আজঃ শনিবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

জলবন্ধতা নিরসনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সিআরবি কনফারেন্স রুমে নগরীর সার্বিক কার্যক্রম, জলাবদ্ধতা নিরসণ কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরবর্তী পরিকল্পনা বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

ফাওজুল কবির খান বলেন, “নগর উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়, নাগরিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে হলে আমাদের অবশ্যই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ¶েপ নিতে হবে।”

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-ক·বাজার মহাসড়কে প্রাণহানি বেড়ে চলেছে। প্রাণহানির ঘটনা রোধে তাৎ¶ণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় সচেতনতামূলক রোড সাইন ব্যবহার করা হবে এবং চট্টগ্রাম-ক·বাজার সড়ক ছয় লেইনে উন্নীত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সড়ক পুরোপুরি ছয় লেনে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর অবস্থা বর্তমানে নাজুক। এই হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক করা হবে, যাতে সাধারণ জনগণও এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে। রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে আরও উন্নত চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়োগ এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হবে। একইক সাথে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন ও স্টেশনের শৌচাগারগুলোর অবস্থা এবং রেলওয়ের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা চট্টগ্রাম নগরীর অনেক দিঘি এবং জলাশয় হারিয়ে ফেলেছি। নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত পার্ক এবং জলাশয় দরকার। আগ্রাবাদ ঢেবারপাড়, আসকার দিঘি ও ভেলোয়ার দিঘি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব জলাশয় জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার গুরুত্বারোপ করনে। তিনি বলেন, “এগুলো নগরবাসীর জন্য প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে এবং নগরীক জীবনে পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে।”

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম ও নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার শীর্ষ
কর্মকর্তাবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।


গণমাধ্যম জীবনের আয়না, সংবাদকর্মী জাতির বিবেক – এই প্রত্যয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে সোচ্চার ভোলার লালমোহনের সামাজিক সাংবাদিক সংগঠন লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে লালমোহন পৌরশহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় অবস্থিত সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে, এডহক কমিটির আহবায়ক প্রভাষক তারেকুল ইসলাম খালেকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিজান হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক মাতৃজগতের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর ও দৈনিক ভোরের আকাশের কোস্টাল করেসপন্ডেন্ট প্রভাষক কবি রিপন শান , দৈনিক বরিশালের কথার উপদেষ্টা সম্পাদক শিক্ষাবিদ জাকির হোসেন খাঁন, লালমোহন কলোজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও লালমোহন বাদশা মিয়া একাডেমির চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক সহ লালমোহন মিডিয়া ক্লাব নেতৃবৃন্দ।


সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ববর্তী এডহক কমিটি বিলুপ্ত করে আগামী দুই বছরের জন্য লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয় । দৈনিক আলোচিত কণ্ঠের লালমোহন প্রতিনিধি প্রভাষক মোসলেউদ্দিন মুরাদকে সভাপতি, দৈনিক আমাদের বরিশালের লালমোহন প্রতিনিধি মিজান হাওলাদার কে সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোলার বাণীর লালমোহন শহর প্রতিনিধি জাকির হোসেন জুয়েল কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে গঠিত কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা হচ্ছেন- সহ-সভাপতি # মোঃ মিজান পাটোয়ারী (দৈনিক আজকের বসুন্ধরা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক # জসিম মাতাব্বর (দৈনিক একুশে নিউজ), অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক # এমরান হাসান আলীম (দৈনিক মাতৃজগত), সিনিয়র নির্বাহী সদস্য # রিপন শান (দৈনিক ভোরের আকাশ), নির্বাহী সদস্য # তারেকুল ইসলাম খালেক (দৈনিক একুশে নিউজ) ,

নির্বাহী সদস্য # মোঃ মোজাম্মেল হক (দৈনিক দেশের খবর) প্রমুখ। সাধারণ সভার প্রথম পর্বে লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সদস্যপদের জন্য আবেদনকারী ৩ জন গণমাধ্যমকর্মীকে উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে ক্লাবের সাধারণ সদস্যপদ প্রদান করা হয় । এরা হলেন : দৈনিক বরিশালের কথার উপদেষ্টা সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন খাঁন, দৈনিক আজকের খবরের স্টাফ রিপোর্টার মাকসুদ আলম ভূঁইয়া ও দৈনিক স্বাধীন ভোরের লালমোহন প্রতিনিধি মোঃ হাসনাইন মুরাদ ।

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন আবারও বাঘা শরীফ।

ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আবারো কুমিল্লার বাঘা শরীফ। শুক্রবার বিকেলে এবারও তিনি কুমিল্লা সদরের রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন। এদিকে চলতি আসরে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন বলী।নগরের লালদীঘি মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে এ প্রতিযোগিতার মূল পর্ব শুরু হয় বিকেল ৪টায়। দেখা গেছে, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এবারও ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ বলী।

এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।এর আগে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থী ভিড় করেছেন লালদীঘি প্রাঙ্গণে। এ বলীখেলাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে জমে উঠেছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা। চারিদিকে উৎসবের আমেজ।

বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নগরের লালদীঘি ময়দান ছিল উপচেপড়া দর্শকের ভিড়। ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা দেখতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো মানুষ। ঢোলের তালে তালে দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখর ছিল পুরো মাঠ।
জব্বারের বলীখেলা ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানান, বলীখেলার ১১৬তম আসরে এবার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪৭ জন বলী। এতে জাতীয় পর্যায়ের বলীরাও এবার অংশ নিয়েছেন।

এদিকে, আবদুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে নগরের লালদীঘি মাঠ ও এর আশপাশজুড়ে বসেছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। সিনেমা প্যালেস থেকে লালদীঘি মোড় হয়ে শাহ আমানত মাজার গেট। অন্যদিকে আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত বসেছে এ মেলার দোকানপাট। মেলা থেকে ঘুরে ঘুরে পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন নারী-পুরুষ, শিশু সবাই।

১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই বলীখেলার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এটি জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রতি বছরের ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এই জব্বারের বলীখেলা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ