আজঃ সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫

স্বচ্ছতা  ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।

সুশাসন , আর্থিক স্বচ্ছতা ও সেবায়  পিছিয়ে নেই অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের তুলনায়। 

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ

 

স্বচ্ছতা  ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।সুশাসন , আর্থিক স্বচ্ছতা ও সেবায়  পিছিয়ে নেই অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের তুলনায়।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে। পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের দেড় মাসের মধ্যেই প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের সম্মানীর বিল পরিশোধ করান হয়েছে। দেশের আর কোনো শিক্ষা বোর্ড এত কম সময়ে এ উদ্যোগ নিতে পারেনি।

এসএসসি ও এইচএসসি ২০২৫ সালের প্রশ্ন প্রণেতা ও পরীক্ষকদের সম্মানী দেড় মাসের মধ্যে  পরিশোধ করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের দাবি, এটি শিক্ষা বোর্ডের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

এই প্রথম বোর্ড প্রতিষ্ঠার তিন দশক পর প্রথমবারের মতো স্টক রেজিস্ট্রার যাচাই–বাছাই শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের অবহেলায় পরে থাকা  চলতি হিসাবে থাকা ৬ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করে আরও অর্থ যোগ করে বর্তমানে সাড়ে ১১ কোটি টাকা এফডিআর করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবসর তহবিল স্বল্প সময়ে ১০ কোটি থেকে ১৮ কোটি টাকারও বেশি উন্নীত করা হয়েছে। শুধু গত সাত মাসেই জমা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা, যেখানে পূর্ববর্তী ৩০ বছরে ছিল মাত্র ৯ কোটি।

কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি নিয়মনীতি মেনে ঢাকা বোর্ডের রেকর্ড অনুসরণ করে  আধুনিকায়ন, জরাজীর্ণ ভবনের সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

স্থায়ী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা জানান, প্রেষণে আসা কিছু সরকারি কলেজ শিক্ষকের তদবির ও প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা পদোন্নতির বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অথচ শিক্ষা বোর্ড প্রবিধান অনুযায়ী, সহকারী কর্মকর্তা পদে পাঁচ বছর সন্তোষজনক চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে ডেপুটি কর্মকর্তা পর্যায়ের মোট ৬০ শতাংশ পদে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। এ বিধান কার্যকর হলে চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত হতো।

 

সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আলী আকবর বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছি।  অথচ নিয়ম অনুযায়ী আমাদের পদোন্নতি পাওয়ার কথা। চট্টগ্রাম বোর্ড  কর্তৃপক্ষ যেমনি দ্রুততম সময়ে বিল পরিশোধ ও আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করেছে, তেমনি  আমাদের পদোন্নতি দিয়ে  সেটাও প্রমাণ করবেন আশাকরি।  শিক্ষাবোর্ডে যোগ্যতা সম্পন্ন  লোক রয়েছে, তাদের পদোন্নতি দিয়ে সুযোগ দেয়া হলে, তারা যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি তহিদুল হক বলেন, “চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড দেশের অন্য বোর্ডগুলোর জন্য উদাহরণ। তবে স্থায়ী কর্মকর্তাদের পদোন্নতির দাবি মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ• বলেন, ১৯৯৭ সালের প্রবিধান অনুযায়ী স্থায়ী কর্মকর্তাদের ৬০ শতাংশ এবং প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের ৪০ শতাংশ পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। কেন এতদিন পদোন্নতি দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে এবং নিয়ম মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রায়পুরায় ১০০০ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

নরসিংদীর রায়পুরায় অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাহমুদাবাদ লিজা জর্দা কোম্পানির সামনে থেকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ এলাকার ওবায়েদ উল্লাহর ছেলে সৌরভ মিয়াকে (২৬) ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

আওয়ামী লীগের এমপিরা লুটেপুটে খেয়েছে,মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি-আশরাফ উদ্দিন বকুল।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ও আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেছেন, আওয়ামীলীগ যা করেছে আমরা তার বিপরীত করবো। তারা চরাঞ্চলে ঝগড়া লাগিয়েছে, বিভিন্ন ভাবে টাকা পয়সা নিয়েছে, তারা যেসকল অপকর্ম করেছে আমরা সেটা করবো না। চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আশরাফ উদ্দিন বকুল আরও বলেন, ১৭ বছরের নিপিড়ন নির্যাতনের পরে সুযোগ এসেছে আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মা বোনদের সাথে নিয়ে নির্বাচনের দিন ধানের শীষকে বিজয়ী করার। আওয়ামীলীগের এমপিরা সাতবার নির্বাচিত হয়েও লুটেপুটে খেয়েছে কিন্তু মানুষের ভাগ্য বা রাস্তার কোনো উন্নয়ন করেনি এমনকি এলাকায় কোনো শিল্প কারখানা করেনি। এসময় তিনি বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার জন্য আহ্বান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার, চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদা জামান, রায়পুরা পৌর বিএনপি সভাপতি ইদ্রিস আলী মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পলাশ, চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী মেম্বার, সিনিয়র সহ সম্পাদক কেবল সরকার সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ