আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

ঈদুল আজহার উৎসবে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল।

বিনোদন রিপোর্টার

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার উৎসবের মধ্যে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। নানা বয়সের, নানা শ্রেণিপেশার বিনোদন পিয়াসী মানুষ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। শুধু চট্টগ্রাম নগরী কিংবা আশপাশের এলাকা নয়, ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন ভিড় করছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’সলেক, চিড়িয়াখানা, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, মিরসরাইয়ের মহামায়াসহ আরও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। গত তিন দিন ধরেই এমন চিত্র সাগর-পাহাড়ঘেরা বন্দরনগরীর নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোর।

জানা গেছে, গত শনিবার (৭ জুন) কোরবানির দিনে ব্যস্ততার কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের আনাগোণা স্বাভাবিকভাবেই কম ছিল। কিন্তু রোববার ও সোমবার দিনভর মানুষ ছুটেছে সেখানে, হাজার, হাজার মানুষ।মঙ্গলবারও ছিল মানুষের ঢল চোখে পড়ার মত।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সোমবার সকাল থেকেই মানুষের আনাগোণা শুরু হয়। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেলে চড়ে তরুণ-যুবকেরা গেছেন। অনেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়েও বেড়াতে গেছেন। দুপুরের পর থেকে রীতিমতো সৈকতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

সৈকতের বালুচরে শিশু-কিশোরদের ছুটোছুটি, সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী, ফুচকাওয়ালার হাঁকডাক, কাঁকড়া ভাজা, গরম পিঁয়াজুর স্বাদ- সব মিলিয়ে এ এক অনন্য বিকেল ! গোধূলিবেলায় তরুণীদের সেলফি, পাথরে বসে তরুণদের গিটার বাজিয়ে গান আনন্দ সম্মিলনকে যেন ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।

নগরীর হাজারী লেইন থেকে স্ত্রী ও দুই কিশোরী মেয়েকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান পারফিউম ব্যবসায়ী তারেকুল হাবিব। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি রাউজানে। কোরবানিতে বাড়িতে ছিলাম সবাই। সোমবার (৯ জুন) সকালে এসে বিকেলে সবাইকে নিয়ে বের হয়েছি।

কলেজ শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন,পতেঙ্গা সৈকত, কক্সবাজার সৈকত আমাকে খুব টানে। প্রতিবার ঈদে পতেঙ্গায়, না হলে কক্সবাজারে যাবার চেষ্টা করি।চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা- সবসময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ও ফয়’সলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। দুটি পাশাপাশি বিনোদন স্পট।

পাহাড় ও হ্রদবেস্টিত ৩৩৬ একরের ফয়’সলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে এবারও দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে।পাহাড়ের বুক চিড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা লেক, ওয়াটার পার্ক সী-ওয়ার্ল্ডের কৃত্রিম সমুদ্র, বেসক্যাম্প, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইড- সবখানেই মুখর। তবে সবচেয়ে বেশি সমাগম হয়েছে কৃত্রিম সমুদ্রে, যেখানে হাজারো নারী, পুরুষ, শিশু আনন্দে মেতেছিলেন। ডিজে গানের সঙ্গে তরুণ-তরুণীদের পানিতে দাপাদাপি, হইহুল্লোড়ে দিনভর অন্যরকম আবহ তৈরি হয়।

ওয়ান ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন বলেন, এবার টানা দশদিনের বন্ধ। এত লম্বা বন্ধ আগে পাইনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোরবানির দিন বাদে প্রত্যেকদিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরবো। গতকাল পতেঙ্গা গিয়েছিলাম। আজ ফয়’সলেক এসেছি। রাঙামাটি যাবার ইচ্ছে আছে।
অ্যামিউজমেন্ট পার্ক পরিচালনাকারী কনকর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ঈদের পরদিন থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। প্রথমদিন রোববার প্রায় সাড়ে তিন হাজার দর্শনার্থী এসেছেন।

সোমবার আট হাজারের মতো প্রবেশ করেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। আমাদের রেস্ট হাউজ পুরো বুকড। আশা করছি আগামী শনিবার সরকারি বন্ধের শেষদিন পর্যন্ত এমন সমাগম থাকবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন হাজার, হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। বিরল সাদা বাঘ, সিংহ, জলহস্তী, নানা জাতের পাখি টানছে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীদের।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ঈদের দিন ২ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। পরদিন থেকে ১০ হাজার ১৩ হাজারের মতো দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অপূর্ব নৃত্যশৈলীতে সুরাঙ্গন এর নৃত্য মঞ্জুরী।

গীতবাদ্যের ছন্দে অঙ্গভঙ্গির দ্বারা মঞ্চে চিত্রকলা উপস্থাপনের ললিতকলাই যে নৃত্য, তা আবারো একবার প্রমাণ করল সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ ৩ জুন সন্ধ্যায় নান্দনিক এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম মঞ্চে। শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মনোমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ।


২ শতাধিক নৃত্যপ্রেমী দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত দুই যুগ পূর্তির বর্ণীল এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। অতিথি ছিলেন প্রয়াস-চট্টগ্রাম এর অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল মাহাবুব মোর্শেদ, জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ, রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাকিলা সোলতানা, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম এর সভাপতি শারমীন হোসেন।

আবৃত্তিশিল্পী কংকন দাশের সঞ্চালনায় ও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হিল্লোল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে গুরুমাতা সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ‘স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ডান্স’ এর অধ্যক্ষ শ্রীমতি শুভ্রা সেন গুপ্তাকে। অনুষ্ঠানে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের শতাধিক শিক্ষার্থী নৃত্য পরিবেশন করেন।

এছাড়াও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হিল্লোল দাশ সুমন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চয়ন দেবনাথ ও সুস্মিতা ঘোষ মুমু।

বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন।


মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে এসোসিয়েশন এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সংগঠনের নিজ কার্যালয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় ৭৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মার্শাল আর্টের জনক প্রযোজক, পরিচালক ও নায়ক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন মার্শাল আর্টের কিংবদন্তি লড়াকু নায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল।

কমিটির সম্পাদকিয় অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে নুর মোহাম্মদ খালিদ আহম্মেদ বিদ্যূত, সহ-সভাপতি বি এম আশরাফ, মার্শাল শাহাজাদা মোল্লা, আমিনুল ইসলাম, আনিসুর রহমান নয়ন, মোহাম্মদ আলী, ইদ্রিস আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তনু পান্ডে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাফুদ্দৌলা সিদ্দিকী খোকন, আলমগীর চৌধুরী আলম, রেহেনা পারভিন, রোমানা ইসলাম মুক্তি, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুস খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিতুল, মোঃ জাহাঙ্গীর,

ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল লতিফ চিতা, সহ–ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ শরীফ, অর্থ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সহ- অর্থ সম্পাদক মোঃ হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাসুকা নাসরীন রাকা, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরানী আশরাফ নাজু, শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল সিকদার, সহ- শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মইনুল ইসলাম মনু, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সংযম ইসলাম প্রাপ্ত, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক ময়নাল হোসেন মঈন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাজাদা বাবু, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ,

গবেষণা সম্পাদক তাজওয়ার আলম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পলাশ খান, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মার্শাল জনি, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ কবির, যুব মানবাধিকার সম্পাদক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, সহ-মানবাধিকার সম্পাদক সাইদ, সাংস্কৃতি সম্পাদক মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সাংস্কৃতি সম্পাদক বিথী, বাধন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাজগুল আহম্মেদ রাজু।

এছাড়া সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, সাহেদ, শিপলু, আশা, ফারুক, আলমগীর, মোশারফ, আব্দুল মতিন, শরিফুল, জয়নাল, মার্শাল হাসান, মোঃ সুমন, জুয়েল সরকার, বাবুল আহম্মেদ, তপন মন্ডল, রুহুল আমিন, হান্নান, ইব্রাহিম খলিল, সিরাজুল ইসলাম, কে এম রাজীব, মুহাম্মদ সাহিদ এমরান সিশু, রাজওয়ার আলম, এস এইচ প্রীতম, লিটন গাজী, নুরে আলম, তাহের, পাভেল, কাজল পাশা, ওয়াদুদ, আনোয়ার, হায়দার, কাজল আইচ ও আক্তার হোসেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ