আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

মির্জা ফখরুলসহ পরিবারের সদস্যদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে কর্মসূচি।

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল মব ও তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোসহ ঠাকুরগাঁওয়ের অহংকার বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বানোয়াট এবং কাল্পনিক প্রচারণার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলার বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে জেলা শহরের চৌরাস্তায় এ কর্মসুচি পালন করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান এ মানববন্ধনে জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী, অ্যাডভোকেট, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাসহ সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে জ্যাকব মিল্টন নামে এক ব্যাক্তি আমেরিকায় বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বানোয়াট এবং কাল্পনিক প্রচারণা চালিয়েছে। তারই প্রতিবাদে এ কর্মসুচি পালিত হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু ঠাকুরগাঁও জেলার নয় সারাদেশের অহংকার। তিনি একজন নম্র ও ভদ্র মানুষ যা মানুষের অজানা নয়। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আইনজীবীরা ওই জ্যাকব মিল্টরে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন। অবিলম্বে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়া ওই জ্যাকব মিল্টনকে আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেন বক্তারা। যদি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জ্যাকব মিল্টনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন তাহলে আরো কঠোর কর্মসুচির হুশীয়ারি উচ্চারণও করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জ্যাকব মিল্টন নামে এক ব্যাক্তি আমেরিকা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক পেইজ থেকে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি যা বলেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো- মির্জা ফখরুল আপনি তো ওই মানুষ। আপনিতো ওই একটা মানুষ রাইট। আপনি খুব নীতিবান, আপনি নাকি সৃজনশীল রাজনীতি করেন। মির্জা ফয়সাল আমিন নামে একটা লোক আছে ঠাকুরগাঁওয়ে। আমি শুনেছি সে নাকি আপনার ভাই। আপনি তাকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলেন। সাবেক মেয়র ও নির্বাহী সদস্য বানিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে মির্জা ফয়সাল আমিন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ঋণ খেলাপি হিসেবে সে সময় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জমা পরেছে। মির্জা ফখরুল আপনি অত্যান্ত ক্লিন না। ওকে। অ্যাডভেটেক অরুনাংশু দত্ত টিটো উপজেলা চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এবং আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে হামলা ঠেকানো এবং ওই অরুনাংশু দত্ত টিটোকে
নিরাপদে বর্ডার পার করা এবং জেলায় তার যাবতীয় সম্পদ রক্ষার দায়িত্বটা আপনার পরিবার নিয়েছে। মির্জা ফখরুল। আপনি নিয়েছেন। আপনার ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন নিয়েছে। এ বাবদ দশ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে না। দশ কোটি না যেনো এগারো কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। আপনি কয় টাকা পেয়েছেন। ৫ই আগস্টের আগে মির্জা ফয়সাল তার কোন নিজস্ব গাড়ি ছিল না। কিন্তু এগারো কোটি টাকার পরে মির্জা ফয়সাল আমিন এখন অত্যান্ত দামি গাড়িতে চলে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় এর নিরাপত্তাও বিধান করেছেন মির্জা সাহেব আপনি এবং আপনার পরিবার। এবং বিনিময় মুল্য আবার কয়েক কোটি টাকা। আপনি কত পেয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান ইশরাত ফারজানা। কাজে যোগদান করেই সরকারি নানা অধিদপ্তরের সাথে বৈঠক করলেও জেলা বিএনপি নেতাদের সাথে বৈঠক না করায় ক্ষুদ্ধ হন আপনার ভাই মির্জা ফয়সাল। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণ ভবন চাঁদা দাবি ঘটনায় বাঁধা দিলে ইসরাত ফারজানাকে ২৭ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও থেকে রাঙ্গামাটিতে বদলি করা হয়। যার পেছনে আপনি ইনফ্লোয়েস করেছেন। মির্জা ফখরুল। ঠাকুরগাঁও থেকে তাকে একজন জেলা প্রশাসককে কথায় পাঠাইছেন বান্দরবন। এবং এই কাজটা কিভাবে হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে পৌছাইয়া আপনি পাইছেন কি। মানে আপনি বিএনপি বি কাহুনা। কারন আপনি বিএনপির অনেক চোঁখকে হেফাজত করেন। তাদেরকে আপনি শুয়রের বাঁচা বলে গালি দেন না। কারন ভাগ টাক আপনার ভাগে আসে মির্জা ফখরুল। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মানের কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মির্জা ফয়সালের কর্মীরা। সেই টাকার বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়ায় আজবদি নির্মাণ কাজ থেমে রয়েছে। মির্জা ফখরুল আপনি আপনার ভাইকে দিয়ে এগুলো করাচ্ছেন। তো এগুলোকি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পরে। আপনি না একজন স্বজ্যন ব্যাক্তি রাজনীতিবিদ। ঠাকুরগাঁও সদরে সরকারিভাবে সুইপার কোলনি নির্মানে জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছেও বিপুল অংক চাঁদা দাবি করেছে। আপনার ভাই এবং আপনার পরিবার। এছাড়াও প্রশাসন ইউএনও টিএনও এবং উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ করে পুলিশ সুপারের কাছে যে কোন কাজ বা মামলা সংক্রান্ত কাজে গেলে স্পস্ট বলে দেয় কাজ হয়ে যাবে কিন্তু মির্জার অফিস ঘুরে আসেন। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মামলা ভয় দেখানো চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেয়ার মাধ্যমে বেশ ভাল ইনকাম করেছেন আপনারা। আপনি এবং আপনার ছোট ভাই। পাশাপাশি বিশাল অংক লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় দেড়শ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে জামাই আদরে আপনার ঘরে বসিয়ে আপনার ভাই খাইয়েছে। কিন্তু নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে মানববন্ধন করে । মানববন্ধনের মুখোমুখি হন। আপনারা। যেটা পরবর্তিতে স্থগিত হয়। মির্জা ফয়সাল ও তার অনুসারীদের চাঁদাবাজি ও অনিয়ম নিয়ে ফাস্ট এপ্রিল নিজ জেলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রম্ন করা হলে আপনি সেসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ওখান থেকে কেটি পরেছিলন।
এর বাইরেই ওই ভিডিওতে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন জ্যাকব মিল্টন।

এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে মানবন্ধনের ডাক দেয়া হয়। আর এ মানববন্ধনে অংশ নেয় জেলার সর্ব স্তরের মানুষ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ