আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ৮০ হাজার যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচলের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, সরকার গত ১৯ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর ও ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর মেয়াদ নির্ধারণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে শুধু চট্টগ্রামেই প্রায় ৬ হাজার ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৫ হাজার গণপরিবহন এবং সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচলের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ফলে এসব গাড়ির সাথে জড়িত প্রায় পাঁচ লাখ শ্রমিক ও মালিক জীবিকা সংকটে পড়বে।

এ সময় ঢালাওভাবে বাস-মিনিবাস, ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের জন্য ইকোনমিক লাইফ (গাড়ি সর্বোচ্চ চালানোর মেয়াদ) নির্ধারণ না করে অঞ্চলভিত্তিক বাস্তবতা বিবেচনার দাবি জানিয়ে সংগঠনটি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম কাদেরী। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির সোহেল, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সহ-সভাপতি একরামুল হক চৌধুরী, হুমায়ুন কবির সোহেল, কমিশনার নাজিম উদ্দিন আহমেদ,

আজিজুল হক, সৈয়দ হোসেন, মো. কামাল উদ্দিন, অলি আহমেদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও মোহাম্মদ শাহজাহানসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
মোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দেশে আমদানি নির্ভর খাতে খরচ বেড়েছে। তারমধ্যে জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। বক্তারা দাবি করেন, সরকার অন্যান্য শিল্পে ভর্তুকি দিলেও পরিবহন খাতকে কোনো প্রণোদনা বা ছাড় দেয় না। অথচ এই খাত দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে খাদ্যদ্রব্য, শিল্পের কাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তারা বলেন, ঢাকার বাস্তবতা দিয়ে চট্টগ্রাম বা পার্বত্য এলাকার গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত হলে চলবে না। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি, কাপ্তাই, চকরিয়া, বাঁশখালী, শুভপুর, রাউজান, নাজিরহাটসহ বিভিন্ন রুটে ব্যবহৃত গণপরিবহনগুলো বাতিল হলে ওইসব অঞ্চলে বিকল্প যানবাহন না থাকায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে।
চাঁদের গাড়ি, নসিমন-করিমনের মতো যানবাহন এখনও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা বাতিলের আগে বিকল্প নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করে সংগঠনটি। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, ১৯৫৩ সালে আনা রেলওয়ের পুরনো ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে সেবা দিলে সমস্যা নেই, কিন্তু বিআরটিএ’র ফিটনেসপ্রাপ্ত

যানবাহন কেন বাতিল করা হবে? বিআরটিএ’র ফিটনেস সনদপ্রাপ্ত গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত। অনেক পুরনো গাড়িও নতুন ইঞ্জিন বা পার্টস বদলে সম্পূর্ণ সচল থাকে। তাই ঢালাওভাবে গাড়ি বাতিল না করে গাড়ির অবস্থা বিবেচনায় জীবনকাল নির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিকরা অভিযোগ করেন, সরকারের একতরফা এই সিদ্ধান্ত একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এবং বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে পরিবহন খাতকে জিম্মি করার আয়োজন। তাদের আশঙ্কা, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে প্রতিদিন ৬ হাজার গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হবে, যা দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

সংগঠনটির ৬ দফা দাবিগুলো হলো, ১৯ জুনের ইকোনমিক লাইফ প্রজ্ঞাপন ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের অন্যান্য জেলার জন্য স্থগিত করতে হবে, গাড়ির আয়ুষ্কাল ও নীতিমালা প্রণয়নে বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবহন মালিক প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে, বাণিজ্যিক মোটরযানের অগ্রিম আয়কর ও বিআরটিএর সেবা ফি পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে হবে, গাড়ির ফিটনেস কার্যক্রম প্রাইভেট কোম্পানির হাতে না দিয়ে বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়িয়ে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে

রাখতে হবে, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের বিতর্কিত ধারা ও অতিরিক্ত জরিমানার বিধান সংশোধন করতে হবে গাড়ির আয়ুষ্কাল নির্ধারণে অঞ্চলভিত্তিক প্রয়োজন, বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ, পণ্য ও যাত্রীর বাস্তবতা, আমদানিকারকদের রিপ্লেসমেন্ট শিডিউল এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিবেচনায় নিতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চবি ছাত্রদল নেতার জানাজা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের জানাজা চবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।আরিফ চবি ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর শিকদার পাড়ায়। তিনি মোয়াজ্জেম বাড়ির মো. হারুনের ছেলে। আরিফের জানাজার জন্য সকালে তার মরদেহবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ চবির সভাপতি ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম,

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল ফোরকান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাফরুল্লাহ তালুকদার, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন এবং চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া চাকসুর ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি, জিএস সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিকসহ অন্যান্য সম্পাদকবৃন্দ।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন চবি ছাত্রদলের এই নেতা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আরিফের চাচা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি ও ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমরান চৌধুরী। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৯ ডিসেম্বর তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় সাংগঠনিক শূন্যতা তৈরি হলো। তার মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর বেদনার। তার মতো একজন যোগ্য নেতাকে হারিয়ে আজ আমরা অসহায়। তার মতো তুখোড় মেধাবী শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ছিল। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ