আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নগর উন্নয়নে কানাডার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় কানাডা সফর প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সফর আমাকে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা দিয়েছে।

টরন্টো ও মন্ট্রিয়লে বিভিন্ন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চট্টগ্রাম নগরের উন্নয়ন কার্যক্রম, আধুনিক ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তোলার পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। কানাডা সফর শেষে নগরের সার্বিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে রোববার মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র জানান, কানাডার কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথ সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তি হয়েছে। এতে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

টরেন্টোর বাংলা টাউনের ড্যানফোর্থ এলাকায় অন্টারিও প্রদেশের এমপিপি মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু সহনশীলতা, স্টার্ট-আপ উন্নয়ন এবং নার্সিং খাতে দক্ষ জনশক্তি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
চসিক মেয়র বলেন, টরন্টো সিটি হলে মেয়র অলিভিয়া চৌ ও এমপিপি ডলি বেগমের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে নগর উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যখাতে প্রশিক্ষিত জনবল বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়েও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জন্য আন্তর্জাতিক সিটি-টু-সিটি সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টরন্টো সিটির সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি (সিস্টার সিটি) স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এটি বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

কানাডা সফরে মেয়র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিপি ডলি বেগম, সালমা জাহিদসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। লেদার পণ্য রপ্তানি, নার্সিং ও হেলথকেয়ার সেবা, গ্রিন এনার্জি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কানাডার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেন চসিক মেয়র।

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কানাডার পুলিশ জনবান্ধব। তারা ভদ্রভাবে জনগণের সঙ্গে কথোপকথন করে তারপর আইন প্রয়োগ করে। এই মডেল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পুলিশ ব্যবস্থাও সংস্কারের প্রয়োজন।
চসিক মেয়র বলেন, শহরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জনসচেতনতা বাড়াতে আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা ১০০ দিনের বিশেষ মশক নিধনের লক্ষ্যে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করেছি, যা আগামী তিন মাস চলবে।তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

তবে চিকুনগুনিয়ার প্রভাব এই বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর তুলনায় বেশি। এজন্য আমরা প্রতিটি হটস্পট এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছি। মেয়র সকল নাগরিককে আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, যদি কোথাও মশার প্রাদুর্ভাব বা সমস্যার অভিযোগ থাকে, সিটি কর্পোরেশনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরাসরি জানাতে পারবেন। আমি নিজেও সব সময় নাগরিক সেবার জন্য প্রস্তুত আছি।

নালায় পড়ে শিশু মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হালিশহরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিবন্ধী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা ও সচেতনতার প্রয়োজন। আমরা পরিবার ও কেয়ারটেকারদের দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং সিটি কর্পোরেশন থেকেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
শিশুদের নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীলতা প্রসঙ্গে চসিক মেয়র বলেন, একটি শিশু কখনোই স্বাধীন নয়, সে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। গার্মেন্টস বা অন্য কোনো কর্মস্থলে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গেলেও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্মীরই। শিশুকে যদি সামলে রাখা সম্ভব না হয়, তবে গেটকিপার বা অন্য কারও কাছে দায়িত্ব দিয়ে যেতে হবে। এই দায়িত্ব অবহেলা করা যায় না। সিটি কর্পোরেশন কিংবা অন্য কোনো সংস্থার পক্ষে সব শিশুদের তদারকি করা সম্ভব নয়।

এ দায়িত্ব পরিবার বা অভিভাবকের। আর সব নালা ঢেকে দেওয়াও সম্ভব নয়। কিছু নালা সার্ভিস লাইন হিসেবে খোলা রাখতে হয়। তবে পাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্ল্যাব বসানো থাকে। যেখানে গার্মেন্টস নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করেছে, সেটি আমাদের নয়। মূলত পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বই শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত বলেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব শুধু সিটি কর্পোরেশনের নয়, নাগরিকদেরও রয়েছে। আমরা ডোর-টু-ডোর ময়লা সংগ্রহ প্রকল্প চালু করেছি। প্রতি পরিবার মাসে ৬০ টাকা প্রদান করছে।
কানাডার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সেখানে ধনী-গরিব সবাই নিজ হাতে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে। আমাদেরও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ৬০ টাকা খরচ করেও যদি শহরকে সুন্দর রাখতে না পারি, সেটা দুঃখজনক।
চসিক কর্মচারীদের শৃঙ্খলার বিষয়ে মেয়র জানান, আমরা অনুপস্থিত ও দায়িত্বহীন কর্মচারীদের ছাঁটাই করেছি, এখন পর্যন্ত ৪৮-৫০ জনকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পূর্বে নিয়ম কানুন না থাকলেও এখন নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। ডোর-টু-ডোর সেবার ক্ষেত্রে ৬০ টাকার বেশি দাবি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জাপান, কোরিয়া, কানাডা, চীন ও নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগকারীদের সাথে ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন যে বিপুল বর্জ্য উৎপাদন হয় তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে শহরের পরিবেশ ও অর্থনীতি উন্নত করা সম্ভব হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ড্রেনেজ সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আনা হবে। তিনি জানান, চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার্থে নাগরিক অভিযোগ সমাধানে অ্যাপস চালু করছি খুব শিগগিরই।

‘আমার চট্টগ্রাম’ নামের একটি অ্যাপ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে নাগরিকরা যে কোনো সমস্যা সরাসরি জানাতে পারবেন এবং আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অ. দাঃ) মো. ফরহাদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান জিয়া।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সবজির বাজার চড়া, কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে ফের সবজরি দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দর আবারও উর্ধমূখী। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার এবং বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়েনি। তবে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে।বিক্রেতারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির দাম আড়ত পর্যায়ে বেশি হওয়ায় খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শেষে দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছিল। কিন্তু গত দুইদিনে কেজিতে অন্তঃত ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। এরপরও খুচরায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারির হিসেবে পেঁয়াজের দর খুচরায় প্রতিকেজি ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ মজুত রয়ে যাওয়ায় তাদের বাড়তি দামে বেচতে হচ্ছে।বাজারে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে শীতকালীন অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দেখা গেছে। বাজারে টমেটো মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, নতুন শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল, দেশি পটল, দেশি গাজর, দেশি শসা, ছোট করলা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, কচুরমুখী, লাউ, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল।তবে ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মতোই আছে। শালগমের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা হয়েছে। বগুড়ার নতুন আলুর দাম কেজিতে অন্তঃত ৪০ টাকা কমে প্রতিকেজি ৪০ টাকায় এবং

মুন্সীগঞ্জের পুরোনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার পুরনো আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি। সরকারিভাবে নির্ধারিত প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা ও খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার মধ্যে এলাচ প্রতিকেজি ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।


চালের মধ্যে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা প্রতিকেজি ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের মধ্যে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস দেশি হাঁস ৫০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের চীনা হাঁস প্রতি পিস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা থেকে কমে ১১০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশি হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মাছের মধ্যে লইট্যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,

নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।বাজারে এখন ইলিশ আর তেমন নেই। তবে ৭-৮টি মিলে ওজনে এক কেজি হয় এমন কিছু ইলিশ এখনও সীমিত আকারে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ