আজঃ সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব,ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাংগঠনিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত।

মোঃ নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, জেলা শাখার উদ্যোগে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংগঠনিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মীর মো: খালেদ হাসানের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল-ময়মনসিংহ জেলা শাখার সম্মেলন, প্রতিটি উপজেলা সম্মেলন ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন ইত্যাদি।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব রাজভর বিপীন,জেলা কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি আ: হান্নান আল আজাদ,জেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম,মিজানুর রহমান সোহাগ,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম,সভাপতি,ময়মনসিংহ মহানগর শাখা,মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল ফকির,ত্রিশাল শাখার সভাপতি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ,শ্যামগন্জ শাখার সভাপতি রফিকুল হাসান আজমী (মিথুন),ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মীর মো: শওকত আহসান (মীর বাবুল),সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম সাগর,আহ্বায়ক, কেন্দুয়া,নেত্রকোণা,সাংবাদিক রাজু,সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম,সাংবাদিক ফারহানা নুপুর,শেফালী হামিদ,ঈশ্বরগন্জ শাখা,সাংবাদিক সোহেল রাজ,সাংবাদিক ইকবাল হোসেন,সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম,মোমিন তালুকদার, সাংবাদিক সোহাগ আকন্দ প্রমুখ।

উক্ত আলোচনা সভায়,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শামীম তালুকদার বলেন,বিশিষ্ট সাংবাদিক ফরিদ খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সংগঠনের মূল লক্ষ্য -‘জনস্বার্থে সাংবাদিকতা,সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা। ‘গভ: রেজি : সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ফরিদ খান।সংগঠনের গভ: রেজি: নং -৯৮৭৩৬/১২।সমগ্র দেশে সাতশত এর অধিক শাখা কমিটি রয়েছে উক্ত সংগঠনের।

পরিশেষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খানের সুস্বাস্হ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভার সভাপতি শামীম তালুকদার সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সভা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলেওয়াত করেন-অর্থ সম্পাদক আবু হানিফ বুলবুল। সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ এর সঞ্চালনায় অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রানবন্ত আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভায় অর্থ সম্পাদক আহমদ কবির পরিষদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সভায় সর্বসম্মতভাবে অক্টোবর/২৪ হতে সেপ্টেম্বর/২৫ পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের উপ-কমিটি কর্তৃক দাখিলী খসড়া প্রতিবেদনএবং অবসরকালীন সম্মানী ভাতা পুনঃ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

পরবর্তীতে সভায় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোঃ সাইফুদ্দিন পারভেজ, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির নেছার আহম্মদ, সহ-সভাপতি- এস.এম. মোরশেদ, সহ-সভাপতি- মোঃ ইলিয়াছ, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার ফারুকুল আলম ও পেশকার ওমর ফারুক প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ
সংগঠনের গৃহীত বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনান্তে আগামীদিনে আরও ভালো কিছু করার ইচ্ছাপোষণ করেন।

আরব আমিরাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের কমিটি গঠন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত চট্টগ্রামের প্রবাসীদের জন্য একটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি গঠিত হয়েছে ‘চট্টগ্রাম সমিতি ইউএই’, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদ ইউএই’ নামেও পরিচিত হবে।

কমিটিতে ইয়াকুব সৈনিককে সভাপতি সেলিম রেজাকে সাধারণ ও জুলফিকার ওসমানক অর্থ সম্পাদক করা হয়েছে।তকাল রবিরার (১৯ অক্টোবর) রাতে দুবাইয়ে ইয়াকুব সুনিক হাউসে এ উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে উপদেষ্টা মীর কামাল,শরাফত আলী, সদস্য নজরুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন, নরুল আবছার,ফরিদুল আলম উপস্থিতি ছিলেন। সভা ১৫ বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নবগঠিত এই কমিটি সভাপতি বলেন, আরব আমিরাতে বসবাসরত সকল চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলো নিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।

কমিটির উপদেষ্টা মীর কামাল ও শরাফত আলী জানান, সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রামের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রবাসে তুলে ধরা, বিভিন্ন জাতীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব পালন।
দুস্থ ও অসহায় প্রবাসীদের সাহায্যার্থে তহবিল গঠন, জরুরি প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা করা। প্রবাসীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য বিভিন্ন খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা আরও জোরদার করা এবং নিজ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও প্রচার করা।

তারা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রবাসে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারব। আমাদের প্রিয় চট্টগ্রামের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে ধরে রেখে প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।” এই উদ্যোগ আমিরাতের সকল চট্টগ্রাম প্রবাসীকে একটি সুদৃঢ় সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ করবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।

আরব আমিরাতে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের সংগঠন রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সমিতি ইউএই-এর এই পথচলা প্রবাসীদের জীবনকে আরও গতিশীল ও অর্থবহ করে তুলবে—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ