আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

রাজশাহীর বেলপুকুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার।

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘায় দায়ের করা ধর্ষন মামলার একটিতে তুষার হোসেন (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। তুষার হোসেন উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। বেলপুকুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে বেড়াচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামী জয় হোসেন(১৮)। সে বাঘা পৌরসভার চকছাতারি গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে।

জানা যায়,গত বুধবার (১৯ মার্চ’২৫) দুপুরে চকছাতারি গ্রামের জয় হোসেন নিজ গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাবার নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীর মা তার নির্মাণাধীন অসমাপ্ত বাড়িতে যাওয়ার পর জয় হোসেন পালিয়ে যায়।

ওইদিন রাতে জয় হোসেনকে আসামী করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন শিক্ষীর্থীর মা নার্গিস বেগম। পুলিশ শিক্ষার্থীর শারিরিক পরীক্ষাসহ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার-এ (ওসিসি) ভর্তি করে। বর্তমানে আইইিউতে ভর্তির কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর পিতা মাজেদুল ইসলাম। তার মা সেখানে রয়েছেন।

সরেজমিন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার নানিকে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন শিক্ষার্থীর পিতা। তিনি জানান, বর্তমানে বসবাস করা জায়গাটি তার নিজস্ব নয়। খুব কষ্ট করে গ্রামেই ১কাঠা জমি কিনে সবেমাত্র থাকার জন্য ঘর শুরু করেছেন। ফাঁকা সেই ঘরে নিয়ে গিয়ে তার শিশু কণ্যাকে ধর্ষণ করেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কিছুটা ফাঁকা জায়গায় করা ঘরটির উপরে টিন সেট, চারিদিকে টিনের বেড়া। এখানো দরজা লাগানো হয়নি। ঘরের ভেতরে মেঝে করার জন্য মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। চারিদিকে ফাঁকা।
কিছুটা দুরে ধর্ষণ মামলার আসামী জয় হোসেনের আধাপাঁকা বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভেতর থেকে গেট লাগানো। জয়ের দাদি ফরিদা জানালেন,মামলার পর থেকে জয় হোসেন বাড়িতে থাকছেনা। একদিন আগে তার মা বাবাও কোথাও যেন গিয়েছে।

এদিকে, গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। গৃহবধু বাদি হয়ে ঘটনার দুইদিন পর গত রোববার(১৬ মার্চ’২৫) হাবাসপুর গ্রামের তুষার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলায় তুষার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গৃহবধুর স্বামী সুজন আলী জানান, কাজের সুবাদে নিজ জেলার বাইরে শরিয়তপুর ছিলেন। তার মা ছাগল নিয়ে মাঠে ছিলেন। বাড়িতে একা ছিল তার স্ত্রী। এই সুযোগে বাড়িতে প্রবেশ করে ভয় ভীতি দেখায়ে ধর্ষণ করে গ্রামের প্রতিবেশি তুষার হোসেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ’২৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি রুপপুর-হরিরামপুর আছে। ৯ মাস আগে বিয়ে করেছেন বলে জানান সুজন আলী।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় পলাতক আসামী জয় হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীসহ দুজনের ফাঁসির আদেশ।

চট্টগ্রামে খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের মামলায় এসব আদেশ দেন। দণ্ডিত দুজন হলেন, মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায়।

অন্যদিকে, একই আদেশে লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত স্বামী ফরহাদ ও তার মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে, লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, রায়ের সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। আগের স্বামী ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় জেসমিন তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় তিনি সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জেসমিনের স্বামী ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। ভোলায় তার স্ত্রী থাকলেও সেটা গোপন রেখে তিনি জেসমিনকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তারা আলাদা থাকতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছিল। পরে ফরহাদ তার মামা সেলিম মনিরের সঙ্গে জেসমিনকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরহাদ জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তারা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে খুন করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তারা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে ফরহাদ ও চটগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ