
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা–কদমতলী ইউনিয়নের পূর্ব কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা অভিজিত কুমার দে। সবার কাছে পরিচিত তিনি অনিরুদ্ধ অপু নামে। পেশায় একজন সফল সাংবাদিক। তার শখের পেশা ও গবেষণা হচ্ছে কৃষি বিপ্লব। কৃষিই তার প্রযুক্তি ও সফলতা ধরে রাখতে নিরলজ কাজ করা তাঁর নেশা।
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কৃষির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তিনি। প্রচলিত চাষের ধারার বদলে নতুন কিছু করার আগ্রহই তাকে আজ এই অঞ্চলের অন্যতম সফল চাষীতে পরিণত করেছে।
বিভিন্ন প্রকল্পে অংশ নিয়ে উচ্চমূল্যের ও মৌসুমি ফসলের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে অনুপ্রাণিত করেছে রূপান্তরিত কৃষিকাজে ঝুকিতে।
তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বের ট্রেনিং গুলো তাকে অনুপ্রানীত করেছে। নতুন ভাবে তার চোখকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তিনি তার দেখা অনেক কিছু আবিস্কার করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু এই নতুন জাত সফলভাবে চাষাবাদ করে এবং এলাকায় সাধারন কৃষকদের মন জয় করে নতুন দিগন্তের সুচনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তার এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল জেলায়, উপজেলায়, গ্রামে গ্রামে, প্রত্যেক বা প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিটি গঞ্জে গঞ্জে পৌছাতে হবে। যাতে করে সকল কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করে তার পদ্বতি অনুসরণ করে সফলতা পান এঠাই তার পথ নিদ্দর্শক।

গতানুগতিক চাষাবাদ বাদ দিয়েছি অনেক আগে। বর্তমানে তিনি ৫০ শতক জমিতে কৃষিকাজ করছেন। ৫০ শতাংশ জমি চাষ করর এবার তার উৎপাদন হয়েছে ৪৫ মণ ধান। যা প্রচলিত চাষের তুলনায় দ্বিগুন বা অসাধারন ফলন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি ধীরে ধীরে সবজি, উন্নত জাত এবং নতুন প্রযুক্তির চাষ শুরু করেন। ধাপে ধাপে আসতে থাকে তার সবজি চাষে অনেক সাফল্য, বাড়তে থাকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস।

২০২৪ সালে মাত্র ৪ শতক জমিতে পরীক্ষা মূলকভাবে তিনি নতুন একটি ধানের জাত চাষ করেন। ফলন আশানুরূপ হওয়ায় ২০২৫ সালে তিনি আবার আমন মৌসুমেও রোপণ করেন সেই জাতটি। কিন্তু দেখা গেল এবারও তার ফলন আরও গত বারের চেয়ে আরও বেশি হয়।
সাংবাদিক ও কৃষক অভিজিত কুমার দে অপু আরো বলেন,“সঠিক ট্রেনিং, পরিশ্রম আর নিষ্ঠা থাকলে যে কোনো কৃষি কাজেই সফলতা আসবেই। যদি একবার সফল হও, পরবর্তীতে আর পেছনে তাকাতে হবেন।
বর্তমানে তার নতুন ধানের জাতের নমুনাটি উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে জাত নিণর্য়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে গবেষণার জন্য। তবে এই নতুন ধানটির নাম “লোকমান’ রাখার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক অভিজিত কুমার দে তথা অনিরুদ্ধ অপু।
চন্দ্রঘোনা কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল হামিদ অভিজিত কুমার দে সম্পর্কে বলেন,“অভিজিত কুমার দে তথা সাংবাদিক অনিরুদ্ধ অপু, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি অনন্য উদাহরণ।
তিনি নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নেন। তিনি বিভিন্ন সময় নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেন নিজ থেকে এবং নিজের জমিতে সাহসীভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান।
তার চাষাবাদ করা নতুন ধানের জাত যদি ব্রি অনুমোদন পায়, এটা হবে রাঙ্গুনিয়ার কৃষিতে বড় অর্জন।
সাংবাদিক অপু বা অভিজিত কুমার দে অপু আরো বলেন, অভিজিত কুমার দে এর মতো কৃষকরা অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করছেন। তার কাজ দেখে অনেকেই নতুন জাত ও আধুনিক চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, অভিজিত কুমার দে তথা সাংবাদিক অনিরুদ্ধ অপুর নতুন জাতের ধান নিয়ে আরো বেশি গবেষণা, আরো বেশি ট্রায়াল করা দরকার আছে। তবে তার মধ্যে যেই আধুনিক চাষাবাদের নতুন নতুন চিন্তা গুলো কাজে লাগালে আগামীতে কৃষির সফলতা অবশ্যই আসবেই। এই প্রসঙ্গে অভিজিত কুমার দে অপু বলেন, একসময় নিজে নিজের স্বপ্ন দেখতাম। আর এখন অন্যদের স্বপ্ন দেখাতে ভালো লাগছে। আমার সাফল্য দেখে এখন অনেকে আমাকে অনুসরণ করছে এবং নতুনভাবে চাষাবাদ শুরু করেছেন, এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।
আধুনিক প্রযুক্তি, সাহসী পরীক্ষা–নিরীক্ষা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম—এই তিন শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একজন সাধারণ কৃষক আজ হয়ে উঠেছেন পুরো অঞ্চলের অনুপ্রেরণা।
আর এটাই প্রমান করে দিয়েছেন একমাত্র সাংবাদিক ও সফল কৃষক অভিজিত কুমার দে প্রকাশ অনিরুদ্ধ অপু। তিনি আরো বলেন, নতুন চিন্তা আর নিষ্ঠা থাকলে কৃষিই পারে এক জীবনের গল্প বদলে দিতে।











