আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

সিংগাইরে সন্ত্রসীরা হামলা চালিয়ে ভেঙে দিলো সাংবাদিকের হাত।

মোঃরাজিব হোসেন জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এবং দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তার বাম হাত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার ধল্লা বাজারস্থ তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ধল্লা পল্লী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার অফিসে ঢুকে ধল্লা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫৩) এর নেতৃত্বে ধল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে হুমায়ন (৪০), তুফান আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন (৪০), কাউছারের ছেলে জিসান (২২) ও জোনাব আলীর ছেলে ওয়াজ উদ্দিন (৪৫) সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন দা,চাপাটি, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক মাসুম বাদশা’র ওপর হামলা চালায়। এলোপাথাড়ী মারপিটের সময় হুমায়নের রডের আঘাতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এ সময় আনোয়ার দা দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়, যা ডান হাতের কব্জিতে লাগে। তার ডাক চিৎকারে ওই অফিসের লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক মাসুম বাদশাহ বলেন, হামলাকারীরা এলাকার মাদসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত । তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকেন্ড ইন কমান্ড হুমায়নের ভাই ও বোনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। এরই জের ধরে তারা হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা খোলোশ পাল্টে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং আমার কাছে চাঁদাদাবি করে। সংবাদ প্রকাশ ও চাঁদা না দেয়ার জের ধরে আমাকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

এ দিকে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিংগাইর প্রেসক্লাবের এক জরুরি সভায় নিন্দা প্রস্তাবে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এ ছাড়া সিংগাইর ও মানিকগঞ্জের অগনিত সাংবাদিক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার খবর শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীসহ দুজনের ফাঁসির আদেশ।

চট্টগ্রামে খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের মামলায় এসব আদেশ দেন। দণ্ডিত দুজন হলেন, মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায়।

অন্যদিকে, একই আদেশে লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত স্বামী ফরহাদ ও তার মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে, লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, রায়ের সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। আগের স্বামী ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় জেসমিন তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় তিনি সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জেসমিনের স্বামী ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। ভোলায় তার স্ত্রী থাকলেও সেটা গোপন রেখে তিনি জেসমিনকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তারা আলাদা থাকতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছিল। পরে ফরহাদ তার মামা সেলিম মনিরের সঙ্গে জেসমিনকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরহাদ জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তারা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে খুন করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তারা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে ফরহাদ ও চটগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ