আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

দারুননাজাতের তরুণ শিক্ষাবিদের আল-আজহারে প্রথম স্থান অর্জন।

লেখক ও কলামিস্ট, শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়,কায়রো,মিশরি

বাংলাদেশের আকাশে সাফল্যের যে নক্ষত্রেরা ঝলমল করে, তাঁদের কাতারে যুক্ত হলো আরেক উজ্জ্বল নাম—মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দীন আজহারী। মেধা, শ্রম ও অদম্য স্বপ্নের সমন্বয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কায়রোর প্রাচীনতম ও বিশ্বখ্যাত বিদ্যাপীঠ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুদ্দীন অনুষদের হাদিস বিভাগ থেকে পিএইচডি তামহীদিতে প্রথম স্থান অর্জন করে তিনি শুধু নিজেকে নয়, সমগ্র জাতিকে করেছেন গর্বিত।

শিহাব উদ্দীনের শিক্ষাযাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে, যেখানে শৈশব থেকেই তিনি মেধা ও নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০১২ সালের দাখিল ও ২০১৪ সালের আলিম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন তিনি। পরে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাযিল এবং বাংলাদেশ আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল সম্পন্ন করে ইসলামী জ্ঞানের ভাণ্ডারে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। প্রতিটি ধাপে ছিল তাঁর সাফল্যের পদচিহ্ন, প্রতিটি স্তরে ছিল বিশ্বমঞ্চে নিজেকে গড়ে তোলার প্রস্তুতি।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত স্কলারশিপ নিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু হয় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষা শিক্ষা কোর্স শেষে ২০১৭ সালে তিনি ভর্তি হন উসুলুদ্দীন অনুষদে। শুরু হয় দীর্ঘ সাধনা আর কঠোর পরিশ্রমের অধ্যায়। ২০২১ সালে সফলভাবে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর ২০২১/২২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ নম্বর অর্জন করেন, যা এ প্লাসের সমতুল্য। এক বছরের ব্যবধানে ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর তাঁর এমফিল থিসিস সম্পন্ন করে তিনি পান সর্বোচ্চ গ্রেড মুমতাজ বা এক্সেলেন্ট। আর সর্বশেষ ২০২৫ সালে তাঁর অধ্যবসায়ের শীর্ষ ফসল মিলল—৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিস বিভাগে পিএইচডি তামহীদির ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি ৮৫.২২ শতাংশ নম্বর (A+) পেয়ে ডিপার্টমেন্টে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

শিহাব উদ্দীনের কৃতিত্ব কেবল পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষার খাতায় সীমাবদ্ধ নয়। তিনি প্রবাসী শিক্ষার্থীদের জন্যও হয়ে উঠেছেন এক নির্ভরতার ঠিকানা। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা হিসেবে টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব ও দায়বদ্ধতা দিয়ে একটি প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়া যায়। তাঁর দিকনির্দেশনায় সংগঠনটি হয়ে উঠেছে প্রবাসী শিক্ষার্থীদের ঐক্য, সহযোগিতা ও আত্মপ্রত্যয়ের উজ্জ্বল প্রতীক।

এছাড়া ২০২০ সালের জুন মাসে তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় মারকায সওতুল ইসলাম, যা আজ বাংলাদেশের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাঁর প্রচেষ্টা ও অদম্য সাধনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৭ জন শিক্ষার্থী আল-আজহার, মদিনা, কিং আব্দুল আজিজ, তাবুক, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ, আল-কাসিমিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও ইরাকের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ স্কলারশিপ পেয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আল-মদিনা অ্যাপ্লিকেশনস-এর মতো সহযোগী প্রতিষ্ঠানও তিনি গড়ে তুলেছেন, যা দিন দিন হয়ে উঠছে আগ্রহী তরুণদের আশার আলো।

মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দীনের এই সাফল্য নিছক ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য এক বিরল গৌরব। তিনি প্রমাণ করেছেন—অদম্য ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় আর নৈতিক দৃঢ়তার মাধ্যমে একজন তরুণ শুধু বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গনে আলো ছড়াতে পারে না, বরং প্রজন্মের জন্য প্রেরণার আলোকবর্তিকাও হয়ে উঠতে পারে। তাঁর এই অর্জন বাংলাদেশের নামকে যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল করেছে, তেমনি নতুন প্রজন্মকে দেখিয়েছে স্বপ্ন দেখার নতুন দিগন্ত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমিরাতে ৬শ গাড়ি দিয়ে ‘ঈদ আল ইতিহাদ ইউএই ৫৪’ বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আজমান।

যানবাহন ব্যবহার করে বিশ্বের বৃহত্তম উদযাপন বাক্যাংশ তৈরি করে আজমান গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করেছে। ৬০৩টি যানবাহনকে “ঈদ আল ইতিহাদ ইউএই ৫৪” বার্তাটি স্পষ্টভাবে লেখার জন্য সাজানো হয়েছিল।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫৪তম ঈদ আল ইতিহাদ উদযাপনের সাথে মিলে যাওয়া এই কৃতিত্ব গিনেস বিচারক প্যানেল কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে এবং পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে প্রদর্শিত অসাধারণ নির্ভুলতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য উচ্চ প্রশংসা করেছে।

এই স্কেলের একটি সুস্পষ্ট বাক্যাংশ তৈরির জন্য ৬০৩টি যানবাহনের সমন্বিত চলাচলকে সমন্বয় করা একটি অভূতপূর্ব কৃতিত্ব হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে, যা অসাধারণ দৃশ্যমান প্রভাব সহ বিশ্বমানের অনুষ্ঠান সম্পাদনের জন্য আজমানের ক্ষমতাকে তুলে ধরে।

আজমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আজমান হোল্ডিং এবং রায়াত কোম্পানি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল। অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা নতুন রেকর্ডকে স্বীকৃতি দেয়, যা এই জাতীয় উপলক্ষকে একটি বিশিষ্ট উপায়ে উপস্থাপনের প্রচেষ্টাকে উদযাপন করে যা সংযুক্ত আরব আমিরাত ইউনিয়নের অর্জনের আনন্দ এবং গর্বকে গভীরভাবে প্রতিফলিত করে।

আজমান ৬০৩টি যানবাহন নিয়ে ‘ঈদ আল ইতিহাদ ইউএই ৫৪’ গঠনের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করেছে পর্যটন, সংস্কৃতি এবং তথ্য বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আজিজ বিন হুমাইদ আল নুয়াইমির পৃষ্ঠপোষকতায় চিত্তাকর্ষক এবং অত্যন্ত সমন্বিত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

চুয়েটে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ৪-৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং জনাব সাঈদা তাহমিনা তাসনিম।

উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নিবেন। এতে ২জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর উপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে।

কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোষ্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে স্থাপত্য বিভাগে দুইদিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে।

আগামী ৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০ টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স কো-চেয়ার হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ