আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে ঃ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের যৌথ উদ্যোগে “রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস-২০২৫” উপলক্ষে আলোচনা সভা ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার সকালে নগরীর আগ্রাবাদস্থ জেলা কর্মসংস্থান অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে ও হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আরএম ও এনজিও সেল শাখা) জাকিয়া মুমতাহিনা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিকেটিটিসি) অধ্যক্ষ প্রকৌশলী পলাশ কুমার বড়ুয়া, মহিলা টিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আশরিফা তানজীম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হাসান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও জেলা প্রবাসী কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ সংযুক্ত আরব-আমিরাত প্রবাসী মোঃ নাজিম উদ্দিন ও অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাবিলা মাদানীকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সম্মাননাপ্রাপ্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধাগণ তাদের নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধসহ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গমনেচ্ছুদের ভিসা ও টিকেটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার আহবান জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশী নামক এনজিও প্রতিনিধি বশির আহমদ। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া মুমতাহিনা বলেন, সারাদেশে প্রধম বারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হয়ে বৈধ পথে বিদেশ গেলে কোন ধরণের কষ্ট পেতে হবে না, এতে অর্থ ও সম্মান দুই-ই মিলে। উন্নয়নের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন আর দক্ষতার উন্নয়ন হলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং আমাদের দেশ আরও উন্নত হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শর অর্থনীতির মেরুদন্ড রেমিটেন্স। প্রবাসী কর্তৃক প্রেরিত রেমিটেন্স দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম পন্থা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের সকল সেক্টরে আমাদের লোক প্রয়োজন। স্বাবলম্বী হতে হলে দক্ষতা অর্জন অবশ্যই জরুরী। বিপদে পড়ে যাতে কেউ বিদেশ না যায় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশে ও বিদেশে কোন প্রবাসী যাতে কোন রকম হয়রানির শিকার না হন, কিভাবে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে আমাদেরকে আরো সর্তক থাকতে হবে। কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারী গোষ্ঠীকে কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করতে পারলে আমরা পিছিয়ে থাকবো না। আগামীতে কাঙ্খিত ও কারিগরি ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, দালালদের খপ্পরে না পড়ে যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তারা ভালো ভাবে বুঝে শুনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে সেই দেশের ভাষা শিখে আইন কানুন মেনে বিদেশ গেলে মর্যাদা ও অধিক বেতন আদায় করতে পারে। প্রবাসীদের নানা সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় এবং দেশের জিডিপিতে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের ভূমিকার সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সবজির বাজার চড়া, কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে ফের সবজরি দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দর আবারও উর্ধমূখী। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার এবং বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়েনি। তবে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে।বিক্রেতারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির দাম আড়ত পর্যায়ে বেশি হওয়ায় খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শেষে দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছিল। কিন্তু গত দুইদিনে কেজিতে অন্তঃত ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। এরপরও খুচরায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারির হিসেবে পেঁয়াজের দর খুচরায় প্রতিকেজি ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ মজুত রয়ে যাওয়ায় তাদের বাড়তি দামে বেচতে হচ্ছে।বাজারে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে শীতকালীন অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দেখা গেছে। বাজারে টমেটো মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, নতুন শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল, দেশি পটল, দেশি গাজর, দেশি শসা, ছোট করলা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, কচুরমুখী, লাউ, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল।তবে ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মতোই আছে। শালগমের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা হয়েছে। বগুড়ার নতুন আলুর দাম কেজিতে অন্তঃত ৪০ টাকা কমে প্রতিকেজি ৪০ টাকায় এবং

মুন্সীগঞ্জের পুরোনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার পুরনো আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি। সরকারিভাবে নির্ধারিত প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা ও খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার মধ্যে এলাচ প্রতিকেজি ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।


চালের মধ্যে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা প্রতিকেজি ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের মধ্যে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস দেশি হাঁস ৫০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের চীনা হাঁস প্রতি পিস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা থেকে কমে ১১০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশি হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মাছের মধ্যে লইট্যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,

নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।বাজারে এখন ইলিশ আর তেমন নেই। তবে ৭-৮টি মিলে ওজনে এক কেজি হয় এমন কিছু ইলিশ এখনও সীমিত আকারে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামে পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোরের ক্ষুদে ম্যারাথন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবি সিরিষতলায় ‘ক্ষুদেদের ম্যারাথনে’ পাঁচ শতাধিক শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। শুক্রবার কুয়াশা মাখা ভোরে সূর্যের আবির্ভাবের সাথে সাথে সিআরবি সংলগ্ন পাহাড় ও সড়কে অনুষ্ঠিত হয় ফুলকি স্কুলের কচি কাঁচা শিক্ষার্থীদের এই ‘ক্ষুদেদের ম্যারাথন’। বয়স অনুযায়ী ৫ কিলোমিটার, ২ কিলোমিটার ও ১ কিলোমিটার দূরত্বে ৫৩১ জন শিশু-কিশোর দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, ১৯৭৬ সাল থেকে ফুলকির পথচলা। শিশুকিশোরদের মানসবিকাশে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল কাজকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে ফুলকি পরিবারের সকল কর্মী। ২০২৫ সালে ফুলকির ৫০ পদার্পণের বছর সুবর্ণজয়ন্তীবর্ষ। ২০২৬ হবে এর ৫০ পূর্তি বছর।এ উপলক্ষে সারা বছর নানা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ফুলকির।
শিরীষতলা মাঠে জাতীয় সঙ্গীত ও পরে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে ক্ষুদেদের ম্যারাথন উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বাবর আলী, ফুলকি ট্রাস্টের সভাপতি আবুল মোমেন ও সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন।

সকাল ৭টায় সিআরবি সাত রাস্তা থেকে প্রথমে ৫ কিলোমিটার অংশগ্রহণকারীদের দৌড় শুরু হয়। এরপরই ২ কিলোমিটার ও ১ কিলোমিটার দৌড় শুরু হয়। ৫ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বর্ণময় সেনগুপ্ত, মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় নুসরাত জাহান ইমা। ২ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় মো. আরহাম হোসেন, মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় মানহা জাফরিন। ১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজদ্বীপ চক্রবর্তী, মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় নাজিয়া কাওসার।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রত্যেক ক্যাটাগরি থেকে সেরা ৫ জন ছেলে ও সেরা ৫ জন মেয়েকে ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও সকল দৌড় সম্পন্নকারীদের মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাবর আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দৌড়ে অংশগ্রহণ করছ, নিজেদের মেলে ধরেছ, এটা যেন থেমে না যায়, এই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। ফুলকির সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন বলেন, জীবনের গতিও যেন সর্বদা চলমান ও অর্থবহ হয়।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র শিশু-কিশোরদের জন্য এ ধরনের আয়োজন সম্ভবত এই প্রথম। ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নগরের আরও ৩৩টি বিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন বয়সি শিশু-কিশোরেরা এতে যুক্ত হয়েছে। এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ও এসএমসি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ফুলকির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ