আজঃ রবিবার ২২ জুন, ২০২৫

ভূমিসেবা হয়রানিমুক্ত ও জনবান্ধব করতে সরকার কাজ করছে ঃ বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ভূমিসেবা পুরোপুরি হয়রানিমুক্ত ও জনবান্ধব করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। মিউটেশন, এলডি ট্যাক্স ও খতিয়ান সেবা এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে। পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন সময়ে যে কোন নাগরিক ভূমি অফিসে না এসে ঘরে বসে নিজেই নামজারির আবেদন, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, খতিয়ান সেবা ও ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।

রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভূমি মেলার এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’। ভূমি মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে শুরুতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। এটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এর পর বেলুন উড়িয়ে ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভুমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়। ভূমি মেলা উপলক্ষে সভা চলাকালীন সময়ে বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। সভার শুরুতে অনলাইন ভূমিসেবা

সংক্রান্ত সচেতনতামূলক উত্তর বঙ্গীয় গম্বীরা সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৬টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধির হাতে অনুমতিপত্র, গ্রাহকদের হাতে খাস জমির কবুলিয়ত ও ভূমি অধিগ্রহণের এল.এ চেক বিতরণ করা হয়। শেষে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীনসহ অন্যান্যরা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও নগরীর চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ভূমি মেলার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও জনসচেতনতামূলক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মনোয়ারা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগরীর আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভির হাসান তুরান। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, সারা দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর এখন শতভাগ অনলাইনে অর্থবছরভিত্তিক আদায় করা হচ্ছে। জমির নামজারী খতিয়ান পেতে হলে দখল, দলিল ও দাখিলা প্রয়োজন। দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে ৬টি সংস্থা/এজেন্সীকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমরা সবসময় ভূমিসেবা দিয়ে আসছি। ভূমিসেবার দূর্নাম কাটিয়ে সুনাম ও স্বচ্ছতা আনয়নে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একযোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জনগণের শাসক নন, সেবক। দেশের সকল ভূমি অফিস ক্যাশলেস ও নাগরিক বান্ধব অফিস হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। পুরোপুরি অনলাইন হওয়ার ফলে ভূমিসেবা বাবদ সরকারি আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ বলেন, বিভিন্ন কারণে ভূমি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ

করেছে। স্বাধীনতার ৫৫ বছরেও সুপ্রতিষ্ঠিত ভূমি ব্যবস্থাপনা পাইনি। ২০ কোটি মানুষের দেশে ৩৫ লক্ষ মামলা ভূমি বিষয়ক। এর থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করেছে। এখন থেকে মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে নামজারীসহ যাবতীয় ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারছে। ভূমিসেবাগুলো নিতে হলে আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে, ধৈর্য্য হারা হলে চলবে না। ভূমিসেবা বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা যাতে একই ছাতার নিচে একটি সিষ্টেমে চলে আসে, সে লক্ষ্যে সরকার সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা অনলাইন হওয়ায় জনগণ ঘরে বসেই হয়রানি, দুর্নীতি ও দালালমুক্ত ভূমিসেবা গ্রহণ করছে। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মনোয়ারা বেগম বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনবান্ধব ভূমিসেবার বিকল্প নেই। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ভূমি সংক্রান্ত সেবাসমূহ অটোমেশনের মাধ্যমে জনগণের নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ সকল কার্যক্রম সর্বসাধারণের মাঝে ব্যাপক আকারে প্রচার প্রচারণা করা আবশ্যক।
উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে মেলা চলাকালীন ১২টি স্টলের মধ্যে ৬টি স্টলে মহানগরের ৬টি সার্কেলের যাবতীয় ভূমি সেবা প্রদান করছে। ২টি স্টলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ শাখা ও রেকর্ডরুমের সেবা, ২টি স্টলে চট্টগ্রাম জেলার জরিপ ও ভূমির রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সেবা এবং অপর ২টি স্টলের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তের ভূমি বিষয়ক সেবা অর্থ্যাৎ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারীর আবেদনসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় যোগব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ : মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় যোগব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে চিটাগং ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যোগব্যায়াম একটি প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য, যা শরীর ও মনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। এটি শুধু একটি ব্যায়াম নয়, বরং মানব ও প্রকৃতির মধ্যে ঐক্য, আত্মসচেতনতা এবং সার্বজনীন মানবিক চেতনার অনুশীলন। আধুনিক জীবনের দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যে যোগব্যায়াম আমাদের ভারসাম্য ও অন্তঃশান্তির পথ দেখায়।’

করোনা পরবর্তী বিশ্ব বাস্তবতায় সুস্থ শরীর গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়র বলেন,‘করোনা ভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানসিক প্রশান্তি কতটা জরুরি। এ জায়গায় যোগব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত যোগচর্চা মানুষকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে এবং সংকট মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস জোগায়।’যোগব্যায়ামে অংশ নেন নারীরাও।

চট্টগ্রাম শহরে যোগচর্চার প্রসার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের নগরবাসীর মধ্যে যোগব্যায়ামের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার এবং কর্মক্ষেত্রগুলোতে নিয়মিত যোগচর্চা অন্তর্ভুক্ত করা হলে নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও মনোবল অনেক উন্নত হবে।’অনুষ্ঠানে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বক্তব্য দেন।ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে এ আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছে চিটাগাং ক্লাব, ফোরএইচ গ্রুপ এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এতে বিভিন্ন বয়সী যোগচর্চাকারী, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

চট্টগ্রামে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম খাতুরিয়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম, কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা গ্রামের মৃত জেবল হোসেনের ছেলে ছাদেকুর রহমান, চকরিয়া বাজারপাড়া গ্রামের মো. মাসুকের ছেলে মো. কামাল এবং পূর্ব বড় ভেওলা সিকদারপাড়ার মৃত আলমগীরের ছেলে কেফায়েত হোসেন। গ্রেফতার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও নারী-শিশু নির্যাতনসহ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। অপর ৩ আসামির বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, চেকপোস্টে তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন একটি গাড়ি থামানো হলে ডাকাতদলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়। তল্লাশিতে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, ১টি রামদা, ১টি স্প্রিং চাকু ও ২টি ধারালো চাকু, ১টি লোহার কাঁচি, ২টি শাবল, ৪টি মোবাইল ও ১টি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক, নগদ ১৬ হাজার টাকা ও ৮২৪ টাকার খুচরা কয়েন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ জব্দ করা হয়।

পুলিশ আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায় সংঘটিত একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা সেখানে ডাকাতি করে লুণ্ঠিত অর্থ ও মালামাল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিল।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ