আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে একটানা বর্ষণে নিম্মাঞ্চলে প্লাবণ, নগরজীবনে দূর্ভোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একটানা বর্ষণের ফলে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে কয়েকটি নিম্নাঞ্চল সাময়িক তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সড়ক ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামী লোক, এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন।

বৃষ্টিতে নগরীর কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, পাঁচলাইশ, প্রবর্তক মোড়, জিইসি, মুরাদপুর, একে খান গেট, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, তিন পোলের মাথা, রিয়াজউদ্দীন বাজার, হেমসেন লেন, জুবিলী রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সোমবার সারা সকাল থেকে এ চিত্র দেখা গেছে। রোববার রাত থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়, সোমবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, নিম্নচাপ কেটে গেলেও এর প্রভাবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝারি থেকে ভারী আকারের এ বৃষ্টি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারী বর্ষণে রূপ নিতে পারে। এ জন্য পাহাড়ধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, আমবাগান কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।

সোমবার দিনভর বৃষ্টি ঝরবে এবং মঙ্গলবার থেকে পরের কয়েকদিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারাদিন মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ চলতে থাকবে। যেহেতু বর্ষাকাল বৃষ্টি হবে। তবে বৃষ্টির তীব্রতা ধীরে ধীরে কমে আসবে। সকালে ভারি বৃষ্টির পর পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এরপর কয়েকটি এলাকা এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় পরিদর্শন করেছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।

নগরীর কাপাসগোলা ও কাতালগঞ্জ এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা ৫০ শতাংশ আমরা কমাতে পেরেছি।

এটা সময়ের ব্যাপার। ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টি খালের কাজ করছে সিডিএ। এরমধ্যে ২২টি খালের কাজ শেষ হয়েছে। ১৪টি খালের কাজ বাকি আছে। এর বাইরে আরো ২০টি খাল বাকি, সেগুলোও আমাদের সংস্কার করতে হবে। এই এলাকার মূল খাল হিজড়া খাল। এটা কাপাসগোলা থেকে নিয়ে কাতালগঞ্জ পর্যন্ত। এই খালের সংস্কার শেষ হলে এবং নালার কাজ শেষ হলে এই এলাকার সমস্যা সমাধান হবে।

বর্ষাকাল শেষ হলে ওই এলাকার সড়ক উঁচু করার কাজ করা হবে বলে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আগে বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল এলাকায় পানি উঠত। সেখানে নালার উপর মার্কেট ভেঙে দেয়ার পর অনেকটা কমেছে। আগ্রাবাদে বক্স কালভার্টের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলে আগ্রাবাদ এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকটা কমবে বলে আশা করছেন মেয়র।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, চকবাজারের একাংশ, আতুরার ডিপো, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার একাংশ, হাজীপাড়া এলাকায় মূল সড়ক, অলিগলি পানিতে ডুবে যায়।

কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জে নিচতলার বাসা, দোকানপাটের ভেতরেও পানি দেখা গেছে।এসব এলাকায় সড়ক ও অলিগলিতে কোথাও কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমরসমান পানি হয়।জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কিছু সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পু, রিকশা, ইজিবাইক চলাচল একেবারে কমে যায়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, মুরাদপুর আর আগ্রাবাদের দিকে পানি উঠেছিল। পরে কাতালগঞ্জ ছাড়া সবখানে পানি নেমে গেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বোয়ালখালীর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা পরিদর্শন।

বোয়ালখালী গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ মডেল বিদ্যালয় ও শাকপুরা দারুচ্ছন্নাত কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ফারুক এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সালমা ইসলাম।

পরিদর্শনকালে একাডেমিক কার্যক্রম, চলমান বার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ এবং সার্বিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সৃজনশীলতার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন । বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাস আর ও পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করে গড়ে তোলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র সমূহ সরেজমিনে ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছি, যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় সবার আন্তরিক সহযোগিতায় উন্নত, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বোয়ালখালী গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ