মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায়।

অন্যদিকে, একই আদেশে লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত স্বামী ফরহাদ ও তার মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে, লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, রায়ের সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। আগের স্বামী ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় জেসমিন তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় তিনি সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জেসমিনের স্বামী ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। ভোলায় তার স্ত্রী থাকলেও সেটা গোপন রেখে তিনি জেসমিনকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তারা আলাদা থাকতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছিল। পরে ফরহাদ তার মামা সেলিম মনিরের সঙ্গে জেসমিনকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরহাদ জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তারা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে খুন করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তারা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে ফরহাদ ও চটগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মাদ্রাসা পড়ূয়া চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরপরই অভিযুক্ত মুদি দোকানি মোজাম্মেল হোসেনকে (৫৫) নামের এক মুদি দোকানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চৈতানগর গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে।

একই দিন দুপুরের দিকে আটক মোজাম্মলে হোসেনকে জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে ভুক্তভোগী ছাত্রী মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য তার বাবার কাছ থেকে ১৩০ টাকা নেয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মোজাম্মেল হোসেনের দোকান থেকে ১০টাকার দামের একটি কলম কিনেন। মনের ভুলে বাকী টাকা দোকানে ফেলে রেখে চলে যায় ভুক্তভোগী। কিছুক্ষণ পর ফেলে আসা টাকা আনতে পুনরায় মোজাম্মেলের দোকানে যায়। এসময় মোজাম্মেল বলেন দোকানে টাকা নেই। বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আনতে। পরে সে মোজাম্মেলের বাড়িতে টাকা আনতে যায়। এসময় মোজাম্মেলের সাথে ভুক্তভোগী পিছু নেয়।

প্রবেশ করতেই মোজাম্মেল ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-মুখ বেঁধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে ১৭ ও ১৯ জানুয়ারি চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুনরায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মোজাম্মেল। আর এ ঘটনাটি কাউকে বললে ওই ছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও ভয় দেখান মোজাম্মেল। এরপর থেকে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যেতে রাজি হচ্ছিলনা। কেন সে মাদ্রাসায় যেতে চায়না এর কারণ তার মা জানতে চাইলে কয়েকদিন পর বিষয়টি সে তার মার কাছে খুলে বলে। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন পর আজ (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগরি বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন জানান, মাদরাসার শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করে দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ