আজঃ বুধবার ১৪ মে, ২০২৫

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়ে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে : মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এ সুযোগে যাতে অপতথ্য ছড়ানো না হয়। মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবশনে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি বছর ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে। এ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রনয়ণের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।সাংবাদিকদের সন্তাদের স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও সার্বিক কল্যাণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে কল্যাণ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সহায়তা প্রকৃত প্রাপ্যরাই পাবেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ এর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এডহক কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (উপসচিব) স্থানীয় সরকার মো. নোমান হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন

সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাংবাদিক মাহবুব মাওলা রিপন, মজুমদার নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলার ২৭ জন গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে চেক বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবার চট্টগ্রাম আসছেন ড. ইউনূস।

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার চট্টগ্রামে আসছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার তিনি নিজ জন্মভূমিতে যাবেন। প্রধান উপদেষ্টা সেখানে দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

জানা গেছে, মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করবেন তিনি।পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। যা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।

চমেক হাসপাতাল আরও ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরি করতে প্রস্তুত।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর সেবা কার্যক্রম চালু হয় ১৯৬০ সালে। এ হাসপাতালের আসন সংখ্যার দ্বিগুণ রোগীর কারণে মেজেতে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যায় সব সময়। একদিকে রোগীর চাপ অন্যদিকে ডাক্তার ও নার্স সংকট। এসব বিষয় বিবেচনা করে নতুন করে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট্য ’চমেক -২ হাসপাতাল করার প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে ৫০০ শয্যা, ১৯৯৬ সালে ৭৫০ শয্যা, ২০০১ সালে ১ হাজার ১০ শয্যা, ২০১৩ সালে ১৩১৩ শয্যা এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে এ হাসপাতালকে ২২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। মাত্র ৫০০ শয্যার অবকাঠামোতে নির্মিত এ (চমেক) হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দফায় দফায় বাড়ানো হলেও বাড়েনি জনবল। বর্তমানে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে (আউটডোরে) প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ ন। আর প্রতিনিয়ত প্রায় ৩ হাজার রোগী ভর্তি থাকছে গরিবের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এই হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে (ইনডোরে)।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে বর্তমান নার্স সংখ্যা ১ হাজার ১৯৭ জন। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে হাসপাতালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি রয়েছেন ৪১৭ জন। এর মধ্যে ৩য় শ্রেণির ১১০ পদে রয়েছেন ৮৫ জন। আর ৪র্থ শ্রেণির ৫৬৬টি পদে কর্মরত রয়েছেন ৩৩২ জন। হিসেবে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদে আরো প্রায় আড়াইশ পদ শূন্য রয়েছে। অবশ্য আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৪র্থ শ্রেণির আরো ১৯৩ জন কর্মচারী রয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসক ও নার্স সংখ্যা মোটামুটি চলনসই হলেও হাসপাতালে কর্মচারি সংকট প্রকট বলে জানান হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন, এমপিল, এমপিএইচ।

পরিচালকের দাবি- হাসপাতালে বিশেষ করে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী বেশি প্রয়োজন। কিন্তু এ জায়গাতেই সংকট বেশি। পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মচারী পাওয়া গেলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় আরো সন্তোষজনক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এর বাইরে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহকারী পরিচালক পদ মর্যাদায় আরো কিছু সংখ্যক জনবল জরুরি জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন।
শয্যা বেড়ে এখন ২২০০ হয়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে জনবল বাড়েনি। সেই

পুরনো জনবলেই সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এত অপর্যাপ্ত জনবলে বিশাল সংখ্যক রোগী সামলানো আসলেই কঠিন। সীমিত জনবলে সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেরই হিমশিম অবস্থা বলেও মন্তব্য করেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন।

এদিকে, কর্মচারি সংকটের পাশপাশি ৪৬টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট চমেক হাসপাতালে স্থান সংকটও চরম পর্যায়ে। শয্যা ছাড়িয়ে মেঝে, বারান্দা, করিডোর এমনকি সিঁড়িতেও রাখতে হচ্ছে রোগীকে। জনবল ও স্থানের এমন চরম সংকট নিয়ে এতদঞ্চলের বিশাল সংখ্যক রোগীর চাপ যেন আর নিতে পারছে না হাসপাতালটি। সবমিলিয়ে গরিবের এ হাসপাতালটি রোগীর ভারে বিপযস্ত বলা চলে। এমন পরিস্থিতিতেও এ হাসপাতালে তুলনামূলক কম খরচে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন গরীব–অসহায় রোগীরা। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চড়া ফি বহনে অক্ষম অসহায় রোগী মাত্রই ছুটে যান চমেক হাসপাতালে।

চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও নগরে সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। এর অর্ধেক অংশ সেবা গ্রহণ করে থাকেন একমাত্র ভরসার এই চমেক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে চিকিৎসার মান ভালো হওয়ায় রোগীর চালপও বেড়েছে দ্বিগুণ। এ অবস্থায় রোগীকে পর্যাপ্ত সেবা প্রদানের দিক বিবেচনা করে চমেক – ২ নামে আরো একটি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল করার প্রস্তাবনা দিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ