আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

মির্জা ফখরুলসহ পরিবারের সদস্যদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে কর্মসূচি।

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল মব ও তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোসহ ঠাকুরগাঁওয়ের অহংকার বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বানোয়াট এবং কাল্পনিক প্রচারণার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলার বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে জেলা শহরের চৌরাস্তায় এ কর্মসুচি পালন করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান এ মানববন্ধনে জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী, অ্যাডভোকেট, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাসহ সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে জ্যাকব মিল্টন নামে এক ব্যাক্তি আমেরিকায় বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বানোয়াট এবং কাল্পনিক প্রচারণা চালিয়েছে। তারই প্রতিবাদে এ কর্মসুচি পালিত হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু ঠাকুরগাঁও জেলার নয় সারাদেশের অহংকার। তিনি একজন নম্র ও ভদ্র মানুষ যা মানুষের অজানা নয়। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আইনজীবীরা ওই জ্যাকব মিল্টরে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন। অবিলম্বে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়া ওই জ্যাকব মিল্টনকে আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেন বক্তারা। যদি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জ্যাকব মিল্টনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন তাহলে আরো কঠোর কর্মসুচির হুশীয়ারি উচ্চারণও করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জ্যাকব মিল্টন নামে এক ব্যাক্তি আমেরিকা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক পেইজ থেকে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি যা বলেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো- মির্জা ফখরুল আপনি তো ওই মানুষ। আপনিতো ওই একটা মানুষ রাইট। আপনি খুব নীতিবান, আপনি নাকি সৃজনশীল রাজনীতি করেন। মির্জা ফয়সাল আমিন নামে একটা লোক আছে ঠাকুরগাঁওয়ে। আমি শুনেছি সে নাকি আপনার ভাই। আপনি তাকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলেন। সাবেক মেয়র ও নির্বাহী সদস্য বানিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে মির্জা ফয়সাল আমিন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ঋণ খেলাপি হিসেবে সে সময় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জমা পরেছে। মির্জা ফখরুল আপনি অত্যান্ত ক্লিন না। ওকে। অ্যাডভেটেক অরুনাংশু দত্ত টিটো উপজেলা চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এবং আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে হামলা ঠেকানো এবং ওই অরুনাংশু দত্ত টিটোকে
নিরাপদে বর্ডার পার করা এবং জেলায় তার যাবতীয় সম্পদ রক্ষার দায়িত্বটা আপনার পরিবার নিয়েছে। মির্জা ফখরুল। আপনি নিয়েছেন। আপনার ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন নিয়েছে। এ বাবদ দশ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে না। দশ কোটি না যেনো এগারো কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। আপনি কয় টাকা পেয়েছেন। ৫ই আগস্টের আগে মির্জা ফয়সাল তার কোন নিজস্ব গাড়ি ছিল না। কিন্তু এগারো কোটি টাকার পরে মির্জা ফয়সাল আমিন এখন অত্যান্ত দামি গাড়িতে চলে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় এর নিরাপত্তাও বিধান করেছেন মির্জা সাহেব আপনি এবং আপনার পরিবার। এবং বিনিময় মুল্য আবার কয়েক কোটি টাকা। আপনি কত পেয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান ইশরাত ফারজানা। কাজে যোগদান করেই সরকারি নানা অধিদপ্তরের সাথে বৈঠক করলেও জেলা বিএনপি নেতাদের সাথে বৈঠক না করায় ক্ষুদ্ধ হন আপনার ভাই মির্জা ফয়সাল। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণ ভবন চাঁদা দাবি ঘটনায় বাঁধা দিলে ইসরাত ফারজানাকে ২৭ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও থেকে রাঙ্গামাটিতে বদলি করা হয়। যার পেছনে আপনি ইনফ্লোয়েস করেছেন। মির্জা ফখরুল। ঠাকুরগাঁও থেকে তাকে একজন জেলা প্রশাসককে কথায় পাঠাইছেন বান্দরবন। এবং এই কাজটা কিভাবে হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে পৌছাইয়া আপনি পাইছেন কি। মানে আপনি বিএনপি বি কাহুনা। কারন আপনি বিএনপির অনেক চোঁখকে হেফাজত করেন। তাদেরকে আপনি শুয়রের বাঁচা বলে গালি দেন না। কারন ভাগ টাক আপনার ভাগে আসে মির্জা ফখরুল। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মানের কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মির্জা ফয়সালের কর্মীরা। সেই টাকার বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়ায় আজবদি নির্মাণ কাজ থেমে রয়েছে। মির্জা ফখরুল আপনি আপনার ভাইকে দিয়ে এগুলো করাচ্ছেন। তো এগুলোকি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পরে। আপনি না একজন স্বজ্যন ব্যাক্তি রাজনীতিবিদ। ঠাকুরগাঁও সদরে সরকারিভাবে সুইপার কোলনি নির্মানে জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছেও বিপুল অংক চাঁদা দাবি করেছে। আপনার ভাই এবং আপনার পরিবার। এছাড়াও প্রশাসন ইউএনও টিএনও এবং উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ করে পুলিশ সুপারের কাছে যে কোন কাজ বা মামলা সংক্রান্ত কাজে গেলে স্পস্ট বলে দেয় কাজ হয়ে যাবে কিন্তু মির্জার অফিস ঘুরে আসেন। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মামলা ভয় দেখানো চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেয়ার মাধ্যমে বেশ ভাল ইনকাম করেছেন আপনারা। আপনি এবং আপনার ছোট ভাই। পাশাপাশি বিশাল অংক লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় দেড়শ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে জামাই আদরে আপনার ঘরে বসিয়ে আপনার ভাই খাইয়েছে। কিন্তু নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে মানববন্ধন করে । মানববন্ধনের মুখোমুখি হন। আপনারা। যেটা পরবর্তিতে স্থগিত হয়। মির্জা ফয়সাল ও তার অনুসারীদের চাঁদাবাজি ও অনিয়ম নিয়ে ফাস্ট এপ্রিল নিজ জেলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রম্ন করা হলে আপনি সেসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ওখান থেকে কেটি পরেছিলন।
এর বাইরেই ওই ভিডিওতে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন জ্যাকব মিল্টন।

এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে মানবন্ধনের ডাক দেয়া হয়। আর এ মানববন্ধনে অংশ নেয় জেলার সর্ব স্তরের মানুষ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ