এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরে কফিন মিছিল করেছে জুলাই ঐক্য। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নগরের আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামালখান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কফিনের আদলে তৈরি প্রতীকী বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা জড়িয়ে বহন করে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা ‘হাদির হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’, ‘শরিফ ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যাবে না’, ‘খুনিদের বিচার চাই’ ‘আমি কে, তুমি কে—হাদি, হাদি’ ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা, ঢাকা’,

‘আমরা সবাই হাদি হবো, বুক চিতিয়ে লড়ে যাবো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিল শেষে জামালখান মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের একজন সাহসী কণ্ঠস্বর শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, শরিফ ওসমান হাদি শুধু একজন সংগঠক ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণমানুষের কণ্ঠস্বর ও নিপীড়িত মানুষের সাহসী প্রতিনিধি। তার ওপর পরিকল্পিত ও কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে যারা তাকে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।সমাবেশে বক্তারা, আগামীর প্রজন্মকে ভারত বিদ্বেষী করে গড়ে তোলার আহ্বন জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ চলাকালে তারা চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘেরাও করার ঘোষণা দেন এবং হাইকমিশন বন্ধের দাবি তোলেন।

এছাড়া নগরের অন্যান্য এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের খবরও পাওয়া গেছে। রাত ১১টার পরে বিক্ষুব্ধরা দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের চশমা হিলের বাসভবনের দিকে যান। সেখানে ভবনের সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে তারা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান। এছাড়া ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিক্ষুদ্ধ জনতা।










