আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৮ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ।

বদিউজ্জামান রাজাবাবু চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত দিয়ে ৮ বাংলাভাষীকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এঘটনা ঘটে। পরে ভারত হতে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ এর দায়ে ৮ জন কে আটক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি। আটককৃতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শেখালীপুরের মোঃ গোলাব এর ছেলে মোঃ ফায়েক (২৮), খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার আমবাড়ীয়ার ডোমরা গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মোঃ আজিম সরদার (২৫), একই এলাকার আজিম উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ মিম খাতুন (১৯), ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার হরছুয়া

বেলদহী গ্রামের মোঃ শফির উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৪৪), রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার মুক্তাপুর ইউনিয়নের চকমুক্তাপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন এর ছেলে মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন (৩৫), রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ হরিদেবপুর গ্রামের গোবরধন দাসের স্ত্রী দুঃখী দাস (৫৫), নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনরানীপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ রত্না আক্তার নুপুর (২২) এবং বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার গুলশাখালীর পিছি বারইখালী গ্রামের ইব্রাহিম এর স্ত্রী মোছাঃ নাদিরা খাতুন (৩৭)। মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক প্রেসনোটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রেসনোটে জানানো হয়, ৩ জুন
আনুমানিক ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ৫৯ বিজিবি অধীনস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানাধীন হোসেনভিটা ইউনিয়নের চাঁনশিকারী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ১৯৯ এর নিকট দিয়ে ৮ জন (পুরুষ-৪ জন, মহিলা-৪ জন) ব্যক্তি অনুপ্রবেশ করে। পরবর্তীতে চাঁনশিকারী বিওপি’র টহলদল তাদেরকে আন্তর্জাতিক সীমারেখার শূন্য লাইনে আটক করতে সক্ষম হয়।আটককৃত ব্যক্তিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ২০১৭ সাল হতে ২০২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য তাদেরকে ভারতীয় পুলিশ বিভিন্ন সময় আটক করে এবং তারা ভারতের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীয় জেলে আটক অবস্থায় ছিল।
আটককৃত ব্যক্তিদেরকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া হিরোইনসহ গ্রেফতার।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয় কর্তৃক অভিযান চালিয়ে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া খাতুন (৩১) কে হিরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২.২০ মিনিটের সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপপরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে, দুই গ্ৰাম হিরোইন সহ তাকে গ্ৰেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর মহল্লার মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও গেলুনুর ওরফে গেলের মেয়ে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও বিক্রয়ের অপরাধে, উপ পরিদর্শক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

বিজিবি কর্তৃক ৬০ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ও ৫০১ জন গ্রেফতার 

চলতি বছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর রিজিয়নের আওতাধীন ৪টি সেক্টর ও ১৫টি ব্যাটালিয়নের পরিচালিত অভিযানে ৫০১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার ও প্রায় ৬০ কোটি টাকার চোরাচালানপণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর রিজিয়ন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭১ হাজার ৩৪০ বোতল ফেন্সিডিল, পৌনে ১০ কেজি হোরোইন,  ২ কেজি কোকেন, ১২ হাজার ১২৭ বোতল মদ, ২ হাজার ৯ কেজি গাঁজা, ২৪ হাজার ৪৭৮ পিস ইয়াবা, ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৩ পিস ভায়াগ্রা ট্যবলেটসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করেছে। এ সময় ৫০১ জনকে আটক করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়াও একটি পিস্তুল, ৬টি এয়ারগান, ৭ কেজি গানপাউডার, ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারী ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধপথে সীমান্ত পারাপার, জালনোট পাচার, মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং নারী ও শিশু পাচার সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-অধিনায়ক মেজর আকরাম ও সহকারি অধিনায়ক মো. রফিকুল ইসলাম সব বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ