আজঃ রবিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোণায় ব্রি ধান৯২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৮ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা।

নেত্রকোণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোণার আয়োজনে ও এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে ব্রি কতৃক উদ্ভাবিত ধানের উফশী জাত ব্রি ধান৯২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৮ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ০৭ মে ) দুপুরে জেলার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের দেওটুকোণ গ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেত্রকোণা জেলার উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও ব্রি, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: খালিদ হাসান সৌরভ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলএসটিডি প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জোবায়ের হোসেন, ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান মো: খালিদ হাসান তারেক। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ স্যাটেলাইট স্টেশন এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান নিমফিয়া পারভীন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হুর-ই-ফেরদৌসী তাজিন সহ কৃষি সম্প্রসারণ ও ব্রি নেত্রকোণা’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুধী সমাজ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় শতাধিক কৃষক-কৃষাণীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রি নেত্রকোণা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্বাবধানে ব্রি’র অন্যান্য উফশী ধানের জাতের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের মাঝে গবেষণা ট্রায়ালের জন্য উফশী ও ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধানের স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় জাত সমূহের চাষ হয়েছে। এ বছর ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড় কম থাকায় আশানুরূপ ফলনও হয়েছে।
স্হানীয় কৃষক মো: নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে ব্রি ধান৯২ চাষ করেছেন । অন্য ধানের তুলনায় অনেক বেশী ফলন হয়েছে। ব্রি নেত্রকোণার কর্মকর্তাগণ সকল ধরনের পরামর্শ ও তথ্য দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ধান ও চাল বিক্রির পাশাপাশি বীজ সংরক্ষণ করবেন। অন্যান্য কৃষকদেরও তিনি এ ধানের জাত চাষ করার আহ্বান জানান।
আরেক কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, তার ব্রি হাইব্রিড ধান৮ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। হাইব্রিড সত্ত্বেও চাল চিকন হওয়ায় এর আলাদা কদর রয়েছে। শতাংশ প্রতি এক মণের বেশি ফলন হওয়ায় তার কাছে অন্যান্য কৃষক আগ্রহী হয়ে ভবিষ্যতে এ জাত চাষ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে কৃষক নূর উদ্দিন ও আমিনুলে’র জমিতে নমুনা শস্য কর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরে তা মাড়াই করা হয়। সেখানে ব্রি ধান৯২ এর প্রদর্শনীকৃত জমিতে শতাংশ প্রতি প্রায় ১ মণ ও হাইব্রিড ধান৮ এর প্রদর্শনীকৃত জমিতে ১ মণের বেশি ফলন পাওয়া যায়। তারা সহ উপস্হিত কৃষকগণ এ ফলন দেখে আগামীতে উফশী এ জাতসমূহ চাষে আগ্রহী হন এবং ব্রি’র কর্মকর্তাগণকে ধন্যবাদ জানান।
ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান খালিদ হাসান তারেক জানান, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ব্যপক পরিসরে উফশী জাতসমূহ চাষাবাদ প্রযোজন। আর এ জাতসমূহ কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ব্রি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রি, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয় এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কিছু গবেষণা ট্রায়াল স্থাপন করেছে যাতে কৃষকরা ধানের নতুন জাতসমূহের বৈশিষ্ট্য ও ফলন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেন।
পূর্বধলা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জোবায়ের হোসেন ধানে উচ্চ ফলন পেতে সেচ ও সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা প্রদান করেন ও কৃষকদের ধানের চারা লাইন ও লঘুতে রোপণ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি ড. মোফাজ্জল হোসেন তার বক্তব্যে রোগ ও পোকামাকড় চিহ্নিতকরণ, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, নতুন জাতসমূহ ও এর উৎপাদনশীলতা সহ স্থানীয় পর্যায়ে ধানের বিভিন্ন জাতের উপযোগীতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও উপস্থিত কৃষক কৃষাণীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নূরুজ্জামান সুষম সার প্রয়োগ কি, এর প্রয়োগ মাত্রা, লাভ ও ফলনে প্রভাবের বিস্তারিত আলোচনা করেন পাশাপাশি উফশী ধানের নতুন জাতসমূহ যাতে সকল কৃষকের দোড়গোরায় পৌঁছে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ব হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভোলায় জলসিঁড়ির জমজমাট ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত ।। 💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚

দ্বীপজেলা ভোলার সর্বস্তরের লেখকদের প্রাণের সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের জমজমাট ষঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে । ভোলা প্রেসক্লাবে, ৮ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সাহিত্য আড্ডায় জলসিঁড়ির আহবায়ক বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক শাহাবুদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে, আবৃত্তিশিল্পী এস এম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আসরে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট গবেষক ও ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) মোঃ ফিরোজ মাহমুদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান কবি রিপন শান, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সহ-সভাপতি ও নাজিউর রহমান কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) কবি কামাল হোসেন শাহীন, সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর ভোলা জেলা প্রতিনিধি জুন্নু রায়হান , ব-দ্বীপ ফোরাম এর সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশাররফ অমি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সদস্য সচিব ও ভোলা ইউনানী মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক ডা. মহিউদ্দিন মহিন ।

আসরে চমৎকার ছোটগল্প পাঠ করেন- দৈনিক প্রথম আলোর ভোলা জেলা প্রতিনিধি ও ভোলা আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নেয়ামত উল্যাহ । কবিতা পাঠ করেন – জলসিঁড়ির নির্বাহী সদস্য ও ভোলা গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের শিক্ষক কবি আল মনির, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি জুলফিকার আলী, জলসিঁড়ির সদস্য কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, কবি কামরুন্নাহার, কবি শাহনাজ পারুল, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম, কবি জিএম ফিরোজ প্রমুখ। আসরে একগুচ্ছ কবিতা নিবেদনের পাশাপাশি কবিতার গান পরিবেশন করেন কবি রিপন শান । মূল্যবান প্রবন্ধ পাঠ করেন- শিশুসাহিত্যিক শাহাবুদ্দিন শামীম । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সাংবাদিক এম এ বারিক ও আল-আমিন শাহরিয়ার ।

নিয়মিত ধারাবাহিক আসরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের বক্তারা বলেন- জাতীয় মঙ্গলের কবি মোজাম্মেল হক, দ্বীপান্তরের বন্দী নলিনী দাস এবং বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জীবনস্মৃতি ধন্য ভোলা জেলার আর্থ-সাংস্কৃতিক গৌরবকে যুগের ধারায় প্রবাহিত করার জন্য হলেও ভোলার লেখকদের দলমত নির্বিশেষে এক প্লাটফর্মে মিলিত হতে হবে । জল-জলাঙ্গীর জনপদ নদীবিধৌত ভোলার চিরসংগ্রামী মানুষের জরুরি সকল দাবি বাস্তবায়নে সাহিত্যের নিয়মিত অনুশীলন ব্যাপক ভূমিকা রাখবে । সময়ের চাহিদাকে সামনে রেখে জলসিঁড়ি সাহিত্য আসর ভবিষ্যতে নিত্যনতুন সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহন করবে ।

ঐক্যমতের বাইরে কথা বললে বিভেদ বাড়বে: আমীর খসরু


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন- দীর্ঘ আলোচনার পর যে ঐক্যমতে পৌঁছানো হয়েছে, সেটি আমাদের মেনে নিতে হবে। ঐক্যমতের বাইরে গিয়ে কথা বললে রাজনীতি ও সমাজে বিভেদ বাড়বে, যা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।


শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আমীর খসরু বলেন, আজ একটি ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে। এটি গণতন্ত্রকে যেমন এগিয়ে নেয়, তেমনি সমাজকেও সামনে নিয়ে যায়। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। সংলাপের মাধ্যমে সেই ভাঙন কাটিয়ে উঠতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সংলাপ করবো, ঐক্যমতে পৌঁছব, যতটুকু সম্ভব। যেটুকু ঐক্যমতে পৌঁছানো যাবে না, সেটি সহনশীলতার সঙ্গে মেনে নিতে হবে। নতুন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো সরকার একা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারে না। এজন্য সবার অংশগ্রহণ ও দায়বদ্ধতা জরুরি। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখলেই দেশ এগিয়ে যাবে।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ছিলেন এমন একজন দূরদর্শী মানুষ, যিনি দৈনিক আজাদীর মাধ্যমে বিশ্বাস করতেন, একদিন এই দেশ স্বাধীন হবে। আজ আমরা সেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরে গর্বিত।


তিনি আরও বলেন, মানবিক মর্যাদা, আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা এই আদর্শের ভিত্তিতেই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। এখন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সেই আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, আমাদের দেশে একটি অদ্ভুত বিভাজন আছে, ঢাকা থেকে পত্রিকা বের হলে সেটি ‘জাতীয় পত্রিকা’, আর ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত হলে ‘মফস্বল পত্রিকা’। আমার কাছে এটি একটি বৈষম্যমূলক ধারণা।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বলেন, আজাদী যদি ঢাকায় গিয়ে প্রকাশ হয়, তাহলে জাতীয় পত্রিকা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু আমার বাবা দৈনিক আজাদী বের করেছিলেন চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সমস্যার কথা সরকারের সামনে তুলে ধরার জন্য, ঢাকায় বসে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়। কারণ আমরা চট্টগ্রামের মানুষকে ভালোবাসি। এই
ভালোবাসার বন্ধন থেকেই আমরা চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকতে চাই।


দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে ও পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে মিলনায়তনটি সংস্কার ও ডিজাইন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। সঞ্চালনা করেন অন্তর্র্বতী কমিটির সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ। অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ) বাংলাদেশ চাপ্টারের চেয়ারম্যান ওসমান গণি মনসুর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক, প্রেসক্লাব অন্তর্র্বতী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, এ্যাবের সভাপতি জানে আলম সেলিম, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ।


অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ হোসাইন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, রাজনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ