আজঃ শনিবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

সুন্দর ও পরিস্কার শহর হিসেবে পরিচিত এই রাজশাহী মহা নগরী। এ শহরের পাশে রয়েছে পদ্মা নদী। নদীর অপার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে আসে নারী, পুরুষ। আর এ সুবাদে নদীর ধারে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট অনেক দোকান।

চা, কফি, ফুচকা, চটপটি, থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে অনেক। একবার যে রাজশাহীতে এই পদ্মার নির্মল বাতাসে বেড়াতে এসেছে, সে কোন দিন ভুলতে পারে নি। ১২ কি: মিটার সরু রাস্তা আছে এই পদ্মার পাড় ঘেসে। সকালে ও বিকালে অনেকে হাটতে ও আসেন এখানে। এখন গীষ্মকাল, তাই পানি একদম নদীর মাঝখানে নেমে গেছে। সামান্য কিছু পানি আছে। কিন্তু বর্ষায় নদীতে ভরপুর পানি আসে।

এই রাজশাহী মহা নগরীতে রয়েছে প্রচুর স্কুল, কলেজ। আছে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, রুয়েট। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে আসা ছাত্র, ছাত্রীরা আসেন এই পদ্মার পাড়ে। মোট কথা জমজমাট একটা সুন্দর, সবুজের সমারোহ এই রাজশাহী পদ্মা নদীর পাড়। মহান সাধক হযরত শাহ মখদম (রা) এর মাজার শরীর আছে এই পদ্মা নদীর পাড়ে।
পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাজশাহী মহা নগরীর পদ্মার পাড়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছে বন্দরনগরী।

চট্টগ্রামে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করেছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। চিরায়ত গান, কবিতা, নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ লোকজ নানা অনুষঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্ষবরণের বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিয়েছে সর্বস্তরের হাজার, হাজার মানুষ। বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছে বন্দরনগরী।বর্ষবরণের আয়োজন থেকে মুক্ত বাংলাদেশে বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক চেতনা ধারণ করে বিভেদ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রামে বর্ষবরণের বড় আসর বসেছে সিআরবির শিরিষতলায়। নগরীর ডিসি হিলে গত ৪৬ বছর ধরে আরেকটি বড় আয়োজন হয়ে আসছিল। কিন্তু রোববার রাতে মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সেই আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। এরপরও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ আরও বিভিন্নস্থানে বর্ণিল উৎসব দেখা গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বের করা শোভাযাত্রায় আরও প্রাণময় হয়ে ওঠে পহেলা বৈশাখের আয়োজন।
নগরীর সিআরবির শিরিষতলায় এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সপ্তদশ আয়োজন শুরু হয় সোমবার সকাল ৭টায় ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের বেহালা বাদনের মধ্য দিয়ে। ‘নববর্ষ উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের’ উদ্যোগে দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদীচী চট্টগ্রাম, সঙ্গীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ রেলওয়ে সাংস্কৃতিক ফোরাম, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, সৃজামী, অদিতি সঙ্গীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সম্মিলিত গান পরিবেশন করেন।
এছাড়া বোধন আবৃত্তি পরিষদ, শব্দনোঙ্গর, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ কয়েকটি সংগঠনের শিল্পীরা বৃন্দআবৃত্তি পরিবেশন করেন। ওড়িষি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, নৃত্যনীড়, রাগেশ্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।

নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফারুক তাহের বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। সকল মত-পথের ঊর্ধ্বে উঠে এদিনটি আমাদের এক হয়ে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরার প্রেরণা দেয়। আমরা একেকজন একেক ধর্মের অনুসারী হতে পারি। পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, পৌষপার্বণ, নবান্ন এগুলো আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতি।

পরিষদের সহ-সভাপতি নুরুল আফসার মজুমদার স্বপন বলেন, এবার নতুন প্রেক্ষাপটে মুক্ত বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হচ্ছে। আমরা যে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ চাই, সকল মতের সম্মিলন, সহাবস্থান চাই, সেটাই এবারের আয়োজনে আমাদের প্রেরণা। মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ-বৈষম্য থাকবে না, আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে চাই আমাদের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে। আপামর মানুষের এই সংস্কৃতি যেদিন সারা বাংলাদেশে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারব, সেদিনই আমরা সুন্দর স্বদেশ পাব।

এদিকে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের ক্যাম্পাস থেকে পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা বের হয়। বাদশা মিয়া সড়ক থেকে আলমাস মোড়, কাজির দেউড়ি, জামালখান হয়ে সার্সন রোড দিয়ে শোভাযাত্রা আবার চারুকলা ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের তৈরি জাতীয় মাছ ইলিশ এবং টেপা পুতুলের ঘোড়ার মোটিফ স্থান পায় ঢোলবাদ্যের তালে তালে এগিয়ে যাওয়া শোভাযাত্রায়। মুখোশ হিসেবে ছিল বাঘ, মহিষ ও খরগোশ। শোভাযাত্রায় চারুকলার শিক্ষকদের পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকদের অন্যতম সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ছাত্র যাদব দেবনাথ।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্মীয় ভেদাভেদহীন, অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ আমাদের চাওয়া। এই বাংলাদেশ হোক সকল মানুষের। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে এই বাংলাদেশকে গড়তে পারি। শোভাযাত্রাকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের আশপাশজুড়ে। শোভাযাত্রা যে পথে গেছে সেখানেও পুলিশের কড়া প্রহরা দেখা গেছে।

বেলা ১২টায় নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিও নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সিএমপি বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

শিল্পকলায় অরিন্দমের ডলু নদীর হাওয়া মঞ্চায়িত।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রামের অন্যতম নাট্য সংগঠন অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের ৩১ তম প্রযোজনা স্বনামধন্য লেখক শহীদুল জহির এর গল্প ডলুয়া নদীর হাওয়া অবলম্বনে নাটকের উদ্ধোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়।

নাটকটি নির্মাণ ও মঞ্চ পরিকল্পনা করেন আমিনুর রহমান মুকুল। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মুনির হেলাল,সাবিরা সুলতানা বিনা,বিবি আয়েশা সুমী,সঞ্জয় ধর, পার্থ চক্রবর্তী, ইনান ইলহাম, চৈতি সাহা, সত্যজিৎ নন্দী, মাশরুর উশ শহীদ, জোবাইদা ইয়াসমিন সাকি, রাজদ্বীপ চৌধুরী, শিমলী দাশ, কাশপি আচার্য্য পুর্ণা, সুশান্ত চৌধুরী, সপ্তর্ষী চাকমা প্রমুখ। আবহ সঙ্গীত

পরিকল্পনায় ছিলেন মইনউদ্দিন কোহেল, গীত ও সুর রচনা করেন ড. দীপংকর দে, আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ফইয়াজ নুর রাকিন, পোশাক ও দ্রব্যসামগ্রী পরিকল্পনায় ছিলেন সাবিরা সুলতানা ও বিবি আয়েশা। রুপসজ্জা করেন শাহরিয়ার হাসান। পোষ্টার করেন দীপংকর দস্তিদার। ডলু নদীর হাওয়া গল্পটি একটি রহস্যময় আবহে গড়ে উঠেছে যেখানে ডলু নামের একটি নদী এবং তার আশেপাশের জনপদ গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া অঞ্চলের ডলু নদী তীরবর্তী এক দম্পতিকে ঘিরে আবর্তিত। তৈমুর আলী চৌধুরী ও সমর্তবানু ওরফে এলাচিং এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র।

শহীদুল জহিরের অন্যান্য গল্প বা উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি যেমন প্রবীণ হয় এ গল্পটিও তাই। তৈমুর ও সমর্ত বানুর দাম্পত্য জীবনের প্রায় ৪০ বছর পর এ গল্পের প্লট উম্মোচিত হয়। তারপর ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকে তাঁদের সম্পর্কের অতীত এবং বর্তমান। যেখানে পরপর অনেকগুলো শর্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকে তাঁদের জীবন ও পরিণতি। তাঁদের প্রেম, বিয়ে এবং দাম্পত্যের রহস্যময়তা যেমন এই গল্পের প্রতিপাদ্য, তেমনি চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনধারা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও এ গল্পের বাস্তব ভিত্তি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ