আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনি ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত। 

বদিউজ্জামান রাজাবাবু  চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে ঈদ পুনমিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় এবং ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে জেলা শহরের শহীদ সাটু হলে যেন বিএনপি নেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ওইদিন জেলা বিএনপির সকল নেতারা এক মঞ্চে বসে বক্তব্য রাখেন এবং একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহা: হায়াত উদ্দৌলা”র সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম (চাইনিজ রফিক) প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সালাম তুহিন। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  রহনপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তারিক  আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব জহিরুল হক বিশ্বাস বুলু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি সারোয়ার জাহান ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল বিশ্বাস, আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি, গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গনি হামিদ চৌধুরী সহ ওয়ার্ড ইউনিয়ন এবং অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথি জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম (চাইনিজ রফিক) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে উদ্দেশ্য করে বলেন, দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, আগামী দিনে বিএনপি সরকার গঠন করিলে পিছিয়ে পড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের উন্নায়ন করা হবে এ ছাড়াও তিনি বলেন বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ রাতের নির্বাচন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছিল। বিএনপি একটি সুসংগঠিত দল। খুন, গুম, মামলা মাধ্যমেও দলের নেতা কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি তারা। সকল ভেদাভেদ ভুলে বিএনপির সকল নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাত দিয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশে এ যাবতকালে যত নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে আগামীর নির্বাচন। তাই নেতা কর্মীদের ইউএনও অফিস, শিক্ষা অফিস, হাট বাজার ইজারা, টেন্ডার ইত্যাদির পেছনে সময় না দিয়ে ঠান্ডা মাথায় জনগনের কাছে গিয়ে জনগনের সেবক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি। সভার শেষে ফিলিস্তিনের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং সকল আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ছাগল পালন করে সাবলম্বী।

বরেন্দ্র অঞ্চলের ছাগলপালন করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে ন। রাজশাহীর গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে প্রান্তিক পরিবারগুলোতে ছাগল পালন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এ অঞ্চলের বহু মানুষ বিভিন্ন জাতের ছাগল মোটাতাজা করে তাদের জীবিকা উন্নত করেছে।

বরেন্দ্র অঞ্চল ও জেলা জুড়ে ছাগল পালন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গরু ও ভেড়া মোটাতাজাকরণের পাশাপাশি অনেক সুবিধাবঞ্চিত পরিবার আয়ের টেকসই উৎস হিসেবে ছাগল পালনের দিকে ঝুঁকছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুসারে, জেলায় ছাগল মোটাতাজাকরণ খামারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ বছর মোট ছাগলের সংখ্যা ৫.২৬ লক্ষে পৌঁছেছে- যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ বেশি।

বিভিন্ন জাতের ছাগল পালন- বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল কেবল গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাই নয়, প্রোটিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণেও অবদান রাখছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা ও প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জালাল সরদার বলেন, অনেক তৃণমূল পরিবার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল পালন করছে। তারা তাদের উদ্যোগে বেশ সফল এবং প্রতি বছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে।

ব্ল্যাক বেঙ্গল শীর্ষ পাঁচটি মাংস উৎপাদনকারী জাতের মধ্যে একটি। এর উচ্চ প্রজনন হার, সুস্বাদু মাংস ও চামড়া আন্তর্জাতিক মানের। তিনি আরও বলেন, এটি দারিদ্র্য বিমোচনের একটি কার্যকর হাতিয়ার।

গ্রামবাসীরা এখন খড়, গুড়, তেলের খোসা, ছোলা, সবুজ ঘাস ও গমের ভুসির মতো প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহার করে ছাগল মোটাতাজা করছে। তারা এখন আর ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করে না। তিনি এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটি সম্প্রসারণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচার, উন্নত প্রজনন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও আরও প্রদর্শনী খামার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনের ওপর দক্ষ জনবল ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

সরকারি চাকরি না পেয়ে, বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের স্নাতক পাশ দম্পতি সোহেল রানা ও তার স্ত্রী রিমা খাতুন প্রায় সাত বছর আগে তাদের বাড়িতে ছাগল পালন শুরু করেন।তারা এখন তাদের বাড়ির পাশে একটি ছাগল মোটাতাজাকরণ খামার পরিচালনা করছেন।

সোহেল বাসসকে বলেন, ‘এই বছর আমরা প্রায় ২ লাখ টাকায় ৪০টি ছাগল কিনেছি। আমরা ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় আটটি ছাগল বিক্রি করেছি ও বাকি ছাগল থেকে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।’এভাবেই চলছে সফলতার গল্প। অনেকে ছাগল পালন করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ