আজঃ রবিবার ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন না:গঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত।

মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন প্লাবন সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জসহ দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত। তিনি বলেন, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও তাঁর স্ত্রী হযরত হাজেরা এবং তাদের প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের সামনে সমাগত। ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আল্লাহর উদ্দেশে সবকিছু ত্যাগ করে দেয়ার চেতনা আমাদের মনে জাগ্রত করে। সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুরবানি আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়।

ত্যাগ ও কুরবানির মানসিকতা নিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেলেও দেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। তারা বিদেশে বসে এবং দেশে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থেকে দেশে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেই যাচ্ছে। দেশে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হতে পারে সেজন্য নানাভাবে বিতর্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই সাথে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং দেশবিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবিক বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশবাসীর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবনের জন্য আল্লাহর নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি এবং দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আমার পক্ষে থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

মহিলা ডিগ্রী কলেজ ভাঙ্গুড়ায় অভিভাবক সমাবেশ

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর সদরে- নারী শিক্ষায় পাবনা জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সিনিয়র প্রভাষক মোঃ লুৎফর রহমান এর সঞ্চালনায় শুরুতেই কোরআন ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল স্যারের স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়।

প্রথমেই অভিভাবক কলেজ ছাত্রী ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের মোছাঃ রিয়া খাতুন এর মাতা দুলারি বেগম বলেন কলেজে প্রতি বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নিতে হবে,তবেই মেয়েরা পড়াশোনা বেশি বেশি করবে।

প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের কৃতি ছাত্রী মোছা রিদনা আহমেদ এর পিতা মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন প্রকৃত শিক্ষা তখনই হবে যখন মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা দীক্ষা নিবে,যেমন প্রতিদিনের ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ করবে,তারপর কলেজ ক্যাম্পাসে বার্ষিক খেলাধুলা, কম্পিউটার,লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করবে,বার্ষিক শিক্ষা সফরের যাবে,এভাবেই প্রকৃত শিক্ষা লাভ করবে একজন শিক্ষার্থী।

১ম বর্ষ মানবিক, আফসনা খাতুন এর বাবা মোঃ আফসার আলী বলেন, পিতা-মাতার পরই ছাত্রীর অভিভাবক তার শিক্ষকমন্ডলীরা,কোন শিক্ষকই চায়না তার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা না করে।প্রত্যেক শিক্ষকই চায় সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো পড়াশোনা করে যেন মানুষের মত মানুষ হয়।

অভিভাবক সমাবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখাপড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন অত্র কলেজের রসায়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান,
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা জন্য কলেজ এর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে অভিভাবকদের অবহিত করেন যে প্রতিটা ছাত্রী প্রতিদিন যেন সকল বিষয়ে ভালো পড়াশোনা করে প্রতিদিন কলেজের ক্লাসে আসে এই বিষয়ে প্রত্যেক অভিভাবক খেয়াল করবেন,তখন অবশ্যই প্রত্যেক ছাত্রী ভালো পড়াশোনা করে ভালো জীবন গড়বে।

পরিশেষে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল স্যার সকল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সবার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলেন,যে অভিভাবক,ছাত্রী ও শিক্ষকমন্ডলী সবাই কে একসাথে লেখাপড়ার সকল বিষয়ে সতর্ক হয়ে একমত হতে হবে,তবেই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে।আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ এহতেশান হায়দার মন্টু সহ অত্র কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃনন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ